আন্দাজ
এতদিন আন্দাজে লিখতাম। আজ জানি
শূন্যতার মানে।
এতদিন, কল্পনা জড়ো করে
সমুদ্র পেরোতে গেছি, হয়ত ঝড়েরই
যখন রাত্রি ছিল ঘন
ঢেউ ছিল অনন্ত। অনন্ত।
আজ জানি নিস্তরঙ্গ কি।
কিভাবে ঝলসে ওঠে হত্যাকারী হাত
কিভাবে ঠেকাতে হয়। জানি।
এতদিন, আন্দাজে লিখেছি রে।
আজ জানি, পূর্ণতাও ধ্বংস করে।
সামলানো
কে সামলাবে? কে কবে সামলাতে পেরেছে
পায়ের তলার মাটি?
কে কবে
থামাতে পেরেছে সংকেতে, জোয়ারের জল?
তাও মানুষ নির্দ্বিধায় বলে, সামলে নেব!
বলে, আর নির্বিচারে কেটে চলে
সরল সমর্পিত
বৃক্ষলতারাজি;
অপহৃত অরণ্যে এসে
নির্বিকার খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে নেয় হৃদয়কণিকা।
বিস্ময়ও হারিয়ে ফেলি তাই।
মন্থর ভীরু সমাপনে
ফিরে যেতে বলি বিগত আখ্যানগুলোকে।
অথচ, জোয়ার অদম্য তবু
নিজে ভাসে, তোমায় ভাসায় —
বল তবে, কে কাকে সামলায়?
(পরবাস-৬৪, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬)