ISSN 1563-8685
দু'টি কবিতা
ব্যথা
ব্যথা, নিরুচ্চার ভাষা,
যেন কথাগুলো মাথা নিচু করে আছে, পাশে ভাষার শাসন।
যেন পূর্ণ রোদ সমস্ত শরীর বেয়ে নামতে নামতে
থমকে গেছে বর্ষাপতনের পাশে।
দূরে যাওয়া প্রিয় নদী বালির যে দেশ এঁকে গেছে,
শূন্যতার রেশ রেখে গেছে,
তার সামনে অক্ষর ছড়িয়ে দিলে, পাঁজরে পাঁজরে
যদিও বা অন্ত্যমিল হয়, মেঘলা দিন আলো পায়,
চোখের পলক তবু অন্ধকারই ধরে রাখে
ব্যথা একা ঘর ভালোবাসে।
ফেসবুক
১
নিজের সঙ্গে তুমি কী কী কথা বলো,
জাল পেতে ধরেছে আকাশ,
তোমার নিজস্ব কোনো গোপন বারান্দা নেই,
সেখানেও এসো বোসো ভালোবাসা মাদুর পেতেছে।
আনমনে গুনগুন নেই, ওঁত পেতে আছে পাঁচ কান।
একান্ত সময় সব মেলে দিচ্ছ রোদে,
মহাজাগতিক মাঠে শুকোচ্ছে শরীর,
তাতে ঘোর লাগা মেঘ জমে, জমে তারার আগুন
ঘরের মায়াবী কোণে ছাই ওড়ে, ভিড়ে একা, দম বন্ধ লাগে।
২
পাসওয়ার্ড জেনে গেছে সব্বাই
যখন তখন দেখি মেলবক্স খোলা।
আমার একান্ত শব্দ, প্রেমরীতি, গহন আর্তস্বর
চুরি হয়, শূন্যতায় অন্ধকার লাগে।
নির্বিকার আমি ফের আকাশের গায়ে টোকা দিই
খানিকটা জ্যোৎস্না ঝরে,
ছেঁড়া সুতো মরচে ধরা সূঁচ হাতে নিয়ে বুঝি
এ এক অন্য নিকশি কাঁথা, বন্ধ চোখ ভেতরে খুলেছে,
নদীর চিহ্ন দেখে, কাগজের নৌকো রাখি,
চোখে জল এলে নৌকো ভেসে যায়।
নদী বোঝে, শাদা পাতা বোঝে,
আকাশ উপচে পড়া চাঁদগুঁড়ো বোঝে, ততক্ষণ আছি,
যতক্ষণ ভেতরে দু'চোখ খোলে।