বেহালার মুখে
মৌন একটি বেহালার ধারে
আমি বসে রয়েছি
আমি আদি দুঃখের
সন্তান
আমার হাতে লেগে আছে
মরা মাছের গন্ধ
আদি নৃত্যের মুদ্রা
আমি আদি দুঃখের
সুর
মৌন এক বেহালার ধারে
বসে থাকা
তোমার ভেজা ঠোঁট
তোমার ভেজা ঠোঁট উপচে
আমি মাটির ছায়া
প্রেমে অসহ্য যন্ত্রণা সয়ে
রাঙা একটি গাছ
কোন নিবিড় বনানীতে
তোমার ছায়া
আমার হাত ধরার জন্যে
শরীর খুইয়ে
কবিতার ফোন
ফোনের রিসিভারটি নিয়ে
আমি এপারে কথা বলছি
সে ওপারে
আমি এখানে নেই
সেও সেখানে নেই
যাদুর কাঠিতে সে আমায়
কোথায় যে নিয়ে গেছে
আর আমি
একের পর এক
তার সকল আবরণ
খুলে ফেলছি
আবরণ খুলে
যাকে পেয়েছি
সেই কবিতা
এক চাপড়া মাটি হয়ে
আকাশের ফাটলে
ঢুকে পড়ি
একচাপড়া মাটি হয়ে
সেখানে একটি দুর্বো
গজায়
পথ হারা এক তারা
তার ছায়ায় বসে
কী করি আমি
কোথায় যে মরি
নিয়তি
যে শুয়ে আছে
শ্মশানের হাওয়ার মাঝে, সেই ভাগ্য যাদের
কতো নিরাপদ তারা।
আর এতো উদাসীন আমার নিয়তি
স্মৃতিহারা এক স্থবির বৃদ্ধের মতো
আমাকে শোয়াতে ভুলে যায়
ভেজা ওভারকোট পরে আমি যুদ্ধ করে থাকি
তার সঙ্গে। সে আমাকে মরতে দেয় না
কারণ, যে আমাকে জীইয়ে রেখেছে সেও কি
এমনি ছেড়ে যাবেনা আমাকে?
(পরবাস-৫৬, মার্চ, ২০১৪)