।। ১ ।।
বহুদূর হেঁটে যাবি? হাত ধরে?
ধুলো, ঘাস, নিঃশব্দে পাতা ঝরা,
আমাদের ঠেলে দেবে দূর থেকে দূরে, দিশাহীন,
হারিয়ে যাবার মতো?
মনগড়া?
।। ২ ।।
কেউ দেখেনি একলা পাতার খসে পড়া, শেষরাতে।
হাওয়ায় তবু মৃদু কাঁপন ভেসেছিল
শোকপালনের অজুহাতে।
।। ৩ ।।
মাটির সাথে ভাব পাতিয়ে
মিলিয়ে যায় সূর্যরেখা।
এক পলকে, জন্ম-বাঁধন,
অসম্ভবের খাতায় লেখা।
।। ৪ ।।
ঘরে ফিরি। আনন্দ-উৎসবে।
আলো, হাসি, আরো কত হাবিজাবি অক্ষয়
শরীরে জড়িয়ে নিই।
প্রতি দিনে, সপ্তাহে, মাসে,
ভরে ওঠে সর্বাঙ্গ সহজ অভ্যাসে।
তোমাকে কোথায় নেবো তবে? ভয় হয়...
।। ৫ ।।
বড্ড যখন ইচ্ছে করে
একলা হয়ে আবার ছুঁই,
বড্ড যখন মনখারাপে,
নিয়ম ভুলে, আসবি তুই?
।। ৬ ।।
পাতা খসে পড়ে, এ শহরে, গাড়ির ধোঁয়ায়
দিন থেকে দিন, হিমঋতু বয়ে চলে,
অনন্যোপায়, ভীরু চোখ বুঁজি,
সেই অবসরে,
খসে পড়ে রোদ, খসে পড়ে ভালোবাসা;
পাতা খসে পড়ে, আমাদেরও জানালায়।
।। ৭ ।।
এ হাত যদি ধরতে চাস,
মুঠোয় নিবি সর্বনাশ।
(পরবাস-৬৬, মার্চ ২০১৭)