|| ১ ||
বাইরে থেকে দেখলে, রোজকার কমলালেবুর মত নরম, সহজ
আর সহাস্য বেঁচে থাকা, ভ্রান্তিহীন।
অন্তরঙ্গে
ছাই হয়ে ঝরে ঝরে যাওয়া, প্রতিপল, প্রতিদিন।
|| ২ ||
এক চিমটি ছাই বেড়ে দিয়েছিল কেউ
সে মেয়েকে, শেষবেলার পাতে।
সেই থেকে নিরন্ন বিস্বাদ জীবনের দলা
উঠে আসে হাতে...
|| ৩ ||
সারারাত জাগিয়ে রাখার মতো সুকঠিন যন্ত্রণারা
হৃৎপিণ্ডে পা ফেলার পরে,
হাত বাড়াতেও, জানো, ভয় করে।
|| ৪ ||
দুহাতের পাতা জুড়ে
কাটাকুটি খেলে গেছে জীবনের দাগ।
শেষ অবধি গোল্লা আর ঢ্যাঁড়া... পড়ে থাকা বিবর্ণ বিরাগ।
|| ৫ ||
এই হাতে, নাভিমূল-উৎসারিত একফালি গল্প ছিল,
পূর্বজন্মস্মৃতি,
সব ছাই উড়ে গেলে বসন্তবাতাসে,
নাভিটুকু দিয়ে এসো জলে। যেরকম রীতি...
(পরবাস-৮১, ১২ জানুয়ারি, ২০২১)