বাঁশির সুর
আঁধারে যেতে যেতে
ভোরের শংখনিনাদ
শুনি অকস্মাৎ
বজ্রর জন্য রাখা আমার হাড়ে
অনুভব করলাম বাঁশির সুর।
বাঁশিটি রক্তের গভীরে, হাড়ের মধ্যে
লুকিয়ে ছিলো এতকাল। তাতে
লুকিয়ে রেখেছিলাম সময়ের কিছু
শুকনো পাতা।
পাতাগুলো সরিয়ে দিলে কে?
কার ওগো ওই স্নিগ্ধ হাত!
সংহত শব্দ
তোমার জন্য
আমার জমানো একটি শব্দ
জপমালার মণির মতো
আঙুলে ঘুরে ঘুরে চলে...
যেভাবে
ঘুরতে থাকে
রাত্রির আকাশে অন্ধ নক্ষত্র।
তোমার জন্য
একটি সহজ, সুন্দর শব্দ...
রক্তের আখরে
"এতো অল্পে বিচলিত হলে
তোমার কী করে চলে?"
আঁধার আমাকে এই বললে।
কবি আমি ছিলাম না কোনোকালেই
ব্যর্থতার আঁধারে আমাকে শুধু
সত্যকে সহজে শেখালে
কবি আমি ছিলাম না কোনোকালেই।
আলো
রূপোলি হাঁস
হৃদয়হ্রদে
লুকিয়ে রয়েছে
বারোটি মাস।
সিঁদুরে যেখানে রাঙা
বিকেলের সাজ
পুনশ্চ
প্রতিদিনই আমার এক একটি মৃত্যু
হাতের রেখায় দীর্ঘ পরমায়ু।
এভাবেই আমি আছি। স্বপ্নের পরীর
পায়ের শব্দ শুনে মনে মনে ভাবি:
জীবন যতোটা সুন্দর হতে পারে,
সুন্দর তার চেয়েও।
ভোগালি
তুমি তো জানোই
এই কবির আর কিছু নেই।
একটি মাত্র কামিজ
তারো এখানে-ওখানে সেলাই।
প্রেম নিশ্চয় এমনই
আবরণ খুলে হৃদয় জুড়ায়।
জোনাকিমন — ৪২
শূন্যগর্ভ বাউল
হাতে বিস্ময়ঘেরা
প্রেমের বিমুক্ত মুক্তা
আমার নির্বোধ নিয়ত দুখ,
তিলে তিলে
তিক্ত কিন্তু তিলোত্তমা
(পরবাস-৫৪, জুন ২০১৩)