সীমান্তে ভয় সীমানা পেরোলে পতন ঢুকবে ঘরে
তবুও তিতলি আগুন ভাবছে শরীর পুড়ছে জ্বরে
ব্যস্ত প্রেমিক শরীর যাপনে ভালোবাসে সিঁড়ি গলি
কুয়াশার ঢালে অস্ত্র লুকিয়ে হাসিমুখে খোঁজে বলি
কোঁচড়ে পলাশ থামলো তিতলি পাঁজরে ভয়ের শব্দ
প্রেমিক বোঝায় প্রেমের আগুনে ঠিক পুড়ে যাবে সব দোষ
সিঁড়িতে পেয়ালা চুমুকে চমক অসাড় তিতলি ভাবে
বকুল ঝরানো নিষিদ্ধ খেলা অবৈধ নাম পাবে
মুহূর্তব্যাপী কিছু কোলাহল - লুব্ধ প্রেমিক দেখে
সামান্য খেলে পাখি উড়ে গেছে রোদের গন্ধ মেখে
হয়ত তিতলি মূল সরগমে শিখেছিল এই লয়
সৃষ্টির ডালে দাগ লেগে গেলে পৃথিবী জটিল হয়!
কুয়াশা যাপন - ২ আয়না উজিয়ে ঘরে ভিজে আছ ডাগর বিকেল
হে প্রিয় পড়শি, তুমি ঘরোয়া শ্রাবণে যেন স্বর্গীয় সংলাপ;
তুমি শ্রাবণের মিঠে জলে মাস্তুলের অপ্রচল অসুখ।
জানি, এ তোমার একান্ত অঝোর বৃত্ত
যেখানে ঝাউপাতা নুয়ে আছে আর্দ্র গোলাপের চৌকাঠে
অথবা এ আসলে এক অব্যর্থ সমর্পণ-বিলাস
যে সমর্পণে লেখা আছে এ পাড়ার দুধসাদা বাড়িটার নাম
হে প্রিয় পড়শি,
ভেবে ভালো লাগে - ওই সাদা বাড়িটাই কোনোদিন ছিল
আমাদের আদর্শ বুনিয়াদি বিদ্যালয়!
(পরবাস-৮০, ১২ অক্টোবর, ২০২০)