নিঝ্ঝুম সন্ধ্যা। দোকানে একা তুই। পাতলা মেঘ, তার কাঁথায় চাঁদ।
এইর’ম চললেও ক্ষতি কী ছিল বল্? ফির ভি মন চায় মাথায় ছাদ।
স্বপ্নের দর্জায় আঁকা কত গোলাপ! আমরা বিলকুল রোমান্টিক।
কন্টক-স্পর্শের অনুভূতিটা যেই ধাক্কা দেয়, পাই প্রমাণ ঠিক।
অস্থির কঙ্কাল দু’বেলা গলে যায়, রক্তপাত হয় আচম্বিত্।
বেশহীন বৈকাল। আহত গোধূলি। কেউ ফেরায় তার না সম্বিৎ।
সন্ধ্যার সন্ত্রাস নিমেষে মুছে দেয় শয্যাসজ্জার নিবিড় সাধ।
হরতাল! ব্যর্থ শরীরী আয়োজন। ওষ্ঠচুম্বন কী বিস্বাদ!
ঝড় এক্সট্রীম। আর অসহনীয় শীত। ঝঞ্ঝ্বাবিক্ষুব্ধ পত্ঝর।
সংগ্রাম চলছেই। এখনো সারারাত আর্তনাদ। ক্রুর শপথ-ঝড়!
চারদিক বাঙ্ময়। শ্রবণে মনে হয় নেই সে বান্ধব, কি সজ্জন।
ধন নয়। মান নয়। এতটুকু বাসার সেই আশায় জল। বিসর্জন।
(পরবাস-৫৭, জুলাই ২০১৪)