|| ঋণ ||
যখন তখন চলে আসো--
একটুও শব্দ না করে।
টোকা তো দিতেও পারো--
বুকের কপাটে।
অপ্রস্তুত তুলে নাও
নাগরদোলায়!
ঘূর্ণনের সে কী ওঠাপড়া--
উচ্চাবচ বন্ধুর যাত্রায়!
প্রলয়ের ভীষণ আবেশ!
ঘরবাড়ি ভেঙে ভেঙে
পড়ে যায়: উল্লাস-মধুতে মাখা
কী অসীম নৈতিক বিচ্যুতি!
নক্ষত্রলোক জুড়ে তারা
ফোটে, বাজি ফাটে--
রোশনাই সুখ ও প্রেমের।
তোমার ছবিরা আসে।
হাত ধরে।
ঋণী করে রেখে দেয় যখন তখন।।
|| নাছোড় ||
যে লেখা গিয়েছে মুছে একেবারে
বানান ও যতিচিহ্ন সহ,
তাদের ফেরাতে চেয়ে বর্ষার আকাশ
জুড়ে কী তুমুল-অসীম
আগ্রহ! অপঠিত সেইসব
অক্ষরসমূহ হাতছানি দেয় দিনরাত,
গভীর অস্বস্তি আনে
নিদ্রা ও জাগ্রতে।
শব্দ আসে…শব্দ ভাসে…
আকুল মোচড় দেয় বুকের সেতারে।
সাংকেতিক কিছু চিহ্ন
আজও রয়েছে যেন, অদৃশ্য কালিতে--
যদিও মুছেছো শব্দ নির্দ্বিধায়
নিষ্ঠুর আঙুলে।
যে লেখা গিয়েছে মুছে বানান ও যতিচিহ্ন
নিয়ে, নাছোড়ের মত তবু পিছু নেয়--
আকাশ ভাঙার
মত, মেঘ করে এলে।।
|| তোমার মুখের ছবি ||
পদ্মনালে সাপ হয়ে জড়িয়ে রয়েছি,
স্থির শান্ত-সমাধির তৃপ্তিতে
বিভোর।
তোমার মুখের ছবি, ভাসানের
দর্পণে প্রতিমা।
বুক ভরে দেয় সুখে-শোকে ও অনলে।।
(পরবাস-৭৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮)