যাব ফুল গাঁয়ে
আজ এত ঘুম কেন
দুচোখ পাতায় বুঝি পারদ নেমেছে?
সামান্য তোষকের কোলাহল আর বালিশ-নৈকট্য
অল্প হলেও কিছুটা দূরেই সরায়...
একাকি এ সময়ে হোম করি, আয়োজন সারি
পূর্ণ আহুতির--
বাল্যের বন্ধু ঝিলের ওপার থেকে ডাকে-- শব্দহীন উচ্চারণে
পদ্ম দেখায়, তার হাতে উড়ান-বেলুন।
ক্লোরোফর্ম ভেসে আসে হঠাৎ হাওয়ায়
বলি তাকে-- যাব, যাব
তার আগে একবার ঘুরে আসি ফুল গাঁয়ে...
ম্যাপ দেখি, কম্পাস হাতড়াই
কতটা দূরত্ব তার, এভাবে বুঝি না
এই মধুবেলা
অমোঘ অস্ত্র সব এইভাবে তূণীরে রাখলে
দুর্বল রাখালের জন্যে এত আয়োজন!
অথচ এ বসন্তদিনে রঙিন বাতাস বহে যায়--
বসেছ আমার সামনে, আমিও তোমার মুখোমুখি
নিরুচ্চারে কেটে যায় এই মধুবেলা, উত্তাপবিহীন
মনে করি গিয়েছি সমুদ্রের কাছে, অতি দূর থেকে
মাছের নৌকো ভেসে আসছে ঢেউয়ের আদরে
পারে উদগ্রীব, চোখে সানগ্লাস আর ছোট দূরবীন
অপেক্ষায় আছি, আমি আহাম্মক...
নৌকোর সব মাছ নিয়ে যায় মহাজন এসে
অথচ এ বসন্তদিনে রঙিন বাতাস বহে যায়...
লজ্জা
যদিও গঙ্গা দুকূলেই বহে যায়
তবুও তা যেন আমাদের কিছু বেশি
নিবিড় সময় কাটিয়েছি তার পাশে
খোঁপা খুলে গিয়ে হঠাৎ যে এলোকেশী!
গুপ্তির কথা আমরাই শুধু জানি
বছর গিয়েছে, যাক না যাবার যাহা
আমাদের কাছে সেই নূপুরের ধ্বনি
এখনো ‘তারিফ’, এখনো বলছি ‘আহা’
তোমার কি এতে দ্বিমত কিছুবা আছে?
লজ্জার মুখ লুকোও পাশের গাছে...
(পরবাস-৭৮, ৮ই এপ্রিল, ২০২০)