|| ১ ||
শহুরে সন্ধ্যা জুড়ে
খুঁজে চলা আঙুলে আঙুল,
এরকম বেঁচে থাকা ভুল, জানো, বড় ভুল।
|| ২ ||
বহুল অভ্যাসে ঋদ্ধ
ঘরে ফেরা, গাঢ় থেকে গাঢ়তর বিষাদ আনত,
শূন্যতা এখানে যেমন, ও প্রান্তেও বেজে ওঠে তত।
|| ৩ ||
আনচান বৃষ্টি বিকেলে
কোথাও যাবার নেই, কেউ নেই ঘরফেরা মুহূর্তের ভাগী
ইচ্ছেরা, অতএব, বর্ণহীন পথ বেয়ে, বিষণ্ণ বিবাগী।
|| ৪ ||
মেঘ ঝরে। রোজ। অলক্ষ্যে। ঝরে দুই অপেক্ষার বুকে।
ব্যবধান ভিজে ওঠে
অকালবর্ষণের পড়ে পাওয়া সুখে।
|| ৫ ||
এক নিমেষের মনকেমনে,
দুজন জানে ঝড় শুধুই,
আদরবেলার মাতাল হাওয়ার, ছোঁয়াছুঁয়ি।
|| ৬ ||
এ আলো তোমায় ছুঁয়েছিল
এই বলে ডুবে যায় চাঁদ।
ভুলে যেতে যেতে ফের মনে পড়ে উষ্ণতার স্বাদ।
|| ৭ ||
অনন্ত মনখারাপে ভিজে থাকে গাছ, জল, মাটি।
তবু তীব্র জেগে থাকে
প্রদীপের স্নিগ্ধ শিখাটি।
|| ৮ ||
বারে বারে অনুভবে ছোঁয়া
বারে বারে আদরে অভয়।
দূরই তো, দূরত্ব তো নয়!
|| ৯ ||
কিছু শব্দ মাঝরাতে বারিষ-মৌতাত বোনে
কিছু শব্দ, "আজীবন" অঙ্গীকার।
ফোনের আলগা আলো, বড় খাঁটি ভালবাসা সুরে,
ছুঁয়ে থাকে এপার-ওপার।
|| ১০ ||
যত দূরে দূরে বাস, তত যেন পাশাপাশি থাকি।
অনেক ঘুমোবো আজ। নির্ভারে।
পাশ ফেরো, কাঁধে মাথা রাখি।
(পরবাস-৬৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭)