ISSN 1563-8685




হরিণবাড়ি উপাখ্যান

অন্ধকারের গন্ধ গায়ে মেখে অনতিদূরে ডেকে ওঠে নিশুতি-নক্তঞ্চর
বাঁশঝোপের তলে জিয়াফতের উচ্ছিষ্ট ঘিরে এখনও সন্ধ্যার আলোয় তিনটি নেড়িকুত্তা
স্বার্থপর চিৎকারে ক্ষণে ক্ষণে হিংস্র হয়ে ওঠে; প্রত্যেকেই পেতে চায় একক সাম্রাজ্য।
ভাগাড়ে গোরু পড়েছে শুনে একদল আদিম পুরুষ ছুটে আসে শকুনীয় মচ্ছবে
এদিকে ঈশ্বর-মানা নাস্তিকের দল ম্লেচ্ছ-যবনভূমিতে গড়েছে পরিখা—
ধানখেতের পাশে, নিজেদের ঘরের চারপাশে; অথচ পঙ্গপালে ভরে আছে ঘর
পল্লির গলা শহুরে গিলোটিনে আঁটা আছে আঁটসাঁট বেঁধে; ক্রমাগত পালটে যাচ্ছে মানবিক রঙ।
নাগরিক আকাশে কুকুরমাছি উড়ে উড়ে ঘাড়ে বসে রক্তপান করে; আর
রাজপথে রক্তদান কর্মসূচিতে দলভাঙা মানুষের ঢল নামে রক্ত কেনাবেচার হাটে—
অমিত কৌতূকে। গবাক্ষে অবারিত ত্রসরেণু; ওখানে বেঁধেছে ঘর অজ্ঞাতনামা চড়ুই।
জল নেই, তবু বেড়ে ওঠে গাছ, ঘুম নেই তবু জেগে ওঠে রাত
প্রেম নেই এক চিলতে কোথাও কোনোখানে—তবু গড়ে ওঠে সংসার, জন্মায় জারজ সন্তান।



(পরবাস-৪৯, অক্টোবর, ২০১১)