২১ ডিসেম্বর
কে তুমি মহৎ কে তুমি মহৎ নহ
কে তুমি পেয়েছ আনন্দঘন নভ
কে তুমি উড়েছ পাখা মেলে দিয়ে তাতে
কে তুমি বসেছ মগডালে চুপ করে
কে তুমি সরল কে তুমি ততটা নও
কে তুমি একাকী কে তুমি ভিড়ের ভয়ে
পালিয়ে বেঁচেছ আলোড়নহীন মাঠে
কে তুমি রয়েছ পাতার আড়ালে গাছে
কে তুমি ফাজিল কে তুমি বিরস, হেথা
কে তুমি রয়েছ এক থালা স্বাদু ভাতে
কে তুমি খেয়েছ, তবু মিটিল না ক্ষুধা
বুকে করে ক্ষোভ, কে তুমি আমার ভ্রাতা…
সকল বিভেদ দূর করি দিব, বলে
আজ শীতকালে জানাই ধ্রুপদী গতে
ভাল হোক চাই, ভাল থাক সবে মিলে
আদরপ্রলেপ লাগাই সবার ক্ষতে!
মর্নিং পেজেস ৩০ / ১১/ ১৭
সকাল জানে তো দিতে নানারূপে আশ্চর্য সংকেত
ডিলিট করেছে এবে ওয়ার্ড ফাইল অকস্মাৎ , যেন
বিনা মেঘে বজ্রপাত, অতিকষ্টে লিখিত কবিতা
সময়ের গর্ভে গেল, হায় এ কী পাতি রসিকতা!
এ বিপুল সকালের নিজস্ব প্রবল কথকতা
ধরে নিল একখানি হ্যাং হওয়া মেশিনের হাত
আমার এক পাতা লেখা হারাল যে কোথায়! কোথায়!
পুনরপি শুরু হল কসরত, কেরামতি, যেন
ধুলোমাখা প্রাঙ্গনে ছোলাগুড় খেয়ে পালোয়ান
সকাল ২৪ ডিসেম্বর
এতদিন কেটে গেল, নিজেকে খুঁজেই পাইনি আমি
এতদিন কেটে গেল: এ বিরহ নিজের, নিজেরই
এতদিন কেটে গেল, সমারূঢ়, বিরক্ত, অযথা
অথচ আমারই অংশ, শরীরেই বাঁচা হল শুধু
তোলা হল কাঠকুটো, টানা হল বালিশ বিছানা
আজ ফিরে পাব বলে সমস্ত দিনের স্তব্ধ থাকা
তোশকের তুলো ছিঁড়ে কৃপণের টাকা খোঁজা যেন
সেইভাবে এলোমেলো খুঁজে চলছি পাগলের পারা
(পরবাস-৬৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭)