সাল্ৎস্বার্গে মোৎসার্ট (Wolfgang Amadeus Mozart)-এর বাড়িতে সেন্ট পিটারের অ্যাবি, বা মঠের একটি এচিং আছে। প্রায় ১১৩০-সালে তৈরি অ্যাবিটি মোৎসার্টের সময়ে (১৭৫৬-১৭৯১) যেমন ছিল, এখনো প্রায় সেরকমই। এখানে সমাধিস্থ আছেন মোৎসার্টের বোন ন্যানার্ল--সেও ছিল এক বিস্ময়কর প্রতিভা। মোৎসার্টের জন্মস্থান অ্যাবির কাছে। তাঁর জন্ম হয়েছিল যে-ঘরে তার মাঝখানে ঝুলছে একটা ছোট্ট বেহালা, যেন সেটা স্বর্গকে স্পর্শ করতে চাইছে। সাত বছর বয়েসে মোৎসার্ট সেটি বাজাতেন।
ভিয়েনাতে বিঠোফেন যে-বাড়িতে মারা গেছেন সেই রাস্তাতেই ছিল ফ্রয়েডের (Sigmund Freud) আস্তানা। দরজার ঘন্টিতে লেখা "প্রোঃ ডাঃ ফ্রয়েড"; একটা তীর চিহ্ন ঘন্টা বাজানোর বোতামটার দিক-নির্দেশ করছে। ফ্রয়েডের নিজস্ব চেয়ারের সঙ্গে অনেকে হেনরি মূরের (Henry Moore) ভাস্কর্যের তুলনা করে থাকেন। ফেলিক্স আউগেনফেল্ঠ (Felix Augenfeld) নামের এক স্থপতি ওই চেয়ারটি তৈরি করেছিলেন। তিনি লিখেছেনঃ "ফ্রয়েডের স্বভাব ছিল এক অদ্ভুত অস্বস্তিজনক ভঙ্গিতে চেয়ারে বসা। একদিকে হেলে কোনাকুনিভাবে বসতেন, এক পা ঝুলতো চেয়ারের এক হাতলের ওপরে; একটা বই সবসময়ে উঁচুতে ধরা, আর মাথাটা চেয়ারের পিঠে ঠেকানো তো নয়ই, বরং একেবারে খাড়া।"
যৌবনে বিঠোফেনকে ডাকা হোত "শোয়ার্ট্সস্প্যানিয়ার্ড" (Schwarzspaniard), অর্থাৎ 'কালো-স্প্যানিয়ার্ড' বলে। ভিয়েনাতে 'ঊয়েল্ট-কাফে' (Weltcafe) নামের একটি বেশ ব্যস্ত কফিহাউসের বাইরে একটি ফলকে লেখাঃ "১৯০৪-সাল অবধি এখানে ছিল লুডভিগ ফন বিঠোফেন (Ludwig von Beethoven)-এর বাসস্থানটি, তিনি মৃত্যুবরণ করেনও এখানে ১৮২৭-সালের ২৬-শে মার্চ। ১৮৮০-সালে সেই বাড়ির চাবির প্লেটটি 'স্যুভেনির হিসেবে' নিয়ে যান এক তরুণ সঙ্গীতকার। তাঁর নাম--গুস্তাভ মাহ্লার (Gustav Mahler)।
পদার্থবিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান ডপলার (Christian Doppler) (১৮০৩-১৮৫৩)-এর সম্মানে সাল্ৎস্বার্গের 'ফুয়ের্স্ট' নামের এক কনফেক্শনার একটা চকোলেট চালু করেছে; তার নাম--"ডপলার কন[এ]ফেক্ট" (Doppler Kon(ef)fect)! মোৎসার্টের বাড়ির পাশেই ডপলারের জন্মগৃহ এখনো রয়েছে।