পরবাসে
ইন্দ্রাণীর

লেখা





বৃষ্টিভোরের পাখি
(সূচিপত্র)

বছর শেষ হয়ে এলো, অথচ যাওয়া হোল না কোথাও
আজ যাই কাল যাই এইভাবে চলে যায় কতদিন
তবে কবে দেখা হবে ধূসরের সাথে? ভুলে যাই সবকিছু
কোথায় যাবার কথা ছিল যেন—যেতে হবে কথা নিয়েছিল কেউ

বহুদূরে যেখানে পায়ের নিচে রুক্ষ মাটি ও কাঁকর
দুয়ারসিনি—ওখানে মন্দিরময় নদীর জল উঠে আসে বর্ষাদিনে
ক্ষীণস্রোত ঝর্ণার দীর্ঘশ্বাস শোনা যায় সারারাত
হয়তো গভীর রাত ছেয়ে ফেলে রিসর্টের অন্ধকার বারান্দা

ভেজা মাটিতে রোদের গন্ধের মতন দুপুর কাছে আসে
তার মুখে চেনা কার মুখের আদল—এই দৃষ্টিভ্রমে
প্রতিবার ফিরে আসে বর্ষবরণ, যাওয়া হয়না কোথাও আর

কোথাও যাই না আর এমনকি বিষাদেও নয়
ফসলের ঋতুকাল ভেসে যায় চৈত্রের খরায়



(পরবাস-৫৯, এপ্রিল ২০১৫)