আরেকটা কলকাতা;—সুপ্রিয় চৌধুরী; প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২০১৮; আনন্দ পাবলিশার্স - কলকাতা; পৃষ্ঠাঃ ২৪২; ISBN: 978-93-88014-02-1
আরেকটা কলকাতা আসলে আরেকটা মানুষের চোখে দেখা, হারিয়ে যাওয়া কলকাতার গল্প। যে কলকাতা আমাদের নস্টালজিয়া — বিশ্বায়নের আগের দিন পর্যন্ত যে কলকাতার মাটিতে মিশে থাকত সোঁদা বুনো গন্ধ, সেই কলকাতার গল্প। যেখানে শিশিরের শব্দের মতন বিকেল নেমে আসার মুহূর্তে শোনা যেত পাখির ডাক, ফেরিওয়ালার হাঁকাহাঁকি। সূর্য আরো ঢলে পড়লে জ্বলে উঠত লাইটপোস্টের হলদে ডুম। ছড়িয়ে পড়ত রহস্যময় একটু আলো আর অনেকটা অন্ধকার। মানুষ তখনও ততটা ধান্দাবাজ হয়নি আর হন্তদন্ত জীবনের সঙ্গে বেঁচে থাকার যুযুৎসু খেলা তখনও শুরু হয়নি মালকোঁচা মারা পেশাদারী ভিত্তিতে — সেই কলকাতার ইতিবৃত্ত।
বেঁচে থাকার মধ্যে সেসময় ছিল একটা হেলাফেলা ভাব। লুটে পুটে চুষে চেটে খেতে হবে এমন হাঘরেপনার তখনও জন্ম হয় নি। তখন আসল জীবনের পাশাপাশি ছায়ার মতো ঘুরে বেড়াত একটা বাউণ্ডুলে জীবন। হলেও হয়, না হলেও হয় এমন একটা বাউল-মন। খেত ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আর পুজো পাব্বনে মজে থাকা বাঙালি তখন খেতে ভালবাসত — আরো ভালবাসত খাওয়াতে।
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে বাঙালির জীবন ছন্দে যতই তোলপাড় হোক না কেন, বাউণ্ডুলে জীবনের হাতছানি আর পেটপুজোর জয়যাত্রায় কিন্তু এতটুকু ছেদ পড়ে নি। বরং পদ্মার ওপার থেকে আসা স্বভাষী-স্বজাতিদের কাছে পেয়ে আরো বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠল কলকাতার রক, চায়ের দোকান আর রান্নাঘর। এই যে কামড়াকামড়ি না করে বেঁচে থাকা — টাকার কিছুটা আর সময়ের কিছুটা বাজে খরচ করার ইচ্ছে — একটা গতানুগতিক মিতব্যয়ী জীবনের উল্টোদিকে হাঁটার বাসনা আর আবেগ থেকেই বাঙালি জীবনে বামপন্থার উন্মোচন। এই একই জঠর থেকেই নকশালবাড়ি আন্দোলনের জন্ম। এবং মৃত্যু।
কিন্তু মানুষ মরে গেলেও, মানব থেকে যায়। গত শতাব্দীর ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত কলকাতা আর তার চারপাশের শহরতলিতে এমন মানুষ দেখা গেছে অনেক যারা আলো করে বসে থাকতেন চায়ের দোকানের কাঠের বেঞ্চে, আর লেড়ো বিস্কুট খাওয়াতেন ঘিয়েভাজা খেঁকিগুলোকে। এইসব ভুতোদা, বোঁদেদা, ফতা গেঁদো গোবরাদের গুলতানিতে রমরম করত কলকাতার দিনরাত। দল বেঁধে এরা চলে যেতেন খেলার মাঠ, এরা ‘বলহরি’ বলে কাঁধে তুলে নিতেন শবদেহ, কোমরে গামছা জড়িয়ে নেমে পড়তেন অনুষ্ঠানবাড়ির পরিবেশনে।
এমন সব বহুমুখী প্রাণবন্ত মানুষদের কোনও আক্ষেপ ছিল না ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোয়। বরং মোষ কম পড়লেই তাদের দিনগুলো কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যেত। অবশ্য এরা যতটা জানতেন, জানার ভান করতেন তার বেশি। অপরের থেকে ধার করা অভিজ্ঞতা চালিয়ে দিতেন নিজের বলে। এরা এত শিল্পসম্মতভাবে গুল-পট্টির মিশেল দিতেন আড্ডায় যে ভেজাল ধরা পড়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। একইভাবে যৌক্তিক আর অযৌক্তিক আনাড়ি তর্ক করায় এরা ছিলেন সিদ্ধমুখ। এদের মুখটা ছিল অনেকটা আলগা। যে কোনও বিতর্কে আদিরসাত্মক মশলার মিশেল দিতে এরা ছিলেন দক্ষ কারিগর। ছোট ছোট খেলার মাঠ আর পুকুর পাতকুয়ার মতো এই সব অন্যরকম মানুষেরাও আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছেন মহানগর থেকে।
এমন সব ক্ষয়িষ্ণু মানুষদের চোখ দিয়েই কলকাতাকে খুঁজেছেন লেখক সুপ্রিয় চৌধুরী। বোঝা যায় সবটাই তার নিজের অভিজ্ঞতা নয়। কিছুটা বিশেষজ্ঞদের রচনা থেকে সংগ্রহ করা আর কিছুটা ইন্টারনেটের উদারহস্ত থেকে খোবলানো। আগে ছিল কিন্তু এখন আর তেমনটা নেই বা আদৌ আছে কি না জানি না, অনেকদিন যাই নি ওদিকে — বলে অনেকক্ষেত্রেই দায় এড়িয়ে গিয়েছেন রচনাকার। মনে হয়, বই প্রকাশের আগে আলোচিত স্থানগুলিতে একবার সরেজমিনে তদন্ত করে আসার দরকার ছিল। অবশ্য এইটুকু না থাকাতে পাঠকের কোন অসুবিধে নেই কারণ ‘আরেকটা কলকাতা’ আসলে হারিয়ে যাওয়া কলকাতার কথা, নেই-কলকাতার ইতিকথা। কেউ যদি ভেবে বসেন ‘আরেকটা’ অর্থে সাবঅল্টার্ন কলকাতা বা অন্ধকারের কলকাতা কিংবা নিষিদ্ধ কলকাতার গল্পই শুধু বলেছেন লেখক তাহলে ভুল হবে।
অবশ্য সোনাগাছি রামবাগানের প্রসঙ্গ বা কলগার্ল এসকর্ট সার্ভিসে জড়িয়ে পড়া মেয়েদের হাহাকারের কথা কিম্বা হিজড়েদের জীবন কাহিনি ঠেলাঠেলি করে কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে বইয়ে — আছে পকেটমার, জুয়া আর দুষ্কৃতিজগতের হাল-হকিকত। কিন্তু তার থেকে অনেকটা বেশি অংশ জুড়ে আলোচিত হয়েছে কলকাতাময় ছড়িয়ে থাকা হোটেল-রেস্তোরাঁর কাহিনি ও প্রসিদ্ধ সব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার আর তাদের বিচিত্র ও রসালো খাদ্যপদের বিবরণ। এমনকি কলকাতার তেলেভাজা আর চায়ের ঠেকের স্ট্রিট ডাইরেক্টরিও বাদ যায়নি লেখকের আলোচ্যসূচি থেকে। বিভিন্ন খাদ্যবিপণির নাম ধরে ধরে, তাদের সব মুখরোচক পদের মাহাত্ম্যবর্ণনা করা সত্ত্বেও অনেকটাই বাদ থেকে গেছে। অবশ্য সব খাদ্যবিপণির কথা বলতে হবে এমন কোনও দায় লেখকের ছিল না তবু কলেজস্ট্রিটে জ্ঞানবাবুর রেস্টুরেন্ট আর বৌবাজার মোড়ের ইন্দোবার্মার প্রসঙ্গ থাকা উচিত ছিল। কলেজস্ট্রিট কফিহাউসের মতই এই দুটি রেস্টুরেন্টই একদা ছিল উঠতি আর প্রতিষ্ঠিত আঁতেলদের তুলো ওড়ানোর আখড়া।
আসলে ‘খাইবার পাস’-এর গোলকধাঁধায় ঘুরতে ঘুরতে লেখক যে ফেঁসে গিয়েছেন সেটা বুঝতে অসুবিধে হয় না। একটা খাদ্যবিপণির নাম কীর্তন করলে যে সমশক্তিমান আর একটাকেও তুল্যমূল্য জায়গা দিতে হয়। এইভাবে কলকাতা উত্তর থেকে দক্ষিণ ছড়িয়ে থাকা অনেক-অনেক দোকানের ভিড়ভাট্টায় নিছকই এক ফুড ডাইরেক্টরি হয়ে উঠেছে পুস্তকটি। সে হিসেবে গুগল অ্যামাজনের পূর্বসূরির মর্যাদা লাভ করা গেলেও পুস্তকটির সাহিত্য মূল্য কিছুটা খাটো হয়ে যায়।
সব রকমের খাবারদাবারের ঠিকানা জানাবার পর চা দোকানের কথা বলতে এসে লেখক নিজেই বুঝেছেন অসুবিধেটা। লিখেছেন, ‘.... এভাবে তো চলতে পারে না। শুধু কলকাতার চা আর চায়ের ঠেক নিয়ে লিখতে গেলেই একটা হাজারখানেক পৃষ্ঠার বই হয়ে যাবে।’(পৃ ১৩৮)
ঠিকই তো। একেবারে হককথা বুঝেছেন লেখক। তবে একটু বিলম্বে বুঝেছেন। ক্রমাগত একের পর এক খাবারের দোকান আর তার শ্রেষ্ঠতম পদের সংক্ষিপ্ত রেসিপি জানতে জানতে পাঠকদের ক্লান্ত হয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক। ‘ঝিরিঝিরি করে কাটা পিঁয়াজ, শশা আর ওপরে একটু বিটনুনের ছড়া’ এমন বিবরণ — আর ‘কোনও কথা হবে না কাকা’ কি ‘একেবারে স্বর্গসুখ’ কিংবা ‘দেখলে ছমাসের খিদে একদিনে পেয়ে যাবে’ বা ‘কাগজের মোড়কটা ছিঁড়ে স্রেফ একটা কামড়। বাকিটা? মশাআল্লা!’ এমন সব অসংখ্য এক্সক্ল্যামেশন। একাধিকবার।
বরং ময়দানের কথা বলায় লেখক অনেক আন্তরিক। বোঝা যায় খেলার ময়দান, রাতের রহস্যময় ময়দান বা রবিবারের বিচিত্র ময়দানের সঙ্গে লেখকের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। নিছক বর্ণনাই নয়, ময়দানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষের হাসি-কান্না, দীর্ঘশ্বাস আর জীবন সংগ্রামের গৌরবময় কাহিনি হৃদয় দিয়ে তুলে ধরেছেন লেখক। অবশ্য এই ময়দানের অনেকটাই এখন আর আগের মতো নেই। ক্লাব টেন্টগুলোর যে সব মুখরোচক আর সস্তা খাবারের কথা বলেছেন তার সংখ্যা এবং জৌলুস দুই-ই প্রায় অস্তমিত। যদিও লিম্বু-পানির প্রশংসা না করে, ‘ঐ জল খেয়ে কারো কোনদিন পেট খারাপ হয় নি’ এমন অবৈজ্ঞানিক ঢালাও সার্টিফিকেট না দিয়ে বরং এমন জল পান না করার উপদেশ দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত ছিল।
আরেকটা কলকাতার কথা বলতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া কলকাতার আরো কিছু নস্টালজিয়া তুলে ধরেছেন লেখক। বলেছেন অন্য খাবারের কথা। জ্যাকেরিয়া স্ট্রীটের খাবার, বা ব্যারাক হাইড লেনের চিনা প্রাতরাশ — এমন সব বিচিত্র ঠেকের বিবরণ বেশ ঝরঝরে ভাষায় বিবৃত করে আমাদের জিহ্বা ও হৃদয়কে লালায়িত করেছেন। আরো বলেছেন এসকর্ট সার্ভিসের ভেতরের গল্প, দিয়েছেন হাট-বাজার বিপণির ঠিকানা। আছে পকেটমার, মদের ঠেক, একটু অভিজাত অন্যরকম বেশ্যালয় থেকে ঝি স্পেশালের কথা। সব মিলিয়ে লে লে বাবু ছআনার মতো ২৪২ পাতার বইয়ে অনেক বিষয়ের সম্ভার। লেখকের ট্রলিগাড়ি প্রায় উপচে পড়ার যোগাড়। যদিও বেশ কয়েকটি বিষয় একেবারেই বুড়িছোঁয়া। পেডোফাইল কলকাতা বিষয়ক অধ্যায়টি অবশ্যই বাদ দেওয়া উচিত ছিল কারণ মাত্র তিন পাতার দায়সারা নিবন্ধে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কলম ছোঁয়ানোর দরকার ছিল না। আবার ঐ একই বিষয় অন্যভাবে বলা হয়েছে ‘শিশুখামার’ অধ্যায়ে। দুর্ভাগ্যবশত এক্ষেত্রেও পাতার বরাদ্দ সাড়ে তিন। আসলে সব ক্ষেত্রে ‘নেই মামার থেকে কানা মামা’ ভাল হয় না।
তবে লেখকের যাবতীয় খামতি, বিবরণের পৌনঃপুনিকতা বা ওপর ওপর লিখে দেওয়ার অপকৌশল সবই ঢাকা পড়ে গেছে সুনিপুণ বৈঠকি মেজাজের প্রসাদগুণে। হারিয়ে যাওয়া কলকাতার গল্প বলতে গিয়ে কলকাতা-হাওড়ার বা আধা-শহুরে রক কালচারের মেজাজটিকে একেবারে জমিয়ে ধরেছেন লেখক। যাকে বলে গুছিয়ে চা-দোকানের বেঞ্চে পা তুলে আড্ডা মারা সেরকম একটা কাঁচাখোলা (??কাছাখোলা??) চাঁচাছোলা ভাষায় পরের পর বিভিন্ন গালগপ্পো চালিয়ে গেছেন। সবটাই যেমন বানানো নয়, তেমনই সবটাই আবার প্রামাণ্য সত্যিও নয়। একেবারে শুরুতে লেখক যে ‘কালো কলকাতা’-র উপাখ্যান জানিয়েছেন তার অনেকটাই নানান মুখে পল্লবিত হয়ে সহস্রধারায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে। আমার বাবা-কাকার মুখেই এই সব কাহিনির অন্যরকম রূপান্তর শুনেছি।
অবশ্য আড্ডার মুক্তকচ্ছ আসরে এসব কোনও দোষের নয়। আসল কথা হল বাজার জমিয়ে দেওয়া। সেদিক থেকে লেখক ষোলআনা সার্থক। একেবারে টিপিক্যাল উত্তর কলকাত্তাইয়া ভাষায় কোনরকম পোলেমিক ডিসকোর্সের ধারে কাছে না গিয়ে গড়গড় করে নিজের মত কথা বলে গেছেন। আড্ডা আসরের যিনি মধ্যমণি এমনটাই ছিল তাদের সাবেকি চলন। মুখ না খুলে, কানদুটোকে পুরো খুলে রেখে শুনে যেতে ভালবাসতেন আসরের শ্রোতারা। এমনটাই ছিল অশাসিত সংবিধান।
একেবারে সেই মধ্যমণি সুলভ জমাটি কথকতার ভঙ্গিতে কথা বলেছেন লেখক। ঐ সব আড্ডাবাজির কিছু নির্দিষ্ট বাগধারা ছিল, বিশেষ সিনট্যাক্স ছিল, সেই সব শব্দবাণ সুচারুভাবে ব্যবহারও করেছেন — যেমন তার লেখার মধ্যে অনায়াসে ঢুকে পড়ে ‘সরুস্য সরু গলি’ বা ‘... দাঁত কেটে বসার কচ শব্দ। বাকিটা — পুরো শিল্প’ কিম্বা ‘... রসিয়ে রসিয়ে এসব গুহ্যকথা গাবিয়ে দেবেন না যেন। একটা মারও বাইরে পড়বে না। আমার কিন্তু বডি ইনসিওরেন্স নেই।’ সবই পাওয়া যাবে লেখার মধ্যে। আর পাওয়া যাবে বলেই একটানে পড়ে ফেলা যায় বইটি। পৌনঃপুনিকতার বিরক্তি অনেকটা কেটে যায় সহজ সরল রসিকতার ছোঁয়ায়।
বোঝা যায় অনেক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে এই বইয়ের ভিত। পরিশিষ্ট অংশে দেওয়া হয়েছে লেখকের তথ্যসূত্র এবং ঋণস্বীকার অধ্যায়। ১৬ ও ১৭ নম্বরে আছে ‘এ ছাড়াও বহু মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা ও সাক্ষাৎকার’ এবং ‘বন্ধুবান্ধব’। বস্তুত ঐ ১৬ আর ১৭ নম্বরের ঋণস্বীকারটিই এই বইটির পক্ষে অপরিহার্য ছিল।
সবশেষে প্রকাশক সম্পর্কে দুটো কথা বলা দরকার। প্রথমত, এতগুলো বিষয়কে উপযুক্ত পরিসর না দিয়ে মাত্র ২৪২ পাতার দাদুর দস্তানায় ঠেলেমেলে ঢোকানোর কোনও দরকার ছিল না। বিশেষ করে ‘সুমন কলকাতা’ নিবন্ধটি একেবারেই অপাংক্তেয়। লেখকের হাজার আবেগ থাকলেও এক্ষেত্রে নির্মম হওয়া উচিত ছিল প্রকাশকের। দ্বিতীয়ত, বাংলা প্রকাশনা জগতের একটি প্রথম শ্রেণীর প্রকাশকের আরো সতর্ক থাকা দরকার ছিল মুদ্রণপ্রমাদ সম্পর্কে। ফার্স্ট বয়ের যদি এত ভুল হয় তো আমরা মুখ লুকবো কোথায়!
(পরবাস-৭৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)