নিজেকে মেলেছো নির্ভার
যে নম্র গাছতলায়
তারি কোটরে গহ্বর
গহ্বর জুড়ে জরাতুর কাল...
সুতীক্ষ্ণ সুবিষ শিসধ্বনি
জীর্ণ করে ডানা
যেন বিশ্বাস গচ্ছিত রাখার প্রতিদান।
তুমি যে আয়াস দিয়েছিলে...
বিনিদ্র দিন-রজনী কাটাকুটি খেলা...
প্রগাঢ় কুয়াশায় মুছে মুছে গেছে কবে,
তোমার আচ্ছন্ন বোধের আড়াল ছুঁয়ে
নিভে গেছে মন;
নিশ্চিন্তির মায়াবী রেশম আঁচল
এ যাবৎ ঢেকে রাখে কাজর চক্ষুতারকার রোষ,
অনাঘ্রাত চোখ...
হৃদ্পিণ্ড বিদ্ধ করে ক্ষতমুখ ভালোবাসা
বিষাচ্ছন্ন সুতীব্র শায়ক! ...
সাধারণ মেয়ে
চোখে চোখ রেখে দেখো
গাঢ় নীল লবণাক্ত...
দূরে কালো তীরভূমি
বাঁয়ে রাখা রিক্ত খর পাহাড়
ডান হাত ধরে সুনিপুণ তুমি!
সামনেই চতুরালি চর
সোনালি ধানের মায়া লেগে আছে
সেই মেয়েটিকে চিনতাম বহু আগে
চোখের সমুদ্রে সে বাঁচে!
তারপর দিকচিহ্নহীন
জেসনের নাও
মেদেয়া দাঁড়িয়ে নেই আজও
অনারাধ্য বন্দর ছুঁয়ে যাও।
সন্ততি চাঁপাকলি নাড়ে
লেপে থাকে আঁচলের ঘামে
ফ্ল্যাটবাড়ি চৌকাঠ ফেরে নিঃসাড়ে
সমুদ্র জেনেছে সে একটাই নামে।।
(পরবাস-৭৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮)