ISSN 1563-8685




গোধূলির ডাকপিওন

গোধূলির ডাকপিওন - ১৮

একটানা অভ্যস্ত বৃষ্টিতে তাল আর ছন্দ ভিজে গেলে
বড় একঘেয়ে লাগে চেনা অন্ত্যমিল
তবু যেই তুমি বলো, “আমি চঞ্চল হে –“
বড় ভালো লাগে
আর ইচ্ছে হয় সাঁতারে সেলাই ভরে
এফোঁড়-ওফোঁড় করি যাবতীয় সামুদ্রিক ফেনা
অথচ আমি তো জানি এরপর সমুদ্র হেলান দিলে পতনের ঢালে
বৃষ্টির অঝোর থেকে খুলে যাবে আমাদের একান্ত ঝমঝম
আর তুমি ফিরে যাবে একা — বোতামের যথাসাধ্য ঘরে!

গোধূলির ডাকপিওন - ১৯

যেই ভাবি তোর নরম গালে বৃষ্টি আঁকব তুলির টানে
কোত্থেকে সেই কদমফুলটা — হলদে ভুরু — হিংসুটে চোখ
দৌড়ে আসে — লেপ্টে থাকে তোর আঁচলে
ঠিক যেভাবে শীতের শিশির নিবিড় ভেজায় নাকছাবি তোর
আমায় রেখে নির্বাসনে

এই যে আমি গ্রামীণ স্টেশন — তাও তো জানি ঠিক কীভাবে এক আকাঙ্খা
একই সঙ্গে অনেক ট্রেনে ছড়িয়ে পড়ে ছায়াছন্ন ঠোঁটের ভাষায়
জ্বালায় আগুন জানলা ঘেঁষে আলতো খোঁপার ঘ্রাণ পেরিয়ে
তাই ভেবেছি এবার যেদিন আরক্তমুখ
তুই আমাকে আদর করবি এলোমেলো দমকা হাওয়ায়
গাঁয়ের মাঠে সর্বনাশে
আমিও সেদিন প্রতিচ্ছবির বর্ণমালায় — রহস্য আর সাদায় মুড়ে
আঙুল স্পর্শে বুঝিয়ে দেব কী আসলে রীতির প্রকাশ —
কী আসলে নিয়ম ভেঙে ঋণ রেখে যায় ঋষির ঠাঁটে
ছদ্মবেশে তাঁবুর ছায়ায়।



(পরবাস-৬৬, মার্চ ২০১৭)