Subscribe to Magazines





পরবাসে সুগত মুখোপাধ্যায়র
লেখা


ISSN 1563-8685




তিনটি কবিতা

আঘাত

কঠোর কথার দাগ থেকে গেছে,
মুছে ফেলা যায় বললেই বুঝি?
তরল হাসির পর্দা সরালে
চাক্ষুষ হবে, বেশি খোঁজাখুঁজি
হবেনা করতে।

আড়চোখে দ্যাখে অতর্কিতের
আঘাতের থেকে বাঁচাতে শরীর।
বিশ্বাস আর করবে কখনো?
দ্যাখাও যতই মুকুট জরি'র,
চায়না পরতে।

(অপনোদন একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া,
কখনো কখনো ক্ষতচিহ্নটি থেকেই যায়।)



ঢালু

দিতে দিতে ধোঁকা
নিজেকে, নিজেই
বনে যাবে বোকা।

হলে পাখিপড়া
সেটাই সত্যি,
যেটা মনগড়া।

তারপর থেকে
সবই রূপকথা,
রেখে আর ঢেকে।

(একটি শিখতে আগ্রহী মন থাকলেই হবে।)


দূরত্ব

নন্দাদেবীর শিখরে একটি
চিলেকুঠুরিতে কাঁচের জানালা।
বহু নিচে ফিকে সবুজের ছোঁয়া
উপত্যকার, - পাহাড়ের গ্রাম।
পিঁপড়ে মানুষ সকাল বিকেল
খাবারের খোঁজে কোথায় কোথায়!
পাকদণ্ডীটি রেশমের সুতো,
রূপালি রাঙতা ঝোরাটি কী নাম?

দূরবীনে চোখ গোগ্রাসে দ্যাখে,
নোটবুকে টোকে পোকা মানুষের
ধরন ধারণ, যারা সাধারণ।
সংখ্যাও গোণে আন্দাজ মত
একটা শূন্য বাড়তি বসিয়ে,
দরকার হলে ছেঁটে দেবে পরে;
যেমন শূন্য, তেমন মানুষ
কলমের খোঁচা, - কালির যা দাম।

(যে ভাবে ওঁরা মানুষের স্বাতন্ত্র্যহীন অবয়বহীন সমষ্টি নিয়ে গভীর
ভাবনাচিন্তা করেন সংক্রমণবর্জিত গবেষণাপ্রকোষ্ঠে বসে।)



(পরবাস-৮১, ১২ জানুয়ারি, ২০২১)


অলংকরণঃ উইকিপেডিয়া থেকে