ISSN 1563-8685
উপেক্ষার জাল ছিঁড়ে
উপেক্ষার চাবুকই সপাং যন্ত্রণায় সবথেকে বেশি নীল করে
তোলে ক্ষতস্থান। তখন তার ওপর দিতে হয় ভালোবাসার
প্রলেপ, যাতে মলম-নম্রতা মাখামাখি হয়ে ব্যথার অন্তরাত্মায়
স্নিগ্ধ কাশের শুভ্রতা বুলিয়ে দেয়, চেতনায় যতোসব অনাহুত
জান্তব আঁচড়ের দাগ মিলিয়ে যায়, আস্তে, সময়কে শ্রেষ্ঠ
মনন-ওষধি মেনে নিয়ে, অচেনার বিপুল বিস্তারে ডানা মেলে
পালকের উষ্ণতা। উপেক্ষার গোপন গুঁড়ি-মারা ব্যক্তিগত
বিষাদ-অবয়ব গলে গলে মিশে যায় চাঁদধোয়া জলাধারে।
অতীতের বিপর্যস্ত রোদ-বৃষ্টিময় অস্থিরতা বিলীন হয়ে
মিলিয়ে যেতে থাকে। সব দুঃখপ্রদীপ একে একে নিভে গেলে
জ্যোৎস্নার আনন্দসঙ্গীত বেজে ওঠে। তোমার উপেক্ষার
ক্ষুরধার ছুরি ভোঁতা হতে হতে রক্তপাত ঘটানোর দক্ষতা
হারিয়ে ফেলে, ক্রমশই তারাদের ভীড়ে আকাশটা মিটমিটে
হাসিতে ফাজিল হয়ে ওঠে। তোমার উপেক্ষার লেগস্পিন
আমি অনায়াস দক্ষতায় সীমানার বাইরে পাঠিয়ে খুলে
ফেলি আক্ষেপের দস্তানা। তারাদের করতালি আমার
প্রত্যাঘাতে জাগতিক সিলমোহর এঁকে দেয়।