ধারাপাত
খাতার উপর আঁচড় কাটি
হয় না কিছুই লেখা
ভাবনা গুলো উথাল-পাথাল
গুছিয়ে তুলি একা
বাক্সে ভরা জড়োসড়ো
হাজার কথার ভার
খুললে তালা উড়াল দেবে
সপ্তসুরের পার
হাবিজাবি মিথ্যে বোঝাই
রাখা ঘরের কোণে
চাবি কোথায় হারিয়ে গেল
খুঁজছি মনে মনে
চাবি আমার রঙিন খেয়াল,
হঠাৎ মেতে ওঠা
কিম্বা প্রথম কালবোশেখী
ভোরের লালফোঁটা
খুঁজতে নেমে হাতের মুঠোয়
স্বপ্ন ঝিলমিল
ডাইনে রাখা পুরনো সুর
বাঁয়ে পদ্মবিল!
দুচোখ বুজে ঝাঁপিয়ে পড়ি
আকাশ নীল জলে
চাবি এখন রঙিন পাখা
প্রজাপতির দলে
কাঁপিয়ে ডানা উড়ে বেড়ায়
আমার চারপাশে
প্রশ্ন করে, বছর কি ছাই
হয় না বারোমাসে?
আবার শুনি মনের পাতায়
কথার ধারাপাত
আবার বুঝি কবিতারা
জাগবে সারারাত!
জলছবি
একটা আকাশ প্রহর গোনে
ভাসিয়ে দিতে মেঘ
একটা নদী ভাবে যদি
ভাসায় জলের বেগ!
দু-হাত মেলে ভেসে যাবো
সাগর যদি ডাকে
শীর্ণধারা ব্যাকুল তারা
বন্ধু হ’তে বাঁকে
চলার পথে ছুঁয়ে যাব
শুখা জমির ঢাল
ভুখায় মরা মানুষগুলো
আবার দেবে হাল
ঢেউয়ের মাথায় নাচে যদি
ছোট্ট চড়াই পাখি
খড়কুটোটা এগিয়ে দেব
বাঁধবে বাসা নাকি?
জলের তোড়ে ছুটবে মাছ
খেলবে ছেলের দল
পানকৌড়ি ডুব দেবে টুপ
লুকিয়ে পড়ার ছল
হাজার যোজন উজিয়ে পথ
নিরুদ্দেশের পাড়ি
হয়তো আমি পৌঁছে পাবো
সমুদ্রের বাড়ি
থাকবে কি কেউ অপেক্ষাতে
আমায় নিতে ঘরে –
আসন পেতে বসতে দেবে
নিজের মতন করে?
বলবে কি কেউ, আর যেও না
আর চেয়ো না পিছে --
আকাশ আমায় মেঘ পাঠালে
নদী হ’তাম নিচে ....
(পরবাস-৬৭, জুন ২০১৭)