ISSN 1563-8685




সম্পাদকীয়

বিগত দেড়দশক বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বাঙলা সাহিত্যের চর্চার সঙ্গে যুক্ত থেকে 'পরবাস' কখনও নিরাশ কখনও টগবগে।

নৈরাশ্য কেন? ষোলবছর আগে 'পরবাস' শুরুর সময়ে আশা ছিল যেহেতু এর পাঠকদের অনেকেই উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, পরবাস-এ কোনোদিন প্রবন্ধের অভাব হবে না--বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে। মানতে হবে যে সে আশা ঠিক পূর্ণ হয়নি--হয়তো হবু লেখকদের ধারণা এই যে পরবাস বোধহয় 'সাহিত্য' ছাড়া আর কিছুতে তেমন আগ্রহী নয়। সেই ধারণা অমূলক। বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি বিষয়ে লেখাও সাহিত্য হতে পারে। পাঠকদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা এর একটা বিহিত করুন। জানান আপনারা কী নিয়ে গবেষণা করছেন--কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কী জিনিস, বা কীভাবে নতুন বাড়ির ডিজাইন করা উচিত যাতে এক মধ্যবিত্ত তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প খরচে বৃষ্টির জল আহরণ করে জলস্তর বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।

আবার যখন ই-মাধ্যমে পরবাস বুকস্টোরে এমন এক চিঠি আসে 'সঞ্চয়িতা'র খোঁজে, তখন মনে হয় বৈদ্যুতিন পরবাসের সঙ্গে সনাতন পদ্ধতিতে ছাপা প্রযুক্তির মেলবন্ধন সার্থক হল। পরবাসের প্রধান সার্থকতা হল এরকম অনেক যোগাযোগ ঘটানো--কতো বিভিন্ন দেশের মানুষদের মধ্যে তার শেষ নেই।

জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের ডায়েরির অংশ-সমেত পূর্ণিমা সিংহের স্মৃতিমূলক, এবং বিশ্লেষণধর্মী রচনাটি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। 'নিতাই খুড়ো' ও 'নগেনের গিন্নী'র (রেকর্ডিং-এর) খোঁজ চলছে, আশা করি শীগ্‌গিরই জ্ঞানপ্রকাশের স্বকন্ঠে তাঁদের কাহিনি শুনতে পারব।

নতুন কবি ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় অল্পদিনের মধ্যেই পাঠকদের মন কেড়ে নিয়েছেন--'বৃষ্টিভোরের পাখি' নামে তাঁর একটি কবিতার বই এই সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।

পরবাসের শুরু থেকে প্রবন্ধের পাশাপাশি এই আশাও ছিল চিন্তার খোরাক জোগাবে (এবং তর্ক-সংকুল) মতামত পাব অনেক, সে আশা এখনো রাখি, যদিও আন্তর্জালের ধরন বোধহয় "বিশদ" মন্তব্যের পরিপন্থী।



(পরবাস-৫৪, জুন ২০১৩)