শীতের অলিন্দ থেকে
এখন আচ্ছন্ন শীত, জলের শিয়রময় ঘুম
মৃত ঢেউ অজান্তে, শাল্মলীর ছায়ার অতীত
সেও খুব স্পষ্ট নয়—নিতান্তই মায়াবি কুহক
শব্দহীনতায় ক্রমে ভিজে ওঠে দেওয়ালের বুক
এসব শর্তাবলী পূর্বাপর অজানিত নয়
তবুও বিস্তৃত হয় ধানক্ষেত, সবুজের ঘ্রাণ
তারা আজ প্রিয় চিঠি, প্রিয় কথা—শোক
ঘুমেদের গোত্র নেই, তিলমাত্র স্পর্ধা আছে শুধু
এভাবেই ছন্দহীন..অথচ এ অস্থিরতা নয়
তৃষ্ণা নয়, ক্ষোভ নয়—হয়তো নিছক অছিলাই
এমত প্রশস্তি তুমি ছড়িয়ে দিয়েছো অজানিত
কেবল বারান্দা খোঁজে গুল্মলতার সংসার..
শব্দহীনতায়
কি শব্দ বেঁচে থাকে, এতোখানি পথ এসে?
নির্জনের মোহ, কথা, সবটুকু আমন্ত্রণ
ক্ষয়ে আসে, প্রহসন মনে হয়
ফিরবার পথ ক্রমে ফিরে যায় অর্ধশতক--
বনস্পতি ঘিরে ধরে ঢোলকলমীর দেহ।
আসলে এ দীর্ঘ অনভ্যাস
প্রবল জড়িয়ে থাকে, তুচ্ছতর হয়ে আসে
আজন্মকালের খোঁজ,
শিকড়ের সন্ধান—সেও বড় আপৎকালীন
রোদ্দুরের অহমিকা, ফিরে যাও এইবার
অসুখ তো সূতানুটী বুনেছে কবেই
শিমুলতুলোর মত নম্র অন্ধকার আর
পশমিনা কিছু ঘুম –এটুকুই পিছুটান রেখে যেও
মোহ, প্রেম, জড়তার নির্বান্ধব ঠোঁটে
(পরবাস-৪৯, অক্টোবর, ২০১১)