লেখক ও শিল্পী পরিচিতি





আবুল (মঃ নুঃ) আলম খুলনার বি, এল, কলেজ-এ পদার্থবিদ্যার অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়ে এখন থাকেন মন্ট্রিয়ল, ক্যানাডাতে। মাঝে ইউনেসকো, প্যারিস-এর আইন বিভাগেও কাজ করেছেন। নিজের প্রিয় বাঁশের বাঁশি ও বেহালা বাজানো ছাড়াও এখন সময় কাটান লেখা-পড়ায়, ছবি তোলায়, এবং সমাজসেবাতে।



অমিতাভ (জন্ম ১৯৭৫) ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা এবং তুলনামূলক ভারতীয় সাহিত্য পড়ান। মুলত প্রাবন্ধিক। ইংরেজি এবং বাংলা দুটি ভাষাতেই কবিতা লিখছেন।



পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)



অনন্যা দত্ত আই,আই, টি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে থাকেন। মানসিক বিকাশ কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় স্কুলের পড়া হয়নি। ছবি আঁকতে ও গান গাইতে ভালবাসেন।



অরুণ কাঞ্জিলাল-এর জন্ম (১৯৫৪) কলকাতায়। বিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৭৫) হওয়ার পর তাঁর কর্মজীবনের শুরু। প্রথমে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইণ্ডিয়া (১৯৮১-১৯৮৬), অতঃপর সাহিত্য অকাদেমিতে যোগদান (১৯৮৬)-বিপণন সহায়ক হিসাবে। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আন্দামান সহ ভারতের নানা স্থানে অকাদেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গ্রন্থপ্রদর্শনী ও বিপননে। বর্তমানে তিনি ঐ সংস্থার বিক্রয় আধিকারিক।

সাহিত্যচর্চা করছেন গত এক দশক ধরে। গল্প লেখেন, পাঠকমহলে যা ইতিমধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিশাল বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষকে নানা সময়ে নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক লেখক। এই ধারায় নবতম সংযোজন অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প। তাঁর নির্বাচিত প্রথম গল্পের সংকলন সৌহার্দ্য (২০০৫)। ২০০৯-২০১০ বর্ষে তপতী ঘোষ বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকারের স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দিবাকরের ভারতবর্ষ - একুশটি গল্পের সংকলন। আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায়গত অন্ধতার বহু ঊর্ধ্বে স্থিত তাঁর গল্পগুলোর পরতে পরতে মেলে ভারতভ্রমণের বিচিত্র স্বাদ।




অরুণিমা ভট্টাচার্য্য-- জন্ম - পাঞ্জাব, বড়ো হওয়া - কলকাতা, পড়াশোনা - তামিলনাডু, কর্মসূত্রে বেশ কিছুদিন - মহারাষ্ট্র। এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনাতে। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি। নেশা অনেক--যেগুলো বলা যায় তা হলো বই পড়া, গান শোনা, নাটক ও সিনেমা দেখা। কবিতা লেখা একটা সাম্প্রতিক আকস্মিক দুর্ঘটনা।




ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় থাকেন পুরুলিয়া জেলায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন। পছন্দের জিনিশ--কবিতা, গান, আবৃত্তি, আর একা একা থাকা।



ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্‌কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।



বিভাস রায়চৌধুরী কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: শিমূলভাষা, পলাশভাষা, জীবনানন্দের মেয়ে, চণ্ডালিকাগাছ, পরজন্মের জন্য স্বীকারোক্তি, যখন ব্রিজ পেরোচ্ছে বনগাঁ লোকাল ও সমস্ত দুঃখীকে আজ। সম্প্রতি 'বাইশে শ্রাবণ' নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরির 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' ১৪১৯ সালের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছে।



ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্‌বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।



ডেভিড সুমন্ত্র হেমব্রম-এর পড়াশোনা বাংলা নিয়ে। বেসরকারি হাউসে চাকরি করেন, ঘুরে বেড়ান এদিক সেদিক, আর আন্তর্জালে কবিতা লেখেন মাঝে-সাঝে।



দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন। প্রকাশিত বই - ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা ও দোর্দোবুরুর বাক্সজয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।



দেবর্ষি সারগী-এর জন্ম ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়ায়। কর্মজীবন শুরু একটি বাংলা দৈনিকে সাংবাদিক হিসাবে। পরে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসাবে কলেজে যোগদান। গত ২০ বছরে অজস্র ছোটগল্প, বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধ নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত। ২০০৬ সালে পেয়েছেন ভারত সরকার প্রদত্ত সাহিত্য পুরস্কার 'ভাষা-ভারতী সম্মান'। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ - রাজার জ্ঞানতৃষ্ণা, দেবর্ষি সারগীর ছোটগল্প, নির্বাচিত গল্প। প্রকাশিত উপন্যাস - পাঁচপুরুষ, গরীবগুর্বোদের উপকথা, গল্পকার ইত্যাদি।



দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।



দূর্বা বসু শান্তিনিকেতনের পাঠভবন ও শিক্ষাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করেছেন। পরে আমেরিকায় লিবারেল আর্টস-এ মাস্টার্স--তখন বিশেষ বিষয় ছিল জেণ্ডার স্টাডিজ। সামাজিক নানা সমস্যার উপরে আগ্রহী এবং এ-বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন।



জয়ন্ত নাগ অনেক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করছেন; দেশ, বিভাব, কালি ও কলম, বিচিত্রা ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর প্রবন্ধ, ছোটোগল্প, কবিতা, সিনেমা-সমালোচনা, ভ্রমণকাহিনি ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। রবিশঙ্কর, ফাল্গুনী মিত্র, পীট সীগার, মৃণাল সেন প্রমুখের তাঁর নেওয়া সাক্ষাৎকারও বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তাঁর রচিত একটি গীতি-আলেখ্যর সিডি প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫ বছর কানেক্‌টিকাট-এর একটি কেমিক্যাল কর্পোরেশনে পরিবেশ-বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত।



জ্যোতির্ময় দাশ দীর্ঘকাল প্রবাসে কাটিয়েছেন। মুলত কবি কিন্তু প্রাবন্ধিক, রম্য রচনাকার, শিশু সাহিত্যিক এবং অনুবাদক হিসেবেও পরিচিত। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২। সাহিত্য অ্যাকাডেমি, ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর স্বীকৃত অনুবাদক ও নিরীক্ষক (রিভিউয়ার)। বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন কবিতা পাঠের আসরে কবি হিসেবে যোগদান করেছেন। বর্তমানে ‘পদক্ষেপ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত আছেন।



হাসান জাহিদ: জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। আশির দশকের গল্পকার হাসান জাহিদ । প্রথম গল্পগ্রন্থ ‌`প্রত্নপ্রাচীন ‌দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। বাংলা ও ইংরেজিতে হাসান জাহিদের অসংখ্য প্রবন্ধ জাতীয় দৈনিকে ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। ঢাকায় অমর একুশে বইমেলা ২০১২ উপলক্ষে হাসান জাহিদের উপন্যাস `‌অনাদ্যন্ত` ও গল্পগ্রন্থ ‌`পোড়ো মানবের গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কানাডার টরোন্টোতে স্থায়িভাবে বসবাস করছেন।



কালীকৃষ্ণ গুহ-র জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।



কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।



নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।



নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, যদিও ইদানীং কিছুদিনের জন্য তিনি প্রবাসে স্বেচ্ছানির্বাসিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন।



রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র‍্যালফ্‌ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্‌ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।



রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে: হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ



রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ ফলেন কমরেড



ঋতব্রত মিত্রের জন্ম ১৯৭৭-এ। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা শহরে। মা-বাবা দুজনেই ছিলেন অধ্যাপক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে এখন 'চেস্ট-মেডিসিন'-এ স্পেশ্যালিস্ট। অবসর সময়ে কবিতার পাশাপাশি গদ্য চেষ্টাও চলে। তবে শখে নয়। শখ--গান শোনা, প্রাচীন মিসরীয় চিত্রলিপি পড়ার চেষ্টা করা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ঘর আছে, ঘর নেই (বাক্‌প্রতিমা), মাটি ও মোহর (আনন্দ), স্মৃতির ঘরে আলো (কৃত্তিবাস) এবং পরাশান্তি মনপ্রহরা (আনন্দ, ২০১৩)।



গেষ্টেটনার ইন্ডিয়া-তে সমর চ্যাটার্জির কর্মজীবন শুরু ১৯৬৯-এ। ২০০৬-এ অবসর নিয়ে এখন লোকের পিছনে তাড়া দিয়ে বেড়ান যাতে মুখের কাঠিটা ফেলে দেয় চিরদিনের মতো (Anti-Smoking Campaigner)। লেখা পড়া নিয়ে আপাত নিবাস কলকাতায়।



সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।



সঞ্চারী মুখার্জী সবে বাটানগর থেকে ভালোভাবে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এখন অ্যাকাউন্‌টিং নিয়ে স্নাতক-স্তরে পড়ছেন। নাচতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।



শংকর চট্টোপাধ্যায় (জন্মঃ মার্চ ১৯৩৪) অর্ধশতকেরও বেশি কাল রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় রয়েছেন। অনেক লেখাও লিখেছেন। সবই লিটল ম্যাগের চেয়েও ছোট পত্রিকায়। 'রবীন্দ্রনাথ ও বাউল' সংকলনে একটি লেখা আছে। কোনো গ্রন্থ নেই। আরও দুতিন বছর সংগীতচর্চা চালাতে চান। জনপ্রিয় লেখক বা গায়ক কোনোটাই নন।



সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।



স্বপন কুমার ঘোষ : জন্ম কাশীধাম (অগস্ত্যকুণ্ড) ৭ নভেম্বর, ১৯৫০। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' থেকে স্নাতকোত্তর উপাধি (১৯৭৩)।

বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে 'চিন্তামণি মুখোপাধ্যায় এংলো বেঙ্গলী কলেজ' (বারাণসী)-তে যোগদান (১৯৭৩)। 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর 'বাংলা বিভাগ'-এর দায়িত্ব (১৯৮২-৮৩)। 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' এবং 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর একদা বাংলা ভাষা-সাহিত্যের পরীক্ষক। ১৯৮৭ সাল থেকে কলকাতায় রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ আদালতের আদিভাগে ভাষান্তরণ আধিকারিক। অনুবাদ-সাহিত্যে প্রথম প্রেরণাদাতা এংলো বেঙ্গলী কলেজে তাঁর ইংরাজী ভাষাসাহিত্যের অধ্যাপক, পরে অগ্রজ সহকর্মী শ্রদ্ধেয় গোপালচন্দ্র দাস। যিনি 'রসিকবিহারী' ছদ্মনামে 'কেন্দ্রীয় সাহিত্য আকাদেমি'-র অনুবাদক ছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় কাশীর হিন্দী সাপ্তাহিক 'অবকাশ'-এ প্রথম প্রকাশিত বাংলা থেকে হিন্দীতে অনূদিত গল্প 'নদী' (মূল রচনা বনফুল) ক্রমশ বাংলা, হিন্দী, ওড়িয়া, ইংরাজীতে পরস্পর অনুবাদ। সম্পাদনা ও প্রকাশনা 'স্বপনতরী' (শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকা)। প্রথম প্রকাশিত একক গল্পগ্রন্থ 'এই বইটা আমার'। 'অয়নান্ত' নামে একটি ওড়িয়া উপন্যাস বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন।




যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। প্রকাশিত কবিতার বই: পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬), পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮), রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯), চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯), আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১), মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫), ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।



(পরবাস-৫১, জুন, ২০১২)