পরিকল্পিত সময়ের মধ্যে পরবাস-৬৬ প্রকাশ করতে পেরে ভালো লাগছে। দিবাকর ভট্টাচার্য, রবিন পাল, প্রমুখ আর অনেকের লেখা আশা করছি দিন পনেরোর মধ্যে দেয়া যাবে। ইতিমধ্যে আপনাদের পড়ার জন্যে অনেক লেখা রইল।

গত সংখ্যাতে অনুপস্থিতির পরে ছন্দা বিউট্রার ভ্রমণকাহিনি আবার ফিরে এসেছে--এবারে আমাজন! তাঁর চিকিৎসা-সংক্রান্ত ফিচারটি আবার পরের সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলবে। অমিতাভ সেনের আঁকা ছবিও অনেকদিন পরে পেয়ে ভালো লাগছে। যদিও সাম্প্রতিক কয়েকটি সংখ্যার তুলনায় গ্রন্থ-সমালোচনা এবারে একটু কম, কিন্তু এই সংখ্যাতে ভবভূতি ভট্টাচার্য মশাইয়ের সেঞ্চুরির জন্যে হাততালি দিতে হবে। গত ২৫-টি সংখ্যা জুড়ে ৪-টি করে বইয়ের প্রমাণ আকারের রসালো সমালোচনার ধারা বজায় রাখা সোজা নয়। আলংকারিক, লেখক, লেখা মনোনয়নের শক্ত কাজ করে যাচ্ছেন নেপথ্যে থেকে যাঁরা অনেক বছর ধরে--তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

লেখকদের মধ্যে অণু-গল্পের উঠতি জনপ্রিয়তায় কি ভাঁটা পড়ল? ক্রমশ বোঝা যাবে। তবে এই সংখ্যাতে তিনটি বড়ো গল্প রয়েছে--আশা করি ভালো লাগবে। অণু-গল্প দু'টি--এছাড়াও আরো বারোটি গল্প রইল--বিভিন্ন ধরনের ও আকারের।

পৃথা কুণ্ডু ও সুস্মিতা হালদারের যৌথ প্রয়াসের ফসল একটি গবেষণাধর্মী রচনা-- 'রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসঃ এক প্রান্তিক লোককবির কথা'। যদিও পরোক্ষভাবে লোকসংস্কৃতির কথা বেশ কিছু গল্প বা উপন্যাসে (দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের 'যাত্রী'র কথা এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে মনে করা যেতে পারে) আমরা পেয়েছি, কিন্তু এই বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ ও বিশ্লেষণমূলক আরো লেখা (ও গান, ছবি ইত্যাদি) পেলে খুব ভালো হয়।

আসন্ন বাংলা নতুন বছরের জন্য আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে।