Parabaas Moviestore




Parabaas Moviestore




Subscribe to Magazines




পরবাসে মুরাদুল ইসলামের লেখা



ISSN 1563-8685




কতো শত মুখ

মি নিয়মিত জিমে যাই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। এই তথ্য আপনাকে প্রথমেই বলে রাখলাম। কারণ আমার একটা ক্ষীণ সন্দেহ হয় যে, আমি যে সমস্যার মধ্যে আছি তার সাথে জিমের কোনরূপ সম্পর্ক আছে। তবে এই সন্দেহের সাপেক্ষে কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই। তাছাড়া একটা কথা বলা প্রয়োজন, যেদিন থেকে সমস্যাটা আমার পিছু নিয়েছে, সে রাতে আমি জিম থেকেই বাসায় ফিরছিলাম।

ঠিক আছে। আপনি বলে যান, কোন কিছু না গোপন করে।

সে রাতে আমি জিম থেকে ফিরছিলাম। নিয়মিত জিম করি আজ আট বছর প্রায়। এর মধ্যে নানা ঝুট-ঝামেলায় পড়তে হয়েছে, সময় ও পরিস্থিতি অনেক বদলেছে কিন্তু জিম কখনো বন্ধ করি নি। আমার নিজস্ব একটি জীবনদর্শন আছে। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষেরই নিজেকে আরো উন্নত করার জায়গা সব সময়েই রয়ে যায়। এইসব জায়গায় সে যদি নিয়মিত কাজ করে যেতে পারে তাহলে সে তার একটি বেটার ভার্সন তৈরী করে নিতে পারে। জিমে বা বডি বিল্ডিং-এ এটাই হয়। আপনি প্রতিদিন গিয়ে পরিশ্রম করেন, ঘাম ঝরান, কারণ আপনি নিজেকে আরো বেটার করে তুলতে চান। এই শারীরিক শ্রম, এই নিজেকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ করে যাওয়া, এটাই আমার মতে জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।

খুব ভালো চিন্তা।

হ্যাঁ, আমার মধ্যে সব সময় এটি কাজ করত। এজন্যই আমি জিম শুরু করেছিলাম, এবং চালিয়ে গেছি। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমার আত্মোন্নয়নমূলক চিন্তাটি?

হ্যাঁ, পারছি। আপনি বলছিলেন ঐ রাতের কথা।

ওই রাতে আমি ফিরছিলাম জিম থেকে। প্রায় এক ঘন্টা প্রচুর পরিশ্রম গেছে। আমি ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু জিম কাছে হওয়ায় আমি ফিরছিলাম পায়ে হেঁটেই। একসময় একটা দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় নিই। লিচুর ড্রিংক্স। সাধারণত এইসমস্ত জিনিস আমি খাই না। কারণ এগুলিতে এম্পটি ক্যালোরি আর কিছু প্রিজারভেটিব দেয়া। স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ভালো নয়। কিন্তু সেদিন খুবই গরম ছিল বিধায় আমি পিপাসার্ত ছিলাম। তা নিয়েছিলাম। এটি খেতেই খেতেই হেঁটে ফিরছিলাম বাসায়।

আমার বাসা যে গলিতে তার আগের গলির রাস্তাটি খুবই বাজে ছিল। সম্প্রতি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে তখন। রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে ড্রেন। অল্প দূরে দূরে ময়লা ফেলার বাক্স।

এই রাস্তাটি রাত আটটার পরেই যেন নিরব হয়ে যেত। ৩৮ বহরাম খাঁ লেন। আপনি চিনেন নিশ্চয়ই? ঐ যে যেখানটায় টিলার উপরে পুরাতন কবরস্থান অবস্থিত? অনেক জারুল গাছ আছে যেখানে?

হ্যাঁ, জায়গাটা আমি চিনি।

ওই রাস্তা দিয়েই আমি হেঁটে আসছিলাম। রাত তখন সাড়ে দশটার মত বাজে। এমন সময়ে প্রায় প্রতিদিনই আমি এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসি। আরো একজন দুজন এভাবে হেঁটে আসেন, বা একটা দুইটা রিকশা যায়। সে-রাতেও এমন অবস্থা ছিল। তবে রাস্তার পাশের লাইটগুলির কয়েকটা যেন কাজ করছিল না, আর তাই মাঝে মাঝেই ছিল বিস্তর অন্ধকার।

এতে আমার কোন অসুবিধা হচ্ছিল না। প্রতিদিন এই রাস্তায় হেঁটে আসি। প্রায় অন্যমনস্কভাবেই হেঁটে আসছিলাম। একসময় আমার হাতের পানীয়টি শেষ হয়, আর আমি এর প্লাস্টিকের বোতল পাশের ড্রেইনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকি।

কয়েক পা এগুনোর পরেই আমার বিষয়টা মনে হলো। আমি ড্রেইনের মধ্যে প্লাস্টিকের বোতল ফেলেছি। এভাবেই আমরা সবাই প্লাস্টিক, পলিথিন ড্রেইনে ফেলে দেই। ফলে কি হয়, বর্ষাকালে ড্রেইনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রাস্তায় পানি জমে। আমরা তখন প্রশাসনকে গালি দেই। কিন্তু আমাদের নিজেদের কাজই ঠিক নেই। আমরা আমাদের অভ্যাস যদি না বদলাই তাহলে অবস্থা কখনো বদলাবে না। ইত্যাদি চিন্তা আমার মাথায় চলে আসল।

আমি অপরাধবোধে ভুগলাম। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে প্লাস্টিকের বোতলটি ফেলেছি ড্রেইনে ওটা ড্রেইন থেকে তুলে নিয়ে কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে ময়লা ফেলার বাক্সে ফেলব।

যেই ভাবনা সেই কাজ। আমি যেখানে প্লাস্টিকের বোতলটি ফেলেছিলাম ওখানে গেলাম। নিচু হয়ে বসে আমার মোবাইলের লাইট অন করে দেখতে গেলাম বোতলটি। আর ঠিক তখনই দেখলাম জ্বলজ্বলে দুটি চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এতো জীবন্ত, আপনি বিশ্বাস করবেন না। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। টাটকা, জীবন্ত।

কীসের চোখ?

মানুষের। একটা মেয়ের চোখ। মেয়ের মাথাটি কেটে ফেলে রেখে গেছে কেউ। চোখ দুটি খোলা। সোজা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।

এরপর?

আমি ভয়ে ছিটকে গেলাম। একটা ভয়ার্ত চিৎকার বেরিয়ে গেল আমার মুখ দিয়ে। আশপাশে তখন কেউ ছিল না। শুনশান রাস্তা। আমি মাথাটি আর দ্বিতীয়বার দেখার সাহস পেলাম না। সোজা এক দৌড়ে বাসায় চলে আসলাম।

এই থেকে আমার সমস্যাটির শুরু। আমি ঐ চোখ, ঐ মুখ আর ভুলতে পারি না। আমার বার বার মনে হতে থাকে ঐ মুখের ছবি।

একই রাস্তা দিয়ে আপনি জিমে যান না?

যাই। ঐ দিনের পরের দিন দুপুরের দিকে গিয়ে আমি ড্রেইন ভাল করে দেখেছি। কোন মুখ নেই, মাথা নেই। পরদিন রাতে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় অবশ্য আর দেখার সাহস করি নি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে পরদিন থেকে মাথাটি আর ড্রেইনে ছিল না।

কেন এমন মনে হলো?

কারণ আমি তো দিনের আলোতে দেখেছিলাম ওখানে কিছুই নেই। এছাড়া, আমি মাথাটিকে আমার বাসার ভেতরেও দেখতে শুরু করেছিলাম। যেমন, আলমারি খুলেছি কাপড় বের করব, হঠাৎ দেখতে পেতাম ঐ মুখ, মুখে একটা অদ্ভুত হাসি, এবং খোলা চোখদুটি।

এরপর?

এরপর এটা নিয়ে অনেক ডাক্তারের কাছে যাই। চিকিৎসা নিই। আমার বাবা মা একটু প্রাচীনপন্থী। তাঁরা কবিরাজও দেখিয়েছেন। কবিরাজ ঝাড়ফুঁক করেছেন। অতঃপর বয়স্কদের পরামর্শে আমার বিয়েও দেয়া হয়। তাঁরা বলেছিলেন, বিয়ে হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

ঠিক হয়েছে কি?

না হয় নি। বিয়ের পরে প্রথম প্রথম মাথাটি দেখি নি কিছুদিন। আমার মনে হয়েছিল আমি মাথাটি থেকে যেন মুক্তি পেয়ে গেলাম। তারপর একদিন সকালে আমার চাদরের নিচে মাথাটিকে দেখে আঁৎকে উঠি। সেই আবার শুরু। আবার নিয়মিত মাথাটিকে দেখতে শুরু করি।

আপনার স্ত্রী বিষয়টা জেনেছেন?

হ্যাঁ, প্রথম প্রথম লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কারণ আমি নিজেও বুঝতে পারতাম যৌক্তিকভাবে একটা কাটা মাথাকে আমার এভাবে দেখা অসম্ভব। সুতরাং, কোথাও একটা মারাত্মক ব্যাখ্যাতীত কিছু হচ্ছে বা আমি উন্মাদ হয়ে গেছি। আর কে চায় বলেন তার উন্মাদতার খবর প্রকাশ করতে? তাই আমি লুকিয়ে রাখার যথাসম্ভব চেষ্টা করি।

কিন্তু পারেন নি, তাই তো?

হ্যাঁ, পারি নি। মেয়েরা বুদ্ধিমান, তাদের ঘ্রাণশক্তি প্রখর। আর আমার স্ত্রী ছিল অতি মাত্রায় সন্দেহপ্রবণ। সে খুব দ্রুতই মাথাটির ব্যাপার ধরে ফেললো। তখন আমার অবস্থা হয়ে উঠল আরো খারাপ। এমনিতেই মাথাটির কারণে আমার সারাদিন যেত উদ্বিগ্নতায়। কারণ মাথাটি তার রঙ বদলাতে শুরু করেছিল।

মানে?

মানে হলো হয়ত একদিন দেখেছি নীল রঙের, আরেকদিন দেখতাম কালচে, আরেকদিন সবুজের মধ্যে হলুদ ছোপ ছোপ।

একই মেয়ের মুখ থাকতো না ভিন্ন মেয়ের?

যখন রঙ বদলাতে শুরু করলো তখন আর এক মেয়ের মুখ মনে হতো না। আগে এক মেয়ের মুখই মনে হতো। আমি যখন জিমে যেতাম, কেবল তখনই এই মাথাটির চিন্তা আমায় গ্রাস করতো না। তাই আমি জিমে আরো বেশী সময় দিতে শুরু করি। তিন চার ঘন্টা পর্যন্ত জিমে থাকতাম। কারণ ঐ সময়টাই ছিল আমার জন্য বেঁচে থাকা। জিমের বাইরে বের হলেই, আস্তে আস্তে, ঐ মাথা, ঐ মুখ, ঐ চোখদ্বয়।

আপনার স্ত্রী এরপর কী করলেন?

আমার স্ত্রী ছিল খুবই সন্দেহপরায়ণ। সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে যেটা হয় আর কি। সে ঝামেলা তৈরি করল। আমাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাঁটি হতে লাগল। একসময় সেইসব ঝগড়ায় আমার বাবা মা ও তার মা বাবা অংশ নিতে থাকলেন। ফলে পারিবারিক কলহে রূপ নিল বিষয়টা। বিয়ে তো একটা পারিবারিক সম্পর্কই, তাই সমস্যাও হয় পারিবারিক।

হুম। এখন কী অবস্থা?

এখন আমার অবস্থা আরো খারাপ। বউ চলে গেছে বাপের বাড়ি। ডিভোর্সের কাজ চলছে। পারিবারিক আলোচনার মাধ্যমে পাওনা যা ছিল তা দেয়া হবে। কিন্তু আমার মূল সমস্যাটি সমাধান হয় নি। ঝুট-ঝামেলায় কিছুদিন ব্যস্ত ছিলাম, এই ক’দিন ঐ মাথাটিকে দেখি নি। কিন্তু ঝামেলার একটা মীমাংসা হতেই আবার দেখতে পাচ্ছি। আবার সেই মুখ, সেই হাসি, সেই চোখ। আপনি এটাকে কী বলবেন?

আমি বলব যে কাটা মাথাটি আপনার।

মানে?

মানে হলো এমনিতে এই মাথাটির কোন অস্তিত্ব নেই। আপনিই এটি কল্পনা করে নিয়েছেন। আপনি বহুগামী পুরুষ। অনেক প্রেমিকা ছিল আপনার। আপনার এই বহুগামী স্বভাবের জন্য আপনি কোন স্থির সম্পর্কে জড়াতে পারতেন না। আপনার চরিত্রে প্রবল নার্সিসিজম রয়েছে। স্থির সম্পর্কে জড়াতে না পারার কারণে আপনার বোধের একটা অংশ সব সময় আপনাকে পীড়িত করত। এছাড়াও বাস্তব জগতের কিছু পীড়ন ছিল। যেগুলো করতো আপনার প্রেমিকারা। তাদের অনেকের সাথে আপনি প্রতারণা করেছেন, অনেকের বিশ্বাসের উপর দিয়ে হাসিমুখে চলে গেছেন অন্য কারো হাত ধরে। একসময় প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে আপনার কাছে এটাই মনে হয়েছিল স্বাভাবিক। কিন্তু চোরাবালি একসময় না একসময় তার নিজের রূপ প্রকাশ করেই। আপনিও একসময় সে রূপ দেখলেন। কিন্তু তখন এত সমস্যার লতাপাতায় আপনি জড়িয়ে গেছেন যে, আর বের হবার কোন রাস্তা বাকি নেই।

আপনার মা বাবাও আপনার প্রকৃতি সম্পর্কে জানতেন। নিজের ছেলেকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁরা অনেক চেষ্টা করেছেন। শেষপর্যন্ত বিয়ে দেন। তাঁরা ভেবেছিলেন বিয়ে দিলে হয়ত আপনার মধ্যে স্থিরতা আসবে। এসেওছিল অল্পদিনের জন্য। কিন্তু প্রচণ্ড নার্সিসিস্ট এবং উন্মত্ত বহুগামী আপনি নিজেকে বেশিদিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না। পুনরায় ফিরে গেলেন আগের অবস্থায়।

একসময় আপনার স্ত্রী সব জানতে পারেন। আপনার মধ্যে ঝগড়া হয়। আপনার স্ত্রী আপনাকে ছেড়ে চলে যান।

এখন আপনি নিমজ্জিত আছেন সেই চোরাবালিতে। আপনার বোধের একটা অংশ এখান থেকে মুক্তি চায়। সেইজন্যই আজ আপনি এখানে এসেছেন।

তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি যে বিভিন্ন রঙের কাটা মাথা দেখি এটা ভুল? এরা সবই আমার কল্পনা?

ঠিক তাই।

এ কী করে সম্ভব?

সম্ভব।

কিন্তু বিশ্বাস করেন...

আপনি যা বলেছেন আমি শুনেছি। আপনার আর বলার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আমারও যা বলার দরকার আমি বলে দিয়েছি। আপনি চাইলে এখান থেকেই আপনার আরোগ্যের পথ বের করে নিতে পারবেন। সুতরাং, আপনার সাথে আমার কথাবার্তা শেষ।

কিন্তু আরেকটি জিনিস আমি আপনাকে বলতে চাই, আপনি বিশ্বাস করবেন না এটা আমার মনে হয়েছিল ক্ষীণ ভাবে। তাই আমি মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে রেখেছিলাম হাস্যরত কাটা মাথাটির। ওটা তখন বেরিয়েছিল ড্রয়ার থেকে। মোবাইলের স্ক্রিনে কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু প্রিন্ট করলে আবছাভাবে দেখা যায়। আমি ছবি প্রিন্ট করেছিলাম আপনাকে দেখানোর জন্য। কিন্ত এখন দেখতে পাচ্ছি, ছবির ফাইলটি আমি বাসায় রেখে এসেছি। আমি আধ ঘন্টার মধ্যে ফাইলটি নিয়ে আসব। আপনি তখন স্পষ্ট দেখতে পাবেন মাথাটি।

না। আমি আর দেখব না, অন্তত আজকে তো না অবশ্যই। আপনার সাথে আমার কথাবার্তা শেষ হয়েছে। আপনি আপাতত চলে যান। আমি যা বলেছি তা নিয়ে ভাবুন।

আপনি যা বলেছেন তা আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আপনি মাথাটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ছবিটি দেখলে আপনি এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন।

দেখুন, সত্যতা নির্ভর পদ্ধতিতে আমি কাজ করি না। আমি আমার পদ্ধতিতে কাজ করি, এটা আমাকে করতে দিন। আপনি আজ যান, সময় শেষ।

কিন্তু ছবিটি...

ওটি একান্তই দেখাতে চাইলে আগামী সপ্তাহে নিয়ে আসুন।

আচ্ছা, ঠিক আছে। তাই হবে, আগামী সপ্তাহে আমি ছবি নিয়ে আসব।

ওকে। বিদায়।

বিদায়।




(পরবাস-৭৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮)