দুটি তপোবন
দুটি তপোবন,
একটি মাটি ছুঁয়ে;
  সেখানে
রূপের চমক লেগে
  এক চোখে আঁধার—
নিকটকে দূর করে,
  দূরকে নিকট;
  সেখানে
দেহটি মনোহর।
বাতাসে গন্ধ আসে,
ঘুমে ঢেকে রাখে
অপরটি স্বর্গের সীমায়;
সেখানে
চোখের জলে শরীর ধুয়ে
ভোগ বিনীত
আত্মসমর্পণ করে
স্বর্গ আর পৃথিবীর সীমা;
সেখানে নেই দেহের গরিমা।
ভোগের ইতিকথা হয় সমাপ্ত;
রূপরাণীর সন্ন্যাসিনী-বেশ।
(পরবাস-৫২, সেপ্টেম্বর, ২০১২)