Parabaas Moviestore




Parabaas Musicstore




Subscribe to Magazines






পরবাসে
শ্রেয়সী চক্রবর্তীর

লেখা


ISSN 1563-8685




ফিরে পড়া বইঃ সুধীরঞ্জন দাসের “আমাদের শান্তিনিকেতন”


আমাদের শান্তিনিকেতন; সুধীরঞ্জন দাস; প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ: রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নন্দলাল বসু, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ অনেকে; প্রথম প্রকাশ: আশ্বিন ১৩৬৬ (ইং. ১৯৫৯); বিশ্বভারতী; পৃষ্ঠাঃ ১১১; ISBN: নেই

নেক দিন আগে পড়া কোনো বই-এর স্মৃতি কেবলি ঘাই মারছে? ফিরে ফিরে পেতে ইচ্ছে করে অথচ হারিয়ে যাওয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলছবির মত হারিয়ে গিয়েছে, তেমন বই-এর ফিক্সেশনে মন মেদুর? তাহলে এটাই ‘ফিরে পড়া বই’ কলামে ঢুঁ মারার সঠিক সময়। তবে একে ‘কলাম’ না বলে ‘অ্যালবাম’-ও বলা যায়। পুরোনো ছবির মত পুরোনো বই-এর অ্যালবাম। ইতিহাস হয়ে যাওয়া দিনের কথা-গল্পের নেশালো গন্ধ, যা বিবর্ণ হলুদ হতে হতে চারপাশে একঝলক লাজুক চেয়ে আবার দিব্য নতুন হয়ে ওঠে নতুন কালের পাঠকের মনে। প্রতিদিনই অগুন্তি অজস্র বই বেরুচ্ছে আলোচিত হচ্ছে, সমালোচিত হচ্ছে আবার কালের তরঙ্গে হারিয়ে যাওয়ার কিংবা টিঁকে থাকার স্বপ্ন মেখে আশ্রয় করছে অদৃশ্য সোফা-কৌচ! এ লীলা অনবরতের। কিন্তু মনে লেগে থাকা খ্যাত অথবা অখ্যাত ফেলে আসা, এইসময়ে কম পঠিত, স্বল্প-আলোচিত বইয়ের স্বাদ দধির অগ্রে না হলেও ঘোলের শেষে মিটিয়ে নেওয়ার শখ নেহাত মন্দ নয়। আর আপাতত এই শখের অকূল সাগরে মজ্জমান বর্তমান লেখক (আদতে চিরকেলে হা-প্রত্যাশী পাঠক) আপনাদেরও সেই স্মৃতিজলোচ্ছ্বাসমণ্ডিত যাত্রার সঙ্গী হতে আহ্বান থুড়ি বাধ্য করছেন। অর্বাচীন বাঙালির এই অসীম দুঃসাহস তাৎপর্যে স্নিগ্ধমধুর প্রসন্নতা লাভ করবে এমন আশাও তিনি একেবারে ছেড়ে দিচ্ছেন না! অতএব সংগচ্ছধ্বম্‌...

আজকালকার ‘আমোদের’ নয়, ‘আমাদের’ শান্তিকেতন পড়তে শুরু করলে (ব্যক্তিরুচির ভেদনীতির কথা মাথায় রেখেও বলা যায়) প্রথমেই চোখ আর মনকে যা আচ্ছন্ন করে ফেলে তা হল শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য আশ্রমের আদি সরল প্রাণপূর্ণ অকৃত্রিম রূপ। ১৩০৮ সনের ৭ই পৌষ উৎসবের দিন রবীন্দ্রনাথের হাতে এই ব্রহ্মচর্যাশ্রমের প্রতিষ্ঠা। আর এই কৈশোরক শান্তিনিকেতনের প্রথম দিকের স্বল্পসংখ্যক ছাত্রদের একজন শ্রী সুধীরঞ্জন দাস।

রাখাল চন্দ্র দাস এবং বিনোদিনী দাসের পুত্র সুধীরঞ্জন ১৮৯৪ তে জন্মগ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের ‘তেলিরবাগ’ অঞ্চলে বিখ্যাত দাস পরিবারে। তাঁর জ্ঞাতিভ্রাতা ছিলেন বরেণ্য দেশনায়ক শ্রীযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ। শান্তিনিকেতন পাঠভবনের পাঠ শেষ করে সুধীরঞ্জন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন এবং পরে লন্ডনে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে আইন পাশ করেন। তিনি ১৯৫৬-১৯৫৯ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন; পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন হন। ১৯৭৭-এ তাঁর প্রয়াণ ঘটে।

মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি শান্তিনিকেতনে পড়তে যান; আর যাওয়ার আগে তাঁর এক দাদা তাঁকে এই বলে ভয় দেখিয়েছিলেন যে রবি ঠাকুর দুরন্ত ছেলে ‘ঠেঙিয়ে সিধে’ করার জন্যই ‘শান্তি’নিকেতনের ব্যবস্থা করেছেন।

বহু মানুষ শান্তিনিকেতন-স্মৃতি লিখেছেন। সীতা দেবীর লেখায় শান্তিনিকেতনের একেবারে আদি যুগের কথা কিছুটা বলা আছে, কিন্তু সে দেখা অতিথির চোখ দিয়ে দেখা। সে দেখা অন্তরের অংশীদার হয়ে নয়। আরও অনেক মানুষই এ বিষয়ক স্মৃতি লিপিবদ্ধ করেছেন, রাণী চন্দ, উইলিয়াম পিয়ারসন, অনেক পরে প্রমথনাথ বিশী কিম্বা উত্তুঙ্গখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী কিম্বা লীলা মজুমদার, বুদ্ধদেব বসু, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত এবং আরো কত ভারি ভারি নাম! আর সেই প্রতিটি লেখাই স্বাদে গন্ধে অনির্বচনীয়। এই আলেখ্যটিও তার ব্যতিক্রম তো নয়ই উপরন্তু সুধীরঞ্জনের লেখায় পাই নোবেল লরিয়েট বিশ্বসাহিত্যের প্রতিভূ বিখ্যাত রবীন্দ্রনাথকে নয়, বরং শিলাইদহের কুঠিবাড়ি, পদ্মা বোটের গন্ধ মাখা ক্রমেই নিভে যাওয়া সামন্ততন্ত্র আর জ্বলে উঠতে থাকা প্রজ্ঞা-মশালের আলো আঁধারিতে অভিজ্ঞতার পথে নতুন মানুষ রবীন্দ্রনাথকে। অনেকের কাছেই তখনো তিনি ‘বাবুমশাই’ (যেমন মাস্টারমশাই শ্রীযুত হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জগদানন্দ রায়; যেহেতু এঁরা দুজনেই শিলাইদহের কুঠিবাড়ির কর্মচারী থেকে ব্রহ্মচর্যাশ্রমের শিক্ষক পদে বৃত হয়েছিলেন)। আবার তারই সঙ্গে সমান্তরালে প্রচলিত হচ্ছে তাঁকে ‘গুরুদেব’ বলার রীতি (ক্ষিতিমোহন সেন, বিধুশেখর শাস্ত্রী আদি শিক্ষকেরা)। শান্তিনিকেতনের নবীন কালের প্রাকৃতিক অঙ্গ-সৌষ্ঠব, স্থাপত্যশিল্প, শিক্ষকবর্গ, নাটকাভিনয়, অর্থের অভাব এবং সর্বোপরি শিক্ষক রবীন্দ্রনাথের আদর্শ এই সমস্ত বইটিকে মনের মধ্যে ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ করে তোলে এক নিমেষে। সুধীরঞ্জন দাস ছিলেন রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের সহধ্যায়ী। একই সঙ্গে জীবন যাপনের ছোট ছোট মুহূর্তে তিনি ‘শমী’কে পেয়েছিলেন কাছে। তাই শমীন্দ্রনাথের অকাল মৃত্যু প্রসঙ্গ (১৯০৭, ২৩ নভেম্বর) উঠে আসে তাঁর লেখায়। শুধু তাই নয় স্মৃতিপটে ধরা রয়েছে শমী মুঙ্গেরে যে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মারা যান (সরোজ মজুমদার/ ভোলা) শান্তিনিকেতনের ছাত্রাবাসে তার মৃত্যুর হতাশ-করুণ ছবিও।

এই ছোট্ট বইটির পাতায় পাতায় হাসি ছড়িয়ে আছে আবার কত সরস গল্পের সম্ভার। তার মধ্যে দিয়ে পরিবেশিত হয়েছে বেশ কিছু তথ্য; যেমন দ্বিপু বাবুর অভিনব বয়েল গাড়ি, কোদো-সাবু, ডাকহরকরা। ‘সাবু’র গল্প কিঞ্চিৎ মজার! “সাবু ছিল ধোবা—মিশকালো রঙের উপরে কানের ফুটোয় রিং-এর মতো কুণ্ডল দুটি খুবই খোলতাই হত। তার বাচ্চা গাধাটার ’পরে চড়েনি এমন ছেলে কমই ছিল। একজন ছেলে ভেবেছিল সাবু মানেই ধোপা—কী কারণে একদিন সাবুর ’পরে বিরক্ত হওয়ায় এক মাস্টারমহাশয়কে বলেছিল—‘মহাশয়, একজন নূতন সাবুর বন্দোবস্ত না করলেই নয়—যা কাপড় ছিঁড়ছে বলা যায় না।’"!

তাছাড়াও আছে রথীন্দ্রনাথ-প্রতিমার বিয়ে আর সেই উপলক্ষে ছাত্রদের সার্কাস-কসরৎ দেখানোর উত্তেজক গল্প, ‘গৌরপ্রাঙ্গণ’ নামের উৎপত্তি, ফুটবল খেলা, রবীন্দ্রনাথের ক্লাস নেওয়া, শান্তিনিকেতনে মেয়েদের পাঠ শুরু, কিম্বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শান্তিনিকেতনের পঠনকে তখনও পর্যন্ত মান্য না করা ইত্যাদি ইত্যাদি। তখনো বিশ্বভারতী গড়ে ওঠেনি। শান্তিনিকেতনের সর্বত্র সিম্পল্‌ লিভিং–এর ছড়াছড়ি। ছাত্র-শিক্ষক কারুর জন্যই ছিল না প্রাচুর্যের বন্দোবস্ত। ১৯০৬ থেকে ১৯১১ এই স্মৃতিকথার প্রসার। লেখক যখন উত্তরকালে (১৯৫৯) এই লেখা লেখেন তখন যেন নিজের মনকে সেই ছেলেবেলার খোয়াইয়ের বনজ্যোৎস্নায় সমর্পিত করেছিলেন। ভাষাকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন শৈশবের রসতরঙ্গে। সেই ফেলে আসা গৈরিকের সুরে মগ্ন লেখা “আমাদের শান্তিনিকেতন”। কয়েকটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত এই লেখা, যেমন... ‘নীচুবাংলা’, ‘দেহলি’, ‘উপাসনা’, ‘গুরুদেবের ক্লাস’, ‘বীথিকা’, ‘গৈরিক’ ইত্যাদি। আর এইসব পর্বের উষ্ণ স্মৃতি সততই সুখের। আছে প্রথম যুগের নাটকাভিনয়ের কথা। তখনো নারী চরিত্রগুলি এমনকি শান্তিনিকেতনে পুরুষরাই অভিনয় করতেন। একদম প্রথমদিকে ‘মুকুট’। তারপর হাস্যকৌতুক নকশা, ‘বিনিপয়সার ভোজ’, ‘চিন্তাশীল’, ‘রোগের চিকিৎসা’ ইত্যাদি এবং তারপর একাদিক্রমে ‘শারদোৎসব’, ‘বিসর্জন’, ‘অচলায়তন’, ‘মালিনী’ এবং ‘রাজা’ ছাত্ররা অভিনয় করেন। মাস্টারমশাইরা করেছিলেন ‘প্রায়শ্চিত্ত’। লেখক সু-অভিনেতা এবং গানের ক্ষেত্রে সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। মূলত ছেলেদের গান শেখাতেন ‘দিনুবাবু’, রবীন্দ্রনাথের গানের ভাণ্ডারী দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সন্ধ্যাবেলায় বসত সঙ্গীত শিক্ষার আসর। লেখক স্মৃতিচারণ করছেন, “গীতাঞ্জলির গানগুলি তখন ছাপা হয়ে বের হয়নি; এবং যেমন যেমন লেখা হত গুরুদেব তখন তখনই দিনুবাবুকে শিখিয়ে দিতেন, আমরাও দিনুবাবুর কাছ থেকে টাটকা টাটকা শিখে নিতাম। আমাদের মনে হয় সে-সব গানের তুলনা নেই। সময়ে সময়ে গুরুদেব নিজেই গানের আসর জমিয়ে বসতেন। প্রথাসিদ্ধ ওস্তাদ গাইয়েরা পরে এসেছিলেন।”

এভাবেই আশ্রম জীবনের ক্যালেন্ডারের এক একটা দিন ফুরিয়ে ফেলে চলে আসে পৌষ উৎসবের পুণ্যতিথি। ছেলেদের কল্পনা উৎসাহ আর উপাসনার রঙে গৈরিক মনোভূমিতে জ্বলে ওঠে বাজিকরের আলোয় ৭ই পৌষের নিবিড় উচ্ছল অথচ সুগম্ভীর রসাস্বাদ, শিশুমনে যার তল মেলে না। ছেলেরা সারাদিন ভলান্টিয়ারি করে, হাটে বিকোয় কত শত পসরা, সাঁওতাল নরনারীর নাচের তাল রাখে মৃদঙ্গের বোল। “এই কলকোলাহলের মধ্যে মন্দিরে সন্ধ্যার সময় উপাসনা করলেন গুরুদেব নিজে। মন্দিরের সমস্ত ঝাড়গুলিতে মোমবাতি জ্বালানো হল এবং তার আলো কাচের মধ্যে তারার মতো জ্বলজ্বল করতে লাগল। বাইরের সমস্ত কোলাহল ছাপিয়ে গুরুদেবের সুললিত কণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে উঠল ‘যো দেবোহগ্নৌ’ মন্ত্র। ... আমাদের সেই বালকবয়সে গুরুদেবের উপাসনার সত্য তাৎপর্য বোঝবার শক্তি একেবারেই হয়নি। কিন্তু একটা অনির্বচনীয় আনন্দে যে মনটা ভরপুর হয়ে উঠেছিল সে কথা আজও ভুলিনি।” এমনকি শান্তিনিকেতন থেকে প্রথম এক্সকারশনে অতি স্বল্প বাজেটে কায়দাদার ভ্রমণের সময়ও লেখক উপাসনার প্রসঙ্গ এনেছেন। শুধু তাইই নয়, উপাসনার মর্ম যে কত গভীর আর এই উপাসনা সূত্রে যে একাত্মতা-বিশ্বাস-নির্ভরতা, হৃদয়ের প্রসারতা লেখক ও তাঁর সহধ্যায়ীরা যেমন নিজেরা অনুভব করেছেন, এই বইয়ের সরল ভাষা মাধুর্যে তেমনি পাঠকের মর্মগোচর হতেও কোথাও বাধা থাকে না।

দ্বিতীয়বার শান্তিনিকেতনে ফিরে এসে সুধীরঞ্জন বর্ণনা দিয়েছেন ১৯০৮ সালে, প্রাতঃস্মরণীয় অধ্যাপক শান্তিনিকেতনে সদ্য-আগত ক্ষিতিমোহন সেন-এর। তাঁর দৈর্ঘ্য বিপুল, প্রস্থেও কম যান না, ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি! বাউল-ভজন-ভক্তবাণীর সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসেও সুপণ্ডিত। সরস গল্পের মতো করে পড়ানোর সময় প্যাঁচালো ডিপ্লোম্যাট ‘বাজীরাও’ সম্পর্কে তাঁর উবাচ, “বাজীরাওকে জিলিপি খেতে দেখে কে নাকি বলেছিল, ‘দেখো দেখো, জিলিপি জিলিপি খাচ্ছে”!! যা কি না লেখকের সঙ্গে সঙ্গে পাঠকেরও সারাজীবনের প্রাপ্তি। তাছাড়াও এই বইয়ের আরো প্রাপ্তি অসামান্য সব অলঙ্করণ ছবি। ‘তালধ্বজ’, ‘গোয়ালপাড়া’, ‘মেলার যাত্রী’, ‘পারুলডাঙার পথে’, ‘খোয়াই’, ‘ঘন্টাতলা’, ‘তালধ্বজ’ আরো কত মনোমুগ্ধকর চিত্র সমাবেশ। সব মিলিয়ে শান্তিনিকেতনের শুদ্ধতম, নির্মল রূপটি তার সমস্ত অপরূপা প্রকৃতি নিয়ে বইপড়ুয়ার মনে চিরন্তনীর চিহ্ন এঁকে দিয়ে যায়। মনে মনে মিতালী গড়ে ওঠে বিশ্বযুদ্ধ-অভিজ্ঞতাহীন পৃথিবীর কমনীয় আলো বাতাসের সঙ্গে। অমৃতযন্ত্রণার অনুভূতি জেগে ওঠে অন্তরে।

যুগ যুগ জিয়ো ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’!


('নিচুবাংলা'--নন্দলাল বসু; বই-এর অলংকরণ)



(পরবাস-৬১, ডিসেম্বর ২০১৫)