মহাজাগতিক আহ্বান
ঘুমিয়ে পড়েছে যারা গিয়েছিল দূরে
ওই দিকে মহাজাগতিক আহ্বানে
অথচ রাত দুপুরে
অনেক দিনের জমে থাকা অভিমানে
ছাড়াছাড়ি হল পৃথিবীর সাথে চাঁদ
তবু যারা উন্মাদ
আমিও তাদের মতো
নামতে নামতে থামতে পারিনি – পারিনি গভীর ছুঁতে
কিশোরী আকাশ হাত ধরে ছিল ক্ষণিকের বিদ্যুতে
একই পেয়ালার বন্ধু
ওপারে দাঁড়িয়ে আছে যারা – তাদের রাগ
এদিকে, এপারে যারা বসে – তাদের ভয়
অকারণে এই রাগ, ভয় – উপোস ছেড়ে,
হিমালয় ছেড়ে, নেমে এসো – পেয়ালা ধরো
এবারের মতো বেঁচে যাবে, এ কূল বলো
অথবা ও কূল, পেয়ালার সবই সম
গরিবের কাশি কেশে নাও, কবচ খুলে
রাখো, ছেড়ে ফেলো নামাবলি। পাথরে নাম
লিখে লিখে পেরিয়ে যাবেই পিছল পথ।
আধুনিক তলোয়ার
ভাবনার কিছু নেই আর
খাপে ঢুকে গেছে আধুনিক তলোয়ার
শুধু একা পুরোহিত
খুঁজে ফেরে আর বুঝে নিতে চায়
কোথায় রাখবে তার জ্বলন্ত ধূপ
স্বেদকণা-লোম ছেড়ে
ধমনীতে মেলাও ধমনী, চুপ !
অক্ষর নয় কোনও
মন দিয়ে – কান পেতে শোনো
মনে পড়ে?
অতীতে কোন্ গভীরে –
একদিন তোমাকেও ডেকেছিল
গোপন আদরে,
ক্লান্ত সারস একা, বসেছিল
ভুল নদীচরে
(পরবাস-৬১, ডিসেম্বর ২০১৫)