ISSN 1563-8685
তিনটি কবিতা
জল কাদার অভিব্যক্তিতে
উচ্চতায় উঠতে উঠতে, মাঝে মধ্যে
মাটির বুকে মাথা ঠেকিয়ে নিতে হয়।
সেখানে মহাকাশের অলংকার খুলে
মেখে নিতে হয়, জল কাদার অভিব্যক্তি।
না হলে উচ্চতার সর্বোৎকৃষ্ট
হ্যালোজেনীয়-স্তরে পৌঁছে গেলেও
শ্মশান কাঠে, শূন্যতার দিকে পাশ ফিরে শুতে হয়...
স্ফটিক আদর
তোর বাড়িতে আর ঘুমাব না...!
তোর বিছানায় রাখব না আর
জলের পাড় ছোঁয়া যত উত্থান-পতন;
ছলাৎ শব্দের ঘনিষ্ঠতা
তামাক পোড়া ঠোঁটের
স্ফটিক আদর।
তোর আলনায় নীল কুচির শাড়ি যত,
রাখব না রাখব না,
শুকোবো না স্যান্ডো।
তুই তো বুঝবি না—
পাজামার বোতামগুলো সব বয়ঃসন্ধিতে আছে।
মিছে মিছেই কবে আলতা মাখতে বসে পড়বি;
তখন?...
তৈল স্ক্যানার
আমি যখন চিত্রনাট্যে প্রবেশ করলাম—
সম্পাদকীয় থেকে তথ্যভাণ্ডার পর্যন্ত কেবল
খাঁচাভর্তি পুষ্যি টিয়ার পাণ্ডুলিপি;
ফর্মার পর র্ফমা, টাঙানো রয়েছে স্লাইড বাই স্লাইড!
আমি কবিতাগুলির ওপর হাত বোলাতেই—
আঙুলের ডগা অতিরিক্ত তেলরঙে,
চ্যাট-চ্যাট করতে লাগল।
তাই নিরুপায় হয়ে, মধ্যবর্তী তক্তপোশে বসে
অক্ষর-গ্রন্থিগুলির ওপর
একটা কালার ফিল্টার ইন্সটল করার
আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এখন দেখি, মগজ ধোলাই চেম্বারে
ঢোকার আগ পর্যন্ত
পুরো কাজ কমপ্লিট করতে পারি কিনা...