শরৎ এলে খুশির ছলে
শরৎ এলেই নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা,
শরৎ এলেই কাশের বনে
খুশির মত্ত খেলা।
শরৎ এলেই শিউলি ডাকে
পদ্ম হল সই,
শরৎ এলেই নৌকো ভাসে
ঢাকা রঙিন ছই।
শরৎ এলেই ধানের ক্ষেতে
সবুজ রঙের ছটা,
শরৎ এলেই প্রকৃতিতে
নতুন সাজের ঘটা।
শরৎ এলেই দুগ্গা আসে
বাজে মধুর বাঁশি,
সবার মুখে তবু কেন
থাকে না এক হাসি!
করো কেমন অসুর দমন
বছর বছর দশভূজা
আসছো মর্ত্যধামে,
লক্ষ্মী-গণেশ-সরস্বতী
কার্তিক ডানে-বামে।
কত অস্ত্র হাতে তোমার
রণং দেহি মূর্তি,
তবু কেন জাগে না হায়
আগের মত ফূর্তি!
চারিদিকে দুর্জনদেরই
পেশীর আস্ফালন,
ঘুমটা তারা নিচ্ছে কেড়ে
মুচড়ে ওঠে মন।
আবার তোমার অস্ত্রগুলো
উঠুক ঝনঝনিয়ে,
নতুন করে অসুর দমন
করো শক্তি দিয়ে।
পাঠের ফাঁদে শৈশব কাঁদে
ছোট্ট শিশু দুষ্টু-মিষ্টি
মাত্র ক্লাস ওয়ান,
ভেবেছো কি হয়েছে সে
মস্ত বড় জোয়ান!
সকাল হলেই তারই পিঠে
চাপে মস্ত ব্যাগ,
বইয়ের ভারে নুইয়ে পড়ে
করল খেলা ত্যাগ।
বাংলা-ভূগোল-ইংরেজী আর
বিজ্ঞান-ইতিহাস,
পড়তে পড়তে হচ্ছে পাগল
চাপছে যেন ফাঁস।
শিশু মনের মুক্ত আকাশ
পাচ্ছে না আর খুঁজে,
তবু কেন চাপাই বোঝা
এসব কথা বুঝে!
(পরবাস-৫৫, অক্টোবর, ২০১৩)