গণেশবাবার গল্প -
—
অচিন্ত্য দাস "সেবার মেদিনীপুরের একটা গ্রামে আমাদের খেলতে ডাকল ওদের হোস্টেলের বিরুদ্ধে। খড়গপুর লাইনের ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নামলাম সকলে। ওরাই বাসের ব্যবস্থা করেছিল। অনেকটা রাস্তা, তারওপর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। সন্ধে নামতে বেশি দেরি নেই, সময়টাও আবার ..." (গল্প)
ড্র্যাগনের দেশে -
—
অনন্যা দাশ " গরমের ছুটিটা সুমির খুব পছন্দের সময়। পড়ারও বিশেষ চাপ থাকে না তাই মনের আনন্দে যতক্ষণ খুশি ঘুমিয়ে নেওয়া যায়। ছুটি বলে ঘুম থকে দেরি করে উঠলেও মা কিছু বলেন না।
তা এইরকম গরমের ছুটির এক দুপুর বেলা ..." (গল্প)
গজু’স এন’ শ্রীপতি’স -
—
নিবেদিতা দত্ত "গজু আর শ্রীপতি—নাম দুটো, মানুষও তাই দুজন, কিন্তু পাড়া থেকে শুরু করে স্কুল, এ-বাড়ি ও বাড়ি, বাজার, খেলার মাঠে পার্কে ও-দুটো নাম সবাই এক সাথেই উচ্চারণ করে।
তার যথেষ্ঠ কারণও আছে— ..." (গল্প)
রস -
—
সংগ্রামী লাহিড়ী "ওরা নিজেরাও অনেক কিছু জানে, বুঝতে পারে। যেমন ধরো, এখান থেকে সোওওওজা চলে যাও আরো উত্তরপানে, তুমি শুনবে দূর থেকে ভেসে-আসা গম্ভীর গর্জন, যেন মেঘের ডমরু বাজছে। দেখবে আকাশে উঁচিয়ে ওঠা জলের কণা দিয়ে তৈরি ধোঁয়া, আর তার ফাঁকে ..." (গল্প)
ধারাবাহিক উপন্যাস
পরীবাগান ও এক গল্পের মেয়ে (৬)—
অঞ্জলি দাশ "রহস্যের গন্ধ পেয়ে একদিন চুপি চুপি ওর পেছনে দাঁড়িয়ে শুনলাম তোতা চোখ বন্ধ করে হাত জোড় করে বলছে – মা, আমাকে ভালোভাবে পাশ করিয়ে দাও। রূপুদিকে ক্ষমা করে দাও, ওকে পাপ দিও না...
আমি তো অবাক। মেজকার একমাত্র ছেলে, ..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
প্রচ্ছদ |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
ফাল্গুনের গান —
যশোধরা রায়চৌধুরী "ঝড় কিন্তু হল না, উল্টে খানিক বাদেই মেঘের অনেকগুলো স্তরের ভেতর থেকে হঠাৎ ফুটে বেরুল সূর্যের ছটা। একেবারেই নাটকীয় ভঙ্গিতে সেই আলো নেমে আসা মাত্র যেন ইন্দ্রজাল ঘটে গেল। গোটা কলকাতার রূপ ফেটে পড়ল। কনে দেখা আলো! কথাটা সবার শোনা কিন্তু আজ হাতেনাতে প্রমাণ। বিকেলের এই অস্তরাগ যখন ..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
১ |
২ |
৩ |
হারাধন টোটোওয়ালা (১৪)—
সাবর্ণি চক্রবর্তী "ঘরে কম পাওয়ারের বালবের ম্যাড়ম্যাড়ে ময়লা আলো। তবুও ঘরের ভেতর ঢোকবার সাহস জোগাতে তা-ই যথেষ্ট। হারার পড়শি কাকারা ঘরে ঢুকল। ঢুকেই নাক সিঁটকালো, অর্থাৎ ঘরের বিকট বদবু ওদের নাকেও ধাক্কা মেরেছে। দুজনেই পকেট থেকে রুমাল বার করে নাকে চাপা দিল, তারপর..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
জনস্বাস্থ্য ও মহামারি : রাজন্যশাসিত কোচবিহার
— দেবায়ন চৌধুরী ১৮৪২ সাল থেকে কোচবিহারে চিকিৎসকের উপস্থিতি থাকলেও কোনো চিকিৎসালয় গড়ে ওঠেনি। তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় দু-দশকেরও বেশি সময়। ১৮৬৫ সালে দেশীয় ডাক্তার বাবু হরিচরণ সেনের দায়িত্বে কোচবিহার গড়ে ওঠে প্রথম ডিসপেনসারি। ১৮৬৯-৭০ সালে চিকিৎসাব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা দেখি ... (প্রবন্ধ)
সব কিছু সিনেমায় (১৩)
—
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় "নৃপেনদার ভাষাকেন্দ্রিক প্রাজ্ঞময়তায় আমি খুব অবাক হই নি। কারণ সেই সময়ে, মহীশূরে অবস্থিত ভারত সরকারের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ নামক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলা ভাষার উৎস, ক্রমবিবর্তন ও প্রয়োগ-কেন্দ্রিক বেশ কিছু তথ্যচিত্র আমরা করছিলাম। আমার 'বৈষ্ণব পদাবলী'র ওপর একটা ... "
(ধারাবাহিক স্মৃতিকথা) ১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
মহাশ্বেতার গোড়ার কথা: সিপাহী বিদ্রোহের সমাজ সচেতন ইতিহাস
— অংকুর সাহা "মহাশ্বেতা গ্রন্থটি শুরু করেছেন ঢিমে তেতালায়, বড়ো একটি ক্যানভাস নিয়ে। আকবরের সমসাময়িক বুন্দেলখণ্ড অঞ্চল ও তার আশপাশের মারাঠা ও রাজপুত রাজ্যগুলি নিয়ে - অজস্র রাজা ও রাজত্বের নাম, তাদের শাসন, শত্রুতা ও যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি। শিবাজী, আবুল ফজল, সেলিম, আওরংগজেব, পেশোয়া বাজীরাও - সবাইকেই..." (গ্রম্থ-সমালোচনা)
``হেলা’’ কোষের পাদপ্রদীপে হারিয়ে গেলেন কি হেনরিয়েটা ল্যাকস?
— নূপুর রায়চৌধুরি "হেনরিয়েটা ছিলেন সাধারণ দরিদ্র; শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত কৃষ্ণাঙ্গ রমণী, আমাদের বৈষম্যময় সমাজব্যবস্থার একেবারে নিচুতলার মানুষদের একজন। হেনরিয়েটার শরীর থেকে তার সম্মতি বা জ্ঞান ছাড়াই নেওয়া হয়েছিল যে বিশেষ ধরনের কোষ, জৈব বিজ্ঞানকে অন্য একটা স্তরে উন্নীত করে দিয়েছে সেই কোষ। পোলিও এবং..." (প্রবন্ধ)
ইতিহাসের আগের যুগে ভারতে শিল্পচর্চা
— শ্রীতমা মাইতি "হরপ্পা থেকে যে-ক’টি ধাতু ও পাথরের মূর্তি পাওয়া গেছে, তাতে শিল্পীর দক্ষতা দেখলে বিস্ময়ে স্তব্ধ হতে হয়। সবার প্রথমে তো মহেঞ্জোদাড়োর বিখ্যাত নর্তকী (যদিও নর্তকী কি না সে নিয়ে বিতর্ক কম নেই)। প্রায় চার ইঞ্চি লম্বা ব্রোঞ্জের তৈরি এই মূর্তিটি দ্বিভঙ্গ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে, তার বাম হাতে প্রায় ..." (ই্তিহাস)
প্রসঙ্গ : অভিশাপ
— উদয় চট্টোপাধ্যায় "শকুনের শাপে কি গোরু মরে? নিঃসন্দেহে, না। মরলে গোবংশ অনেক আগেই নির্বংশ হয়ে যেত। বরং হয়েছে উলটোটাই—শকুনবংশই এখন ধ্বংসের পথে। তার কারণ অবশ্য গোরুদের দেওয়া কোন অভিশাপ নয়, নিতান্তই অরণ্য উচ্ছেদের ফলে শকুনদের বাসস্থানের ঘাটতি। পরিবেশবিদরা এখন উঠেপড়ে লেগেছেন ,..." (প্রবন্ধ)
অঘোরবাস্তবের আশ্রয়ে
-
দিবাকর ভট্টাচার্য "আসলে সেটা ছিল এক আশ্চর্য বিকেল - ওই পাহাড়ের কোলে বিশাল ঘাসজমির শেষ সীমানায় পড়ন্ত সূর্যটা একটা নিটোল রক্তবিন্দুর মতো লেগে ছিল আকাশের গায়ে - আর পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে ভেসে যাচ্ছিল একটার পর একটা নানান আকারের সোনালি মেঘ। ... ”
ত্রাণ ট্যুরিজ়ম
-
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় "বিপ্রদাসের যখন ঘুম ভাঙল বেলা গড়িয়ে রোদ ঝিমিয়ে পড়েছে। বিশেষ অতিথিদের খাতিরে আজ মাছের দু’তিন রকম পদ রান্না হয়েছে। প্রথম পাতে লাউ-চিংড়ি, তারপর মুগ ডালের সঙ্গে চুনো মাছ ভাজা, মধ্যিখানে মুখ বদলানোর জন্য যগ্যি-ডুমুরের ডালনা, শেষে ভাঙন মাছের ঝোল। এ অঞ্চলে ডুমুর, লাউ পাওয়া ... ”
রাধা কোথায় গেল
-
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত "কৃষ্ণ বললেন—কেন? তুমিই তো হবে আমার রানি। যমুনার তীরে তোমার একটা ছোট্ট প্রাসাদ থাকবে। বেশি নয়—এই ধরো দৈর্ঘ্যে প্রস্থে সহস্র পায়ের একটা নিভৃত উদ্যান। লোকে বলবে রাধারানির ঘাট। সেখানে তোমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঢুকতে গেলে দৌবারিক গাঁট্টা মারবে মাথায়। অবশ্য— ... ”
প্রতিশোধ
-
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় "দীপকের সাথে বহুদিন পরে দেখা শিয়ালদহ স্টেশনে। শীতের এক বৃষ্টি-বিঘ্নিত বিকেলে কল্যাণী লোকাল থেকে শিয়ালদহ নেমেছি। জনঅরণ্যে কখনো ঝুড়িতে কখনো বস্তাতে ধাক্কা খেতে খেতে স্টেশন থেকে বাইরে যাবার জন্য শম্বুকগতিতে এগোচ্ছি। যত না লোক বাইরে যাচ্ছে তার থেকে বেশি লোক ...”
চেনা
-
রুমঝুম ভট্টাচার্য "রুখা-শুখা জলহাওয়ার এই গাঁয়ে খরা লেগেই আছে। সারা বছর বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে এ গাঁয়ের ক'ঘর বাসিন্দা। জলের জন্য মাইলের পর মাইল হাঁটে ওরা। খিদে, ঘাম, রোগ, তেষ্টার এই গ্রামে, দীপাবলীর আলো নিভলে পরে মানুষ পাখির মতো ঝাঁক বেঁধে প্রায় চারশ কিলোমিটার পশ্চিমে পাড়ি দেয় রুটি-রুজির খোঁজে ...”
ভাই
-
কৌশিক ভট্টাচার্য
" ভাই কেমন হবে সেটা ঠিক করে ফেলেছে তুলি। মোটাসোটা, গাবদু-গুবদু। ছোট্ট ভুঁড়ি থাকবে একটা। কোঁকড়ানো চুল হবে। আর হ্যাঁ, চোখের রং হবে নীল।
কেন চোখের রং নীল হবে তুলি জানে না। ...”
শব্দ
-
উস্রি দে "ঠক ঠক ঠক। ওই শুরু হল। সারাদিন সংসারে হাড় ভাঙা খাটুনির পর রাতে যে একটু শান্তিতে ঘুমোবে মানুষ, তার জো নেই! রাত বারোটার পর, চোখটা সবে লেগেছে, মাথার ওপরের ওই শব্দে তন্দ্রাটা চটকে যেতেই মেজাজ গরম হয়ে গেলো অসীমার। আশ্চর্য! মানুষের কি একটুও কান্ডজ্ঞান থাকতে নেই! তিনকাল গিয়ে ..."
চিরন্তনী
-
কোয়েল মিত্র মজুমদার "তা আমাদের মেরুন পাঞ্জাবির তো অঞ্জলি দেয়া টেয়া শেষ। বেশ খিদে-খিদে পাচ্ছে, এই ভাবে সারা সকাল না খেয়ে থাকার তো অভ্যেস নেই। বোস-কাকিমা প্রসাদ বিলি করছেন, ও গিয়ে লাইনে দাঁড়াল। কাকিমার সঙ্গে একটু কথা বলে, প্রসাদের দোনা হাতে নিয়ে বেরিয়ে এল প্যান্ডেল থেকে। যা গরম! টেঁকা যাচ্ছে না ভিতরে। পাশের মাঠে ..."
মাটিটুকু-ভিটেটুকু
-
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী "খালকে এই যে ‘নিম্ন-খাল’ বলে ডাকা—এই নাম আমার দাদুর দেওয়া। ছোট থেকেই শুনে আসছি খালের এইরূপ নাম। দাদু বলে, ‘একটি খাল কখন নিম্ন-খাল হয়? না, যখন সে নীচু হয়ে নীচ দিয়ে গড়িয়ে যায় নীচের দিকে। কোনও পাড় থাকে না তার। থাকে ঢাল। আর সেই ঢাল বেয়ে উঠে আসে কচ্ছপ। কানকো বেয়ে আসে ..."
মূল উর্দু থেকে অনুবাদ: শুভময় রায়
"
স্পেশাল ট্রেন অমৃতসর থেকে বেলা দুটোয় ছেড়ে আট ঘণ্টা পর মুঘলপুরা পৌঁছোল। পথে বেশ কিছু যাত্রী খুন হল। আরও অনেকে আহত। আর দু-চারজন এদিক-ওদিক কোথায় যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেল কে জানে!
সকাল দশটা। শরণার্থী শিবিরের ঠান্ডা মাটিতে শুয়ে ...”
মূল উর্দু থেকে অনুবাদ: শুভময় রায়
"
বারবনিতারা সেই এলাকায় আসার কয়েক দিনের মধ্যেই নিচের দোকান ঘরগুলো ভাড়া নেওয়ার জন্য লোক আসা শুরু হল। নতুন বসতির আবাদির দিকে লক্ষ্য রেখে ভাড়া কম রাখা হয়েছিল। প্রথম ভাড়াটে ছিল সেই বুড়ি যে মসজিদের পাশে গাছতলায় টুকরি নিয়ে বসত। দোকান ভরানোর জন্য ...”
গয়নার বাক্স
ও খোলা হাওয়ার খোঁজে
-
দেবেশ মহান্তি দুটি গল্পঃ
"সন্ধ্যা তখন। দিনের আলো ফুরিয়ে চারদিক থেকে চাপ চাপ গাঢ় আঁধার চুঁইয়ে পড়ছে। একটা দোকানের পিছনে লুকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ ধরে। এদিক-ওদিক থেকে ভেসে আসছিল গোলাগুলির আওয়াজ, চিৎকার আর্তনাদ, বিমানের শব্দ, হঠাৎ হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ, গাড়ির দ্রুত ছুটে চলার আওয়াজ। কঠিন ..”
অনুপ্রবেশ
-
রূপা মণ্ডল
"মন্দিরা কয়েক সেকেন্ড চুপ করে ভাবল। তারপর বলল, “না, ওই গল্পের স্বত্ব বিক্রি না করলেও ফেসবুক ওয়াল থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। অনেক পাঠক পড়ে ফেলেছেন, লাইক এবং কমেন্টও করেছেন। নতুন কোন ভালো লেখা এই মুহূর্তে ...”
কাঠবিড়ালি ও কৃষ্ণ
-
নিবেদিতা দত্ত
"এখন মাসি আর তেমন মজা করে বলে না কথাটা। ছন্দের শাঁসটা কালের পোকায় খেয়ে গেছে। বেরিয়ে আছে শুধু তার কেজো বিচি। নিছকই যা না বললে নয় মাসি বলে শুধু সেটুকুই। মজাও আর হয় না তেমন। ঐ বলাটুকুই সার। কৃষ্ণচূড়ার ডালে বসে থাকে কাঠবিড়ালি। কৃষ্ণও পা ঝুলিয়ে ...”
অ্যান আনফেয়ার গেম ইন দা ফেয়ারহ্যাম সিটি
-
পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
"ইয়ান বললেন, “আমি একটা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হতে চলেছি। আপনারা জানেন, যে আজ থেকে তিনদিন বাদে আগামী ৫ই ডিসেম্বর পোর্টসমাউথ লেডিজ লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে, মহিলাদের এফএ কাপের ফাইনালে, ওয়েস্ট হ্যাম লেডিজের মুখোমুখি হবে, আর গতকাল থেকে আমার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ...”
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
-
মায়া সেনগুপ্ত
"নবীন যুবক একরাশ বিরক্তি নিয়ে চোখ বন্ধ করল। ফেরিওয়ালা রংবেরঙের রুমালগুলো তার মুখের উপর বুলিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পর যুবকটি চোখ খুলল। কিন্তু ফেরিওয়ালাকে আর দেখতে পেল না। সে তখন সামনে বসা ...”
দ্য সেভিয়র ইস বর্ন
-
রাহুল রায়
“এদিকে রত্না সেই যে গেছে আর আসেই না। তাই আমি বসে বসে চারপাশে লোকের ভিড় দেখছি। শুক্রবারের সন্ধের মুখ, তাই পুরো শপিং কমপ্লেক্স-টা একেবারে লোকে লোকারণ্য। তারা নানান দোকানে ঢুকছে, বেরোচ্ছে। কোন দোকানে বড় বড় অক্ষরে ‘সেল’ বিজ্ঞাপন লাগানো। সেখানে বেশ …”
বিধুবাবুর স্বপ্ন
-
প্রসূন দত্ত
“মধ্য কলকাতার আমহার্সট স্ট্রিটের অধুনা নাম রাম মোহন সরণী। এই রাস্তায় শ্রদ্ধানন্দ পার্ককে বাঁ-দিকে রেখে বৌবাজার স্ট্রিটের দিকে হাঁটতে থাকলে বাঁ-দিকে আসবে ডাফরিন হাসপাতাল। অতটা না গিয়ে কিছুটা আগেই ডান দিকে চোখে পড়ে একটা সরু গলি, নাম সিদ্ধেশ্বর চন্দ্র লেন। গলির মুখে ডান দিকে …”
ভ্রমণকাহিনি, প্রকৃতি, বাকিসব
বালি: অন্য হিন্দু
-
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা "অন্যান্য দেশের মতো বালিতেও মন্দির বা কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হলে নিয়মমাফিক পোশাকের দরকার। এমনিতেও দ্বীপে পুরুষ বা মহিলা কেউই ছোট হাফপ্যান্ট বা হাতকাটা জামা পরেন না। মন্দিরে ঢুকতে হলে পুরোহিত একটা কোমর থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা লুঙ্গি বা সারং পরিয়ে দেবে।..." (ভ্রমণ)
বাঙাল প্রথম বিদেশে
-
সুনন্দন চক্রবর্তী "বাঙালরা কতখানি পাগল সে নিয়ে নানা মত আছে। কিন্তু তারা যে পুরোপুরি প্রকৃতিস্থ নয় এ ব্যাপারে সবাই একমত। বিজয়গড় ভর্তি বাঙাল তো ছিলই এছাড়া মাঝে মাঝে কিছু নন-রেসিডেন্ট পাগল হাজির হত। তাদের সাধারণত বিচরণ ক্ষেত্র হত পল্লীশ্রীর মোড় থেকে বিজয়গড় বাজার। একবার সেখানে ..." (ভ্রমণ)
চাঁদের হ্রদে দু জনে (২)
-
রাহুল মজুমদার "চন্দ্রতাল দু জনের মন এতটাই জুড়ে ছিল যে, পাশে পাশে ছুটে চলা চন্দ্রাকে খেয়ালই করেনি। চমক ভাঙল, যখন গাড়ি মূল রাস্তায় পড়ে বাঁয়ে মোচড় মেরে চন্দ্রার সঙ্গ ত্যাগ করল। পথ এখন মোটেই বন্ধু-র মতো নয়, রীতিমত বন্ধুর। দিবস জানাল, লোসার পেরোনো পর্যন্ত এই অনিচ্ছা-নাচন চলবে। ..."(ভ্রমণ)
নাটক
অষ্টমীর মেয়ে
-
কৌশিক সেন ছয় অংকের সম্পূর্ণ নাটক। "নমস্কার, আমার নাম চয়ন মৈত্র, পেশায় ডেটা সাইন্টিস্ট, নিবাস ক্যালিফোর্নিয়া, কিন্তু মনের বাসা কলকাতায়। পুরনো বান্ধবীদের মধ্যে বিশেষ একজনের বিয়ে ঠিক হয়েছে, তাই জন্য দেশে আসা কিন্তু এর মধ্যে আমার নিজের গল্পও আছে। বেশি কিছু বলবো না, আপনারা বরং.."