পারি শহরের উত্তরে লা শাপেল অঞ্চলটিকে মিনি ইন্ডিয়া বলে ডাকে অনেকে। তিরিশ বছর আগে এর অস্তিত্ব আমাদের এমন করে জানা ছিল না। লা শাপেলে আমাদের আসতে হয় বলতে পারেন রসনা তৃপ্তির বাসনায়। বেশ অনেক দিন হল এখানে প্রায় নি:শব্দে আমাদের চেনা খাদ্যসামগ্রীর দোকান বাজার গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, পন্ডিচেরী, মাদ্রাজ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, শ্রীলংকা মাদাগাস্কার রিইউনিয়ন মরিশাস---দেশ ছেড়ে আসা মানুষজনরা পারির উত্তরে এ-সব জায়গায় বেশ অনেকদিন হল বসতি বাঁধে, কারণ জিনিষপত্রের দাম কম, বাড়ী ভাড়া সস্তা তা ছাড়া শহরের অন্য অনেক পাড়ার মত নাক উঁচু ভাবটা নেই। একটি দুটি করে দোকান গড়ে উঠল। জীবন চালানোর জন্য ব্যবসা! ওদিকে যদি যান মনে হবে দেশ বোধ হয় ছাড়েন নি। কি নেই! দোকান উপচে পড়া সজনে ডাঁটা পটল মোচা পুঁইশাক, লালা শাক, উচ্ছে, ঝিঙে, ভেতরে মজুত যা যা স্মৃতিমাখা খাবার ছেলেবেলায় স্বাদ পেয়ে অভ্যস্ত ছিলেন তার অফুরন্ত ভাণ্ডার; দশ রকমের বাসমতী চালই দোকানে ভর্তি, শাড়ী, গয়না, সালোয়ার কামিজ, টিপ, ভারতীয় মালিকের হোটেল, ব্যাংক, চুলকাটার দোকান, রসগোল্লা রসমালাই লাড্ডু সিঙাড়া নিয়ে বাহারী সাজানো পাঞ্জাবী মিষ্টির দোকান ভাই ভাই, হালুইকর কোলকাতার। ধূপের গন্ধের সঙ্গে মেশে কারিমশালার গন্ধ, রাস্তায় অলস দাঁড়িয়ে থাকে, গল্পগাছা করে আমাদের দেশোয়ালী ছেলেমেয়েরা, মা ঠাকুমারা নিজেদের মধ্যে। যেন ছেড়ে আসা দেশ ধরে রাখা আছে ওদের হাতের মুঠিতে, বিদেশে এই লা শাপেলে, ফ বুর সাঁ দেনির রাস্তায়, পাসাজ ব্রাডিতে। আইফেল টাওয়ার দেখার, ট্যুরিষ্ট মিউজিয়ম দেখার মানুষজন এখান থেকে দূরে। তবু পাড়া গমগম করে ভীড়ে, পরবাসে থাকা অনেক মানুষের যাতায়াত, আমাদের মত ক্রেতারা যারা বাড়ীর ভাঁড়ার ভরে নিতে আসি দোকানে, আবার সেই মানুষজনেরা যারা পরিচয়পত্রের দাবী না পেয়ে পুলিসের হাত এড়িয়ে চলে, লুকিয়ে বা আড়াল দিয়ে চলে তাদের অনেকে এসে মিডিয়ার দোকানে রেকর্ড না নতুন বেরোনো ছবির ভিডিও দু একটি কেনে, নিজেদের ভাষায় একটু সুখদু:খের গল্প, এ দেশে থাকার কার্ড পাওয়ার অসুবিধে কাজ পাওয়ারও এ নিয়ে আমাদের মতো খরিদ্দারদের সঙ্গে কয়েকবার দেখা হলে কথাবার্তা চলে, বাংলাদেশের দোকানী দুদু মিয়ার বৌ ঝুড়িতে রেখে দেয় অতিরিক্ত দু-টি আম, তার দাম কিছুতেই দেওয়া চলবে না। সত্তর সাল থেকে এভাবে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে একটা অন্য জগৎ পারি শহরের বুকে। একটি ছোট্ট দোকান গড়ে উঠল, তারপর আরো একটি আরো অনেক--- দেশ থেকে এলো ভাই বোন খুড়ো চাচা---‘তুতো ভাইবোন', “কান্ট্রি কাজিন”---দোকান বড়ো হতে থাকে, বিদেশী জীবনে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে, দেশী জীবন যাপনে নানা বাধা অসুবিধে, তারি মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের বাসিন্দারা একসঙ্গে অনেকে এখানে মিলছে হয় খাবারদাবারে, জীবনযাত্রার স্টাইলে, ব্যবসায় কখনো বা ধর্মে।
একটু দূরে পিটার ব্রুকের থিয়েটার হল বুফ দ্য নর। কাছেই পারির বড়ো নর্থ রেলওয়ে ষ্টেশন। পারির ভূগোল জানবার জন্য এ লেখা নয়। আসলে কয়েক বছর ধরে লা শাপেলের ফরাসি চরিত্র কেমন করে আমাদের ঐ দিকের দেশগুলির সঙ্গে মিলেমিশে একসঙ্গে বাস করছে সেটা দেখানোর চেষ্টা বলতে পারেন। এ-পাড়ার ফরাসি বাসিন্দারা তেমন যে পছন্দ করে মিলেমিশে থাকাটা তা মনে হয় না। কোন গোলমাল হলেই দায়িত্ব চাপায় এই বহিরাগতদের ওপর। খুন, ছিনতাই, পরস্পরের মধ্যে প্রকাশ্যে হাতাহাতি, ফেলে আসা দেশের রাজনৈতিক দলাদলি তো কখনো কখনো এদের হিংস্রতায় অন্ধ করে দেয় যা প্রবল ভায়োলেন্সে রূপ নেয়। আবার কোন কোন দিন হাটবাজার করতে গিয়ে দেখেছি জাতিবৈষম্যের বিরুদ্ধে, রিফিউজি কার্ড না পাওয়ার বিরুদ্ধে কালো বাদামী মানুষেরা বিরোধী শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে হেঁটে যাচ্ছে---দু ধারে পুলিশ প্রহরা—ঐ দূরদেশ থেকে আসা মানুষের সঙ্গে পা মিলিয়ে হাঁটছে এ দেশের অকৃত্রিম ফরাসি মানুষজন, যেন ভ্রাতৃত্বের গিঁট বেঁধেছে। আশ্চর্য ব্যাপার নয় যে এখানেই গড়ে উঠেছে পারি শহরের গণেশ মন্দির।
আমেরিকার মত এ-দেশে বিশাল হিন্দু মন্দির তৈরী করার সাধ রাখে অনেক ভারতীয় এখানে বহুদিন ধরে। ১৯৮০সালের প্রথমে শ্রীলংকা থেকে তামিল ভারতীয়রা দলেদলে এদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই এ রকম একটা আর্তি প্রবল দেখা দিল। তার আগে এখানে যারা বাস করছে অনেক দিন ধরে পন্ডিচেরী, মরিশাস, ফরাসি উপনিবেশ রিইউনিয়নের হিন্দুধর্মের মানুষজন তাদের মন্দির গড়ার স্বপ্ন অভিলাষে নবাগতরা বাসনা মেশাল। কিন্তু ফরাসি সরকারের ছাড়পত্র মেলে না। তাই বলে কি শহরে মন্দির নেই! অনেক পাড়ায়, দূর শহরতলীতে বাড়ীর নীচের তলায় বড়ো বড়ো ঘর এক করে তৈরী হয়েছে শিবমন্দির, হনুমানজীর মন্দির, তারা মন্দির, গণেশ মন্দির। এ পাড়ার গণেশ মন্দিরটির নাম আছে। শ্রী মানিকর আলয়ম পারির আঠারো নং পাড়ায় ১৯৮৫ সালে গড়ে উঠেছে এই মন্দির, প্রতিষ্ঠা করেন জাফনা থেকে আসা শ্রী সন্দেরাসেকরম। ১৯৭৫ সালে পরবাসের মাটিতে পা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর অক্লান্ত চেষ্টা ছিল পারিবারিক বিগ্রহ গণেশকে মন্দিরের বেদীতে অধিষ্ঠিত করা। ১০০০০০ হিন্দু ফ্রান্সে। তাঁর বক্তব্য ছিল ঘরে ঘরে ঠাকুরবেদীতে পুজো তো হচ্ছেই। তা হলে কেন বাইরে মন্দিরে নয়! তাঁর বাবা এ মন্দির তৈরী করেছেন শ্রীলঙ্কার জাফনায়, তাই লন্ডনে, এক ভাইঝি সুদূর অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে। পারি শহরে এ ধরনের মন্দির গড়া বড়োই কঠিন। আঠারো নম্বর পাড়ার গণেশ মন্দিরে স্থান সংকুলান হয় না ভক্তদের ভীড়ে। এদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি একটা চাপা হতাশা, বিক্ষোভ আছে বড়ো করে মন্দির না গড়তে পাড়ার। ভক্তদের প্রশ্ন করলে বলে ‘কতোবার অনুরোধের মাথা ঠোকা সরকারী দরবারে, পারির করপোরেশনের অফিসে। কিন্তু অনুমতি আজ পর্য্যন্ত মেলে নি। অথচ মসজিদ, প্যাগোডা তো গড়ে উঠছে সমস্যা ছাড়াই! তা হলে কি ইসলাম, বৌদ্ধ ধর্মের জোরটা বেশী হল!” চেষ্টা চলছে একটা বড়ো ভারতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার। এখনও পর্য্যন্ত কোন আলোর ইশারা পাওয়া যায় নি। লন্ডনের নেহেরু সেন্টার বা ভারতীয় বিদ্যাভবনের মত একটা কিছু যে এ-শহরে দরকার তা নিয়ে আলোচনা প্রায়ই শুনি। একটি বড়ো মন্দির তৈরী করতে না পাড়ার হতাশাটা বেশী দেখতে পাই এ-অঞ্চলে এলে।
২রা সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীর শোভাযাত্রায় হাজার ভক্তের ভীড়ে সে-কথা আর কারো মনে ছিল না। লাউডস্পীকারে জোরে বাজছে গণেশ বন্দনা মন্ত্র, ওম ওম উচ্চারণ ভেসে যাচ্ছে পারির মেঘলা আকাশ ছুঁয়ে, রংবাহারী পোষাকে সাজা আবাল বৃদ্ধ বণিতা ভারতীয় জনতার বিশ্বাস ছুঁয়ে। চেনে জগতের বাইরে এরা কারা! কোনদিন দেখেছি কি এ শহরে ওদের! গেরুয়া শাড়ী, বিনুনিতে ফুল, মাথায় পেতলের ঘট নিয়ে কর্পূরের প্রদীপ হাতে জ্বালিয়ে মেয়েরা নাচের তালে এগিয়ে চলেছে, ছেলেরা কাঁধে নিয়েছে ফুলে, ময়ূরের পাখায় সাজানো কাভাডি, নাচছে বাঁশী, ঢাক আর নাগাসুরমের বাজনার সঙ্গে। খালি গা খালি পা। শুনলাম দশদিন ধরেই চলছে গণেশ উৎসব। আজ শেষ দিনের রথযাত্রা। দশহাজার ভক্ত আজকের এই রথযাত্রা ও পদযাত্রায়। তামিল, শ্রীলংকা, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের হিন্দুরা-- মাদাগাস্কার, মরিশাস, আরো কতো দেশের। ফরাসিরা ক্যামেরা হাতে দলে যোগ দিয়েছে। রথের দড়ি টানতেও দেখলাম কয়েকজনকে। রাশিয়ার রক্ষণশীল খ্রীষ্ট ধর্মের এক পুরোহিত ঝলমলে পোষাকে হাঁটছেন কপালে তিলক আঁকা খালি পায়ে হাঁটু পর্য্যন্ত কাপড় গোটানো হিন্দু ভারতীয়দের সঙ্গে। পাঁচ মিটার উঁচু রথে বসা গণেশ ঠাকুরের মুখ ফুলে ফুলে ঢাকা। সামনে গাড়ী থেকে হলুদ রঙা পবিত্র জল ছেটানো হচ্ছে, রাস্তায় ফটাফট ফাটছে ভক্তবৃন্দের হাতের নারকোল, লাড্ডু আর দুধ বিলোনো হচ্ছে সমানে, এক ফরাসি কৌতূহলী দর্শক আমাকে প্রশ্ন করলেন আমার বাড়ীতে গণেশ পুজো হয় কি না আর সেই গণেশ দুধ পান করেন কি না। জানলাম বাড়ীতে রাখা নৃত্যরত গণেশটি দক্ষিণী স্টাইলে তৈরী ব্রোঞ্জের, দুধ পান করেন কি না দেখি নি। আমার দিকে তিনি এমনভাবে তাকালেন যেন আমি ওর দেশে বাস করে নিজের ধর্ম, আচার বিচার সব বির্সজন দিয়েছি। আর তিনি তার শ্বেতশুভ্র কপালে এঁকে দেওয়া হলুদ লাল তিলকে সেই হারানো বিশ্বাস ধরে রেখেছেন। এ রকম অনেক ফরাসি এই মিছিলে হাঁটছেন, যারা মনে করেন ভারতের ঋষি রূপ, ঠাকুর দেবতা, পুজো আর্চ্চা ওদের বর্তমান সমস্যাপীড়িত জীবনে এনে দেবে শান্তিজল। শাড়ী, টিপে সাজা তরুণী ক্যাথরিন পাশে পাশে হাঁটছিল, “ওম গণেশায় নম:" মন্ত্র উচ্চারণ করে চলেছে অস্ফুট শব্দে, আমার দিকে চোখ পড়লে বলে ওঠে “আগের জন্মে আমি ছিলাম তোমাদেরই একজন। পথ ভুলে এ দেশে জন্মেছি, কিন্তু জেনে রেখো আমি তোমার মতনই ভারতীয়া।" আমি সান্ত্বনা দিয়ে বলি, "না না মেয়ে, তুমি আমার থেকেও বেশী।” ভারতপ্রীতির প্রসঙ্গে এ-সব কথা এখানে অনেক ফরাসির মুখে শুনতে হয়। ভালোই লাগে। হাঁটতে হাঁটতে দেখি এক কোণে মেহেদী দিয়ে হাত রাঙিয়ে নিচ্ছে তারা ষ্টোর্সের বিউটিসিয়ানের কাছে দুজন ফরাসি তরুণী। আরে! কাকে দেখছি! মিছিলের সামনে পাগড়ী মাথায় মালির সাকো কি নাচ নেচে চলেছে। ওকে বহুদিন ধরে দেখছি এখানকার রামকৃষ্ণ মিশনে যাতায়াত করতে। শাদা পাগড়ী জড়ানো কালো মানুষটি আফ্রিকার মালিতে মুসলমান পরিবারে জন্মেছে। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে থেকেই তার মনে হত অন্য কোথাও অন্য কিছু তার জন্য অপেক্ষা করে আছে। অনেক সন্ধান, অনেক ঘোরাঘুরির রাস্তা শেষ হয় পারি শহরের রামকৃষ্ণ মিশনে। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বিশ্বাসে মিশিয়েছে তার আপন বিশ্বাস। খুঁজে পেয়েছে ওর তৃষিত প্রশ্নের উত্তর। সাকো সংস্কৃত শেখে বারাণসীতে, চলে যায় কুম্ভমেলার উৎসবে, কখনো অমরনাথের তীর্থযাত্রায়, এই তো ফিরলো দেবপ্রয়াগের এক আশ্রম থেকে। গণেশ পুজোর মিছিলের একেবারে সামনে সাকোর নিমীলিত চোখের এই নাচে কোন খাদ নেই। সব অচেনা মানুষের মধ্যে ঐ একটি চেনা মানুষকে দেখে খুব ভাল লাগল। চারদিকের জনতার অধিকাংশ আমার দেশের মানুষ। অথচ চিনিনা। তাদের অনেকের সঙ্গে দেখা হয় পণ্যসামগ্রীর হাটে, দোকানে পসার সাজানো ক্যাশের চেয়ারে। আজ তারা রঙীন সাজে সেজে অন্য জগতে। চার ঘন্টা ধরে চলবে এই রথযাত্রা। ফ বুর সাঁ দেনির দোকানের সামনে সাজানো পূজার উপচার। তারা, উজ্জ্বলা, তামিল প্যালেস, শাড়ী প্যালেস, ক্যাশ এন্ড ক্যারি, সব দোকান থেকেই মেয়েরা থালায় প্রদীপ নিয়ে এগিয়ে আসছে সিদ্ধদেবতার আরতি করবে বলে, পুরুষেরা ফুটপাথে ফাটাচ্ছে শয়ে শয়ে নারকোল। একটি আলজেরিয়ান বয়স্কা মহিলা ওর মধ্যেই খুঁজে চলেছেন যদি একটিও অক্ষত ফল মেলে। আজ দোকান বন্ধ। প্রতিটি দোকান থেকে পুজোর উপচারে ভক্তির অর্ঘ্য। “অনেক খরচ হল?” উজ্জ্বলা জুয়েলার্সের রুক্মিণীকে প্রশ্ন করতেই সে মিষ্টি হেসে আমার কপালে চন্দনের টিপ পরিয়ে হাতে ধরিয়ে দিল বেসনের লাড্ডু। পেয়ে গেলাম প্রশ্নের উত্তর। আশা করি আপনারাও। আজ কোন ব্যবসা নয়। তবে ভারতীয় রেস্তোরাঁগুলি ভর্তি করেছে দ্বিপ্রাহরিক ভোজন বিলাসী ফরাসিরা। সে ব্যবসা আজ রমরমা।
ফিরে আসছি। মিছিল এগিয়ে চলেছে। রাস্তার ট্রাফিক বন্ধ। গাড়ী রাখতে হয়েছে অনেক দূরে। দু-ধারে পুলিশ প্রহরা ভেদ করে চলেছি। সামনে অনেক রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দেওয়া হয়েছে আজকের দিনের জন্য। ভাবছিলাম আজকের যে বেড়া ভাঙা দু দেশের মিলন চোখে পড়ল তা কি ক্ষণস্থায়ী! ঐ লাল রক্তচক্ষু ওয়ান ওয়ের নিষেধ বৃত্তের মাঝখানে শাদা দাগ কি দেশ জাত ধর্ম রঙের বেড়ার দরজায় আলাদা তালাচাবি এঁটে দেবে! নাকি আজকের দিনের জন্য শুধু চোখ রাঙানো!
(পরবাস-৭৪, ৩১ মার্চ ২০১৯)
ফটোঃ ??