অকাল বর্ষণে শুকনো পাতা নরম হয়ে গেল
সার্কাসের তাঁবু এখনও গুটোয়নি
সেই ঘেরাটোপের অন্দরে আজও হরেক খেলা--
যা আমরা কখনও পারি না।
আমাদের পিতৃব্য শুভঙ্করী জানতেন
মায়ের মুখে খনার বচন...
আমরাই সরে এসেছি সেই আবহ থেকে
বন্ধু মারফৎ জেনে যাই--এখন বসন্ত...
সে অবশ্য ঋতু না রোগের কথা বলেছিল
যাচাই করি নি।
রাত জাগি, ঘুম আসে না
তাও তাতে লেগে থাকে মধুরবিলাস--
আমাদের উপশম দিতে সেবাদল প্রস্তুত রয়েছে
বসন্ত হলেও, আক্রান্ত হইনি এখনও
অমল দ্রোহ
অসুখের কথা জানলে মন খারাপ হয়--
অসুখ শুনলে মন এলোমেলো, ভয় ভয়
হাতের চিরাগ জ্বাললেই দৈত্য আসে না
অথচ, সিন্দুক খুলতে সে চাবি ছাড়া পারেই না--
সদর্থক চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়েছে ঢের দিন হলো
মুখোমুখি এক টেবলে আহার কতবার কতবার
অসভ্যের মতো কাঁধে হাত রাখা; আমাদের নিকট থেকে
চিঠি গেছে বৃষ্টির দেশে...
আমাদের যজ্ঞ উপবীতহীন সম্পন্ন হয়েছে
যা তত সামাজিক নয়
অন্ধ আকাশে ঘুড়িও নিষেধ, সাগরের নুন লেগে যায়
অসুখ জানলে মন খারাপ, অসুখে ভয় ভয়
বিশ শতকের পরেও
নির্দ্বিধায় না-সামাজিক থেকে যাই, চেতন প্রবাহে
চাঁদ ও বাউল হাওয়া সাক্ষী থাকে
এ প্রকার অমল দ্রোহের
(পরবাস-৬৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭)