ISSN 1563-8685
দুটি কবিতা
অকালের কুহু
১
তোমার সঙ্গে শুধু হেঁটে চলাকেই বাড়ি ফেরা মনে হয়,
ঘর মুছে ফেলি।
অথচ আমার এই তো সামান্য রোদ,
নির্দ্বিধায় তার নিচে তোমার যাবতীয় বর্ষাকাল
শুকোতে দিলে ।
চোখ ভিজে গেলে সমস্ত উঠোন জুড়ে
মিথ্যে মিথ্যে বসন্তের টুকরো ছড়ালে,
অমনি আমার পঞ্চব্যঞ্জনে কুহুতান মিশে গেল।
সারাদিন শুধু খিদেকেই সাজালাম ষোলোকলা দিয়ে।
সঙ্গে ছিলে,
সন্ধের প্রসাধনে শুধু বাজারের অধিকার...
এই কথা যতদিনে ভোলাতে পেরেছি
ততদিনে তুমি ফের অকাল বর্ষণ ফিরিয়ে এনেছ,
আমি একা ভিজছি পথে।
খনা
রোদ সামান্য ফুঁসে উঠলেই ভাবি,
এইবার ঠিক গোধুলি নামাবে মেঘ।
ঘরে ফেরা আর না-ফেরার খোলা পথ,
ধুলো ঘেঁটে ঘেঁটে পদচারণের সূচি
খুঁজতে খুঁজতে যেখানে থামবে এসে,
কিছু ফাল্গুন খানিকটা খরাদাহে
সেইখানে ফের শান্ত মাটির দেহ।
আগুনের মুখ ঘুরিয়ে দিলেই, গায়ে
ছোট ছোট মীড়ে নিশ্বাস এসে লাগে,
গোপনে গোপনে পুঁথির পাতার ক্ষতে
আধখানা জিভ মোমের স্পর্শ রাখে।
দিন ও রাতের বিষ তেতো জিভে ছুঁয়ে
যেসব কথারা প্রবাদ হয়েছে, তবু
তার আঁচে আজও আঁচলের গিঁট পোড়ে
তারই চারপাশে খিদের পোকারা ঘোরে।