লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামীর জন্ম-১৯৫১। মূলত গল্পকার, কবিতা ও প্রবন্ধও লিখে থাকেন। লেখেন কম। প্রকাশিত উপন্যাস ‘তফসিল’ এবং সরস গল্প-সংকলন ‘দ্রৌপদী ও পঞ্চপতির উপাখ্যান’। ‘অন্য বর্তিকা’ নামের একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকার পূর্বতন প্রধান সম্পাদক। বর্তমানে ‘এবং জলঘড়ি’ চতুর্মাসিক পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক। ভালো লাগার বিষয় – প্রাণীজগৎ, বিজ্ঞান-বিষয়ক সাহিত্য, জীবনীসাহিত্য।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অঞ্জলি দাশের জন্ম বাংলাদেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি-তে মাস্টার্সের পরে কলকাতায় চলে আসেন ১৯৭৮ সালে। কিশোর বয়েস থেলে লেখালিখি করলেও এ-পারে আসার পরে সিরিয়াসলি কবিতা লেখা শুরু করেন, ছোটো বড়ো নানা পত্রিকায়, পাশাপাশি গত কয়েক বছর গল্প-উপন্যাসও। 'বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার' ও 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন। ৫-টি কবিতা বই; দে'জ থেকে 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'ও আছে তার মধ্যে।
অর্ঘ্য দত্ত মুম্বইতে থাকেন। 'বোম্বে ডাক' পত্রিকার সম্পাদক।
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৭৬ সালে হুগলি জেলার ছোটচৌঘরায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পেশায় তিনি একজন চাকুরিজীবি। লিটিল ম্যাগে লিখে লেখালিখির শুরু। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়, পুরুলিয়া থেকে প্রকাশিত টুকলু পত্রিকায়। তারপর থেকে অজস্র গল্প নানা পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে মিশতে, মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াতে তাঁর ভাল লাগে। সেই সব মানুষজন—যাদের আমরা দেখেও দেখি না, যাদের জীবনযাপন নেতান্তই অকিঞ্চিতকর বলে হেলাফেলা করি—তাদেরই গল্প বলেন অনিরুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত দুটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে–-মশাট ইস্টিশনের মার্টিন রেল (পরশপাথর) ও মা বিশালাক্ষ্মীর নৌকা (সোপান)।
অনুষ্টুপ শেঠ--কলকাতায় বড় হওয়া, কর্মসূত্রে বহুকাল মুম্বাই প্রবাসী। বই, বাংলা সাহিত্য হল ভালবাসা। মূলত কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। প্রকাশিত ছেলেদের ছড়ার বইঃ
'ভূতোর বই' (ঋতবাক্, ২০১৭)।
অরণি বসুর জন্ম ১৯৫১ সালে। সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -- খেলা চলে, শুভেচ্ছা সফর, লঘু মুহূর্ত এবং ভাঙা অক্ষরের রামধনু।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
কৌশিক ভট্টাচার্য আই এস আই কলকাতা-র ছাত্র। একসময়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আই আই এম লখনৌ-য়ে অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিতা লেখা এবং ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করা কৌশিকের শখ।
কৌশিক সেন--কর্কট রোগ বিশেষজ্ঞ; সহ অধ্যাপক, চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়, চ্যাপেল হিল। নাটকের দল--ক্যারোলিনা লিটল থিয়েটার ওয়ার্কশপ, উদ্দেশ্য--অভিবাসী অভিজ্ঞতার ওপর মৌলিক নাটক রচনা ও অভিনয়।
নিয়মিত লেখক--দেশ, আনন্দবাজার, সানন্দা, পরবাস, নতুন কৃত্তিবাস এবং বিভিন্ন অণুপত্রিকা ও পূজাবার্ষিকী।
প্রকাশিত বই: ১) চোর ও অন্যান্য নাটিকা (প্রতিভাস), ২) তালপাতার দ্বীপ (উপন্যাস, আনন্দ), ৩) মাঝবয়েস (কবিতা সংকলন, প্রতিভাস), ৪) কবরখানার চাবি (গল্প সংকলন, প্রতিভাস), ৫) মনের বাগান (উপন্যাস, আনন্দ), ৬) আয়নার ভেতরে (উপন্যাস, প্রতিভাস), ৭) ক্যানসার একটি রোগের নাম নয় (প্রবন্ধ সংকলন, প্রতিভাস), ৮) তৃণা ফিরে এসো (উপন্যাস, আনন্দ)।
গান্ধর্বিকা ভট্টাচার্য --
দক্ষিণ কোলকাতায় জন্ম, পড়াশোনা। পেশায় আইনজীবী। N.U.J.S. থেকে এলএল.বি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম করে বর্তমানে আবার কোলকাতায়। শখ আছে জাপানী শেখার, ভালো সিনেমা দেখার আর বই পড়ার।
গোগোল মুখোপাধ্যায় বর্তমানে কোলকাতায় স্কটিশ চার্চ কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
দত্তাত্রেয় দত্ত অবসৃত অধ্যাপক ও নির্দল নাট্যনির্দেশক । সাহিত্যজগতে প্রবেশ সতেরো বছর বয়সে কবি ও সম্পাদক হিসেবে । সনেট-গ্রন্থ 'নৈঃশব্দ্যের নীচে', অনুবাদ-কাব্যগ্রন্থ 'পরকীয়া' । Macbeth ও Twelfth Night নাটকের অনুবাদ গ্রন্থায়িত । এছাড়া ইংরেজি ও বাংলায় সাহিত্য ও নাট্যবিষয়ক নানা আলোচনাগ্রন্থ আছে।
ঝর্ণা বিশ্বাসঃ পেশা শিক্ষকতা। বর্তমানে মুম্বই প্রবাসী।
সিক্তা দাস--জন্ম, বর্তমান বাস এবং শিক্ষা কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্নাতকোত্তর এবং ব্যাচেলর অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্সে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। পূর্বে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। গান শুনতে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে, এবং লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। কিছু লেখা ছাপা পত্রিকা ও ওয়েবজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
সুপূর্ণা সিংহ বেঙ্গালুরুতে রমন রিসার্চ ইন্সটিট্যুটে অধ্যাপিকা। মেয়ে রোশনির জন্মের পর উনি ছোটোদের জন্য বই তৈরি আর চিত্রকলার মাধ্যমে সহজে অংক ও বিজ্ঞান শেখানোতে উৎসাহী হন। বেঙ্গালুরুর ডেকান হেরাল্ড ছাড়াও যন্তর-মন্তর, জ্ঞান ও বিজ্ঞান, রেসোনান্স ইত্যাদি পত্রিকাইয় সাধারণের জন্য বিজ্ঞান-ভিত্তিক লেখা বেরিয়েছে। চোদ্দো-পনেরো বছর বয়েসে উনি ওঁর মা
পূর্ণিমা সিংহ-এর সঙ্গে দু-একটি বইয়ের প্রচ্ছদ করেছিলেন। পরবাসে প্রকাশিত ওঁর লেখা ও আঁকা 'বাঘা নামে বাঘটি' এখন একলব্য পাবলিশার থেকে 'Little Bagha' রূপে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছে ও ভারতের নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
দেবাশিস গোস্বামী গণিতের অধ্যাপক ও গবেষক। অবসরে অল্পবিস্তর লেখালিখি ও ছবি আঁকার চেষ্টা করে থাকেন। কবিতা, অনুবাদ ও টুকিটাকি নিবন্ধ দু একটি লিটল ম্যাগাজিনে ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি। ২০২০ বইমেলায় দিবাকর ভট্টাচর্যের 'গল্প সংগ্রহ' প্রকাশিত হয়েছে।
দীপঙ্কর ঘোষ কোনদিন ছবি আঁকা শেখেননি গুরুর পাঠশালায় । ছবি লেখেন মনের আনন্দে। ছোটবেলা থেকে।
স্ট্যাটিসটিক্স, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার নিয়ে পড়াশুনা করে জীবিকা জগতের গুরু দায়িত্বে থেমে যায় সেই শখ!
অবসর জীবনে আবার ধরেছেন পেন্সিল তুলি। পোর্ট্রেট বানান চারকোল পেন্সিলে। কখনো বা ছবিতে ব্যবহার করেন নানা ধরনের রং, এমনকি কাপের তলানিতে পড়ে থাকা কফি।
ওনার নিজের কথায়:
ইচ্ছে পূরণ হয়না কোন লেখায়,
শব্দগুলো খেই হারিয়ে মনের মাঝে কাঁদে।
কলম ছোটে ব্যর্থ সরল রেখায়,
ছন্দকে তাই বন্দি করি তুলির টানের ফাঁদে।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ তাঁর।
দেবদত্ত জোয়ারদার কলকাতায় থাকেন। ভাষাবিষয়ে আগ্রহী।
দেবারতি মিত্রের জন্ম ১২ এপ্রিল, ১৯৪৬ কলকাতায়। বাবা অজিতকুমার মিত্র, মা গীতা মিত্র। দেবারতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্বামী কবি ও গদ্যকার মণীন্দ্র গুপ্ত। দেবারতির প্রথম কবিতার বই 'অন্ধস্কুলে ঘন্টা বাজে'। তাঁর অন্যান্য বইগুলি হল -- আমার পুতুল, যুবকের স্নান, ভূতেরা ও খুকি, তুন্নুর কম্পিউটার, খোঁপা ভরে আছে তারার ধুলোয়, জঙ্গলে কাটুল, মুজবত পাহাড়ে হাওয়া দিয়েছে। গদ্যের বই 'জীবনের অন্যান্য ও কবিতা' এবং 'ভ্রমণাধিক ভ্রমর'।
১৯৬৯ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০২ সালে তিনি জাতীয় কবি নির্বাচিত হন।
দেবায়ন চৌধুরী-- পেশা- অধ্যাপনা। কবিতার বই- যা কিছু আজ ব্যক্তিগত। সম্পাদিত গ্রন্থ- দুর্গামঙ্গল, কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১, কোচবিহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, কোচবিহারের রাণী নিরুপমা দেবীর নির্বাচিত রচনা। যৌথভাবে সম্পাদিত গ্রন্থ- কোচবিহার ইতিহাস ও সাহিত্য, সাধক কবি রামপ্রসাদ। অনুগল্পের ই-বুক-- এমনি বহে ধারা।
Joseph Samuel is a theoretical physicist working at the Raman Research Institute. In his own words: I have an interest in music and literature. My favourite poets are John Donne, Sylvia Plath and W.H. Auden. I do not normally write poetry. But in the early days of the pandemic, an Auden poem kept ringing in my ears and I woke up early to write the poem below. It was scrubbed and polished later.
পৃথা কুণ্ডুর জন্ম ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৮৯। অল্প বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা-লিখি করছেন। ২০০৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস "গন্ধর্ব" প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে তাঁর লেখা কয়েকটি বেতার-নাটক আকাশবাণী কলকাতা থেকে সম্প্রচারিত হয়েছে। নাটকগুলি হল "চিরকুট", "ফিরছি" এবং "শেষ কোথায়"। বর্তমানে তিনি ইংরাজির অধ্যাপিকা।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। পড়াশুনো কলকাতায়। এক
আধা-সরকারী সংস্থায় চাকুরিসূত্রে বহু বৎসর ছিলেন উত্তরভারতের
গোরক্ষপুর, পাটনা প্রভৃতি স্থানে, এখন কলিকাতায়। নানান বিষয়ে পড়তে
ভালোবাসেন, ও তা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা লিখে
থাকেন, ভূতের গল্প লিখতে ভালোবাসেন খুব, যদিও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের
গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র। আর ভক্ত 'পাক্কা গানা'-র। প্রকাশিত
গ্রন্থ : 'ডাইনি ও অন্যান্য গল্প', 'মায়াতোরঙ্গ' এবং 'কলোনিয়াল কলকাতার ফুটবলঃ স্বরূপের সন্ধান' (অনুবাদ; প্রবন্ধ)।
মিহির সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৭। লেখক জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৯৩ সাল থেকে
নাইয়া পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে : বিদুর, সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম, বিষাদবৃক্ষ, উজানিখালের সোঁতা, টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি, নিষ্পাদপ অরণ্যে, ধানসিদ্ধির পরণকথা, একুশবিঘার বসত, সংস্কৃতির দক্ষিণায়ন প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশের শ্রুতি অ্যাকাডেমি ও 'বিষাদবৃক্ষের' জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
পেশায় শিক্ষিকা ফাল্গুনী ঘোষ বীরভূমের বাসিন্দা। প্রবন্ধ জাতীয় লেখালিখির সুত্রপাত ছাত্রাবস্থা থেকেই। প্রথম প্রকাশিত বই একটি প্রবন্ধ সংকলন, ‘প্রবন্ধে চেতনা ও চিন্তাচর্চা’। পরবর্তীতে রম্যরচনা ও অন্যান্য গল্প লেখালিখি করছেন। বিভিন্ন ওয়েবজিন ও প্রিন্টেড ম্যগাজিনে লেখেন। ২০১৯ কলকাতা বইমেলায় সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী থেকে তাঁর প্রকাশিত রম্য গদ্য সংকলন ‘বকবকম’। লোকজ সংস্কৃতি, লোকজীবনের উপর আগ্রহ থেকেই একটু অন্যধরনের গল্প লেখার প্রচেষ্টা তাঁর। সম্প্রতি একটু অন্যধারার লেখালিখির প্রতি আগ্রহ রাখছেন।
দিলশাদ চৌধুরী। জন্ম ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৯ সালে। ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে। কাজ করছেন অনুবাদ, অণুগল্প এবং ছোটগল্প নিয়ে।
হীরক সেনগুপ্তের লেখাপড়া স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সমাজবিজ্ঞান। অবসর বিনোদন বইপড়া, গান, ডুডুলস । ভালোবাসেন ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ।
লুনা রাহনুমার বইপড়া আর কবিতা লেখার খুব নেশা ছিল কলেজে পড়ার সময় থেকেই। বাংলাদেশে একটি পাক্ষিক পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন বছর খানেক। তারপর ঢাকায় একটি দৈনিকে ছয় মাস কাজ করার পর স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস আরম্ভ করেন ২০০৬ সাল থেকে। দীর্ঘ বিরতি নিয়ে আবার লেখালেখি শুরু করেছেন। একপর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দুইটি। "ভালোবেসে এঁকে দিলাম অবহেলার মানচিত্র" (১৯৯৮), "ফু" (২০২০), দুটোই বিশাকা প্রকাশনী, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। লেখার শুরু কবিতা দিয়ে হলেও বর্তমানে বেশ কিছু অণুগল্প, গল্প, ও ধারাবাহিক গল্প প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি অনলাইন সাহিত্য ম্যাগাজিনে। কর্মজীবনে তিনি একজন পে-রোল একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করছেন ইউকেতে।
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১৯৬৩) দীর্ঘদিন যাবৎ তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে 'গগনেন্দ্রনাথ' (ইন্ডিয়ান প্যানোরামা), 'পথের পাঁচালী - এ লিভিং রেসোনান্স', 'নবনীতা দেব সেন', স্ট্রিংস অব মেলোডি - ওস্তাদ আলি আকবর খান' প্রভৃতি। কিশোর বয়স থেকেই লেখালিখিতে ঝোঁক ছিল। তিনি আনন্দবাজার, যুগান্তর, আজকাল সহ বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। তাঁর ছবি নিয়ে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল আর্ট গ্যালারী ও কলকাতার নন্দনে রেট্রোসপেকটিভ হয়েছে। গুয়াংঝাউ, এডিনবার্গ, সিনেমা পেনিশে (প্যারিস), ঢাকা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তুর্কমেনিস্তানের আসগামাৎ চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবিকে 'Merit Plague' দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।
কুমকুম করিম পেশাগত ভাবে একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার (MCA)।
জন্ম ১৯৮৩ ছোটো মফসসল শহর বারুইপুরে।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। প্রকাশিত বই 'তৃণা ফিরে এসো', 'মনের বাগান', 'আয়নার ভিতরে' প্রভৃতি।
মায়া সেনগুপ্ত: জন্ম ১৯৪০। বহুরকমের সামাজিক কাজে জড়িত থাকা সত্বেও লিখতে ভালোবাসেন বলে, তার মধ্যে থেকেই লেখার সময় বার করে নেন। গল্প ও কবিতা লেখেন, মাঝে মাঝে প্রবন্ধও লেখেন। সবচেয়ে ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে। নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী মলয় সরকার থাকেন সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগণাতে। খড়গপুর আই আই টি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর। 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান', ই-ম্যাগাজিন 'অন্য নিষাদ' ও অন্যান্য পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
হৃদি কুন্ডু কলকাতায় থাকে। হ্যারি পটার আর গণ্ডালুর ভক্ত। ভবিষ্যতে লাইব্রেরিয়ান হবে বলে ঠিক ছিল (তাতে নাকি গল্পের বই পড়ার খুব সুবিধে হবে), এখন একটু দোটানায় আছে কারণ মনে হচ্ছে গাড়ি করে আইসক্রিম বিক্রি করাটাও মন্দ নয়।
হৃদির আর এক শখ ডিজাইন করা। এদিক-ওদিক থেকে হৃদি শোনে যে বাঙালিদের নাকি 'ডিজাইন'-বোধটা একটু কম। তার একটা বিহিত করার জন্যেই
খাতার পাতায় হৃদি কিছু ডিজাইন করেছে। আপাতত শুধু পোশাকের। আপনারাও দেখতে
পারেন চাইলে।
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী-র জন্ম উত্তর কলকাতায়। বড় হয়ে ওঠা উত্তর শহরতলীর এক সরকারি আবাসনে। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরণের বই পড়তে ভালোবাসেন এবং সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়িও তখন থেকেই।বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর। গল্প প্রথম ছাপা হয় উত্তরপাড়া থেকে প্রকাশিত "নিজস্ব" মাসিক পত্রিকায়। এরপর গল্প প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকা, আনন্দমেলা, তথ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। ভালোবাসেন গাছপালা ও বন জঙ্গল।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
'নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!' ও কিছু নির্বাচিত কবিতার ইংরিজি ও ফিনিশ ভাষায় অনুবাদ: Enchantress.
নূপুর রায়চৌধুরী কলকাতার বোস ইন্সটিট্যুটে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করে বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে UCLA-তে প্রথমে এবং এখন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বায়োমেডিকাল সায়েন্স-এ গবেষণা করছেন। গান ও সাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা, তাঁর প্রিয়।
পার্থ চক্রবর্তী জন্ম ১৯৭০-এ, কলকাতায়। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ব্যারাকপুর ও ব্যান্ডেলে। ব্যান্ডেলের ডন বসকো থেকে পাশ করে কলকাতার আইএসআই-তে ৭ বছর পড়াশোনা। তারপর চেন্নাই, টোকিও, ক্যালিফোর্ণিয়া ও কলকাতায় ইতস্তত চাকরি-বাকরি। ১৯৯৮ সাল থেকে ক্যালিফোর্ণিয়ায় সাকিন। প্রিয় কবি শরৎ মুখোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন ও তারাপদ রায়। শখ গানবাজনা সিনেমা থিয়েটার থেকে আরম্ভ করে রান্না খাওয়া ঘুরে বেড়ানো পর্যন্ত।
পার্থ চৌধুরীর জন্ম বারাণসীতে, পেশায় মনোরোগ-চিকিৎসক, নিবাস ইংল্যাণ্ডে। কবিতা-ছড়া প্রকাশিত হয়েছে 'রামধনু', 'সন্দেশ', 'স্বপন তরী', 'সবজান্তা-মজারু' ইত্যাদি ছাপা পত্রিকায়, ইদানীং 'পরবাস', 'জয়ঢাক' ও 'অন্যপত্র' ই-জাইনে।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম পুরুলিয়ার মৌতোড় গ্রামে। ১১ ফাল্গুন ১৩৯৩ বঙ্গাব্দ। কবিতা ও গল্প
দুই-ই লেখেন। ছোটোদের ভুবনেও ভালোবাসেন থাকতে। প্রথম শিশু-কিশোর গল্পটি
দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত 'পাতাহরপ' পত্রিকায় প্রকাশিত।
প্রদোষ ভট্টাচার্য প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ কলেজ, তারপর প্রেসিডেন্সী কলেজ, এবং বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক। হেমেন্দ্র-ভক্তির উদ্ভব ১০ বছর বয়সে, যদিও তাঁর লেখা এর আগেও পড়া ছিল, তবে তখন অতিপ্রিয় ছিলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রতাপ বোস। নিউ ব্যারাকপুরবাসী। 'অ্যান ইঞ্জিনিয়ার বাই মিসটেক ফ্রম জেইউ।' হেমন্ত বেলায় লেখালেখি শুরু।
প্রসেনজিৎ গুপ্ত পেশায় চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। জন্ম, শিক্ষা, কর্ম জীবনের শুরু কলকাতায়। অর্থনীতির স্নাতক প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে। কর্মসূত্রে মুম্বাইতে গত ২৫ বছর। পেশাগত কারণে ব্যাঙ্কিং আর ফাইনান্স নিয়ে কর্মজীবন কেটেছে, কিন্তু তার মধ্যে সময় পেলেই দেশ বিদেশে ঘোরাঘুরি, বই পড়া আর গানবাজনা শোনার কোন বিরাম হয়নি। সম্প্রতি অবসর নিয়ে আপাতত করোনার প্রকোপে গৃহবন্দী আর সেই ফাঁকে লেখালেখির শুরু।
বিশ্বদীপ সেনশর্মা প্রযুক্তিবিদ, কলকাতায় জন্ম ও পড়াশুনো, বর্তমানে মুম্বই নিবাসী। শখ ভ্রমণ ও অল্পবিস্তর লেখালিখি। এর আগে আনন্দবাজার রবিবাসরীয়, সানন্দা, উনিশকুড়ি ও পরবাসে লেখা বেরিয়েছে।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি — কবিতার দেশ-বিদেশ, কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই — ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড (গল্প), নেমসেক এবং অন্যান্য গল্প ।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল); "ছত্তিশগড়ের চালচিত্র (সুন্দরবন প্রকাশন); নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রপ্তানিকারক সংস্থায় কর্মরত এবং তাঁর শখ কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ রচনা করা। তাঁর লেখা দেশে বিদেশে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
রূপা মন্ডলের নিজের কথায়ঃ খুব ছোটবেলা থেকেই লিখতে, ছবি আঁকতে আর গল্পের বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসি। গাছপালা, পশুপাখি আর প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভীষণ পছন্দ করি। স্কুল ম্যাগাজিনে ভ্রমণ কাহিনী লেখার মাধ্যমে প্রথম আত্মপ্রকাশ। মহাবিদ্যালয় স্তরে ও রাজ্য স্তরে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ ও পুরস্কার লাভ। আনন্দবাজার প্রত্রিকা ও তার ই-কলকাতা বিভাগে অনেকবার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অনেকগুলি অনলাইন ও মুদ্রিত ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ। গতবছরে একটি ছোট গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে, নাম - "পরিচয়" ('উড়ান' পাবলিশার)| বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে সময় পেলেই গল্প লেখা ও জলরঙে ছবি আঁকা চিত্তবিনোদনের একমাত্র উপকরণ।
রূপসা দাশগুপ্তের আমেরিকায় প্রায় দশ বছর বসবাস, বহরমপুরে জন্ম। গত ৭ বছর থেকে অল্পবিস্তর মনোযোগ দিয়ে লেখালেখি, কিছু ওয়েব পত্রিকা ও কলকাতার কিছু পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হয়েছে। সাহিত্যে বরাবর আগ্রহ ছিল, বিঞ্জানের স্নাতক হয়েও সেই ভালোবাসা থেকে যাদবপুরে তুলনামূলক সাহিত্যপাঠ। আবৃত্তি ও আঁকার শখ আছে।
শম্পা রায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে পি. এইচ. ডি. ও
পেশায় শিক্ষিকা।
সাত্যকি সেনশর্মার জন্ম, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবই কলকাতায়। তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রে কর্মজীবনের পাশাপাশি বরাবরই বাংলা সাহিত্য এবং অন্যান্য নানারকম সৃষ্টিমূলক কাজের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা। ২০১০ সালে কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে ওনার পঁচিশটি ছবি নিয়ে একটি একক চিত্রকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরবর্তীকালে উনি মূলত লেখালেখিতেই মনোসংযোগ করেন। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে আনন্দ পাব্লিশার্সের উনিশ কুড়ি পত্রিকায়। পরবর্তীকালে উনিশ কুড়ি পত্রিকায় ওনার একাধিক ছোটগল্প এবং অণুগল্প প্রকাশিত হয়েছে।
শ্রীতমা মাইতি
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সাগরিকা দাস। আজন্মকাল এই শহরের বাসিন্দা। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা। স্কুলে পড়ার সময় থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে লেখালেখি শুরু (কাউকে দেখানোর সাহস হয়নি)। গত দুবছর আগে হঠাৎই একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রথম প্রকাশিত লেখা। তারপর থেকে 'দেশ', 'আনন্দবাজার পত্রিকা' সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও লিটলম্যাগে টুকটাক লেখালেখি চলছে।
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের কথা সন্ধ্যা ভট্টাচার্য আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর ছেলে
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কথায়ঃ "মা একেবারে পরিণত বয়সে, যখন আমি শিলং-এ পোস্টিং পেলাম ১৯৯৪ সালে, সেই তখন আমার কাছে থাকতে এসে যখন সংসারের সব কাজ থেকে নিস্তার পেলেন তখন এ ডায়েরিগুলো লিখতে শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ কয়েক দশকের ইতিকথা লিখেছেন ব্যক্তি-সমাজ ও চেতনার বিবর্তনের ছবি দিয়ে চারটি ডায়েরিতে।"
সংগ্রামী লাহিড়ী, বিদ্যায় প্রযুক্তিবিদ, পেশায় কনসালট্যান্ট, নেশায় লেখিকা।
নিউ জার্সির বাসিন্দা।
শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে বহুকালের সিরিয়াস চর্চা আছে। অল ইন্ডিয়া রেডিওর A গ্রেড শিল্পী।
লেখালেখির অভ্যাস সেই ছোট্টবেলা থেকে, বাবা-মার উৎসাহে। ‘কিশোর ভারতী’ পত্রিকায় লেখা বেরোতো।
'বাতিঘর’, TechTouchTalk, ‘গুরুচণ্ডা৯’, 'হৃদস্পন্দন', 'ব্ল্যাকহোল' ও আরো কয়েকটি ই-ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখিকা। ‘সংবাদ বিচিত্রা’, 'সৌতি', শিল্পনীড় সাহিত্য পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হয়েছে। পদক্ষেপ পরিবারের গল্প প্রতিযোগিতায় পুরস্কার এসেছে। নিউ জার্সি থেকে প্রকাশিত অভিব্যক্তি পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
রম্যরচনা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, ছোটগল্প লিখতে ভালো লাগে।
রুচিরার ছোটোবেলা কেটেছে হাওড়া জেলার এক গ্রামে। পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। চাকরির খাতিরে দেশ-বিদেশ ঘুরে এখন ব্যাঙ্গালোরবাসী।
সুগত মুখোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তিবিদ্যায় প্রশিক্ষিত হয়ে অনতিঅধিক তিনদশক প্রাসঙ্গিক পেশায় যুক্ত। নানা বিষয়ের পল্লবগ্রাহী পাঠক তবে তার মধ্যে সমকালীন ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সমাজের ফুটন্ত কটাহের বিষয়ে সমধিক আগ্রহী। কবিতার একজন অশিক্ষিত গুণগ্রাহী। গড়পড়তা স্বাক্ষর মানুষের মতো কবিতা লিখবার ঝোঁকের কদাচিৎ শিকার, যদিও সৃষ্টিগুলি কবিতা হয়ে ওঠে কিনা এ ব্যাপারে তাঁরও অনেকের যুক্তিগ্রাহ্য সংশয় আছে। ছন্দ মেলানো লেখার প্রবণতা সবিশেষ।
সুতপা সাহা--দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি শহরে বসবাস।
পেশাগতভাবে সূর্য সেন কলেজে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেন।
মূলত প্রাবন্ধিক, বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়ে আসছে প্রবন্ধগুলি।
আনন্দবাজার, আজকাল, উত্তরবঙ্গ সংবাদ ইত্যাদি খবরের কাগজে লেখালেখি করেন নিয়মিত।
অনুবাদ করেন নিয়মিত। হাংরি কবিদের কবিতা, লাতিন আমেরিকার সাহিত্য, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেয়েদের লেখা প্রতিবাদী কবিতার অনুবাদ করেছেন। অনুবাদ সংক্রান্ত কর্মশালা, সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
সাহিত্য আকাদেমির পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কবিতার অনুবাদ। যাপনচিত্র, দে'জ প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে কবিতা ও গল্প অনুবাদের বই। সাম্প্রতিক কালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে করেছেন 'বিদ্রোহী' কবিতার ইংরেজি অনুবাদ।
সাহিত্য আকাদেমির সেমিনারে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।
পরিবেশ-প্রকৃতি পাঠ, এবং মানবীবিদ্যাচর্চা তার ভালোবাসা।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
শাম্ভবী ঘোষ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'স্কুল অফ ইকোলজি এন্ড এনভায়রনমেণ্টাল স্টাডিস' বিভাগে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চা এবং ডিজিটাল ও প্রিণ্ট উভয় মাধ্যমেই নিয়মিত লেখালেখি করেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ অনুবাদের কাজ করছেন। এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস। প্রকাশিত কবিতার বই 'A Stranger's Conversation' (Authorspress, 2014).
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ, গদ্য লিখে থাকেন। কোমলগান্ধার পত্রিকার সম্পাদক। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে
নবনীতা দেব সেন রচনাবলী (১ম খণ্ড, মিহির সেনগুপ্তের 'কালচক্রযান', রংগন চক্রবর্তীর নাটক 'রাজার খোঁজে', মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভ্রমণসমগ্র, 'আশ্চর্যময়ী : ভিন্ন ঘরানার বাঙালি নারীর কথা'।
শ্রাবণী দাশগুপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-এ এম,এ। জন্ম, স্কুল-কলেজ-পড়াশোনা সব কোলকাতায়। এখন রাঁচিতে একটি স্কুলে পড়ান। গল্প লিখতে ভালোবাসেন। আনন্দবাজার (২০০৬) ও দেশ (২০১১)-এ তার দুটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এ ছাড়াও কয়েকটি ই-ম্যাগাজিনে কয়েকবার বের হয়েছে লেখা।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, শিবপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। তেত্রিশ বছর মুম্বাইতে বসবাস। বাণিজ্যিক অবাণিজ্যিক পত্র পত্রিকা নির্বিচারে লেখালিখি। প্রকাশিত
গল্প সংকলন: রূপকথা ট্রাভেলস।
সুজিত বসু তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করে পি এইচ ডি প্রাপ্ত হন মস্কো থেকে। দেশে ফিরে তিনি কর্মরত
হন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার শাখা অফিস আমেদাবাদের অন্তরীক্ষ উপযোগ কেন্দ্রে। সেখানে তিনি তিন দশক কর্মরত ছিলেন। অবসরের পরেও দু বছর তিনি সাম্মানিক অধ্যাপক ছিলেন প্রথমে ওই কেন্দ্রে ও পরে ইন্দাস বিশ্ব বিদ্যালয়ে। তাঁর কাজ ছিল কৃত্রিম উপগ্রহ প্রাপ্ত তথ্যের সাহায্যে ব্যবহারিক গবেষণা যার মূল বিষয় ছিল আবহবিদ্যা ও সমুদ্রবিজ্ঞান।
তবে বিজ্ঞান যদি তাঁর পেশা হয়ে থাকে তাহলে কবিতা তাঁর নেশা। তাঁর দুটি কবিতার বই আছে।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
শুভময় রায় (জন্ম: ১৯৬৪) আজন্ম কলকাতাবাসী। মৌলানা আজাদ কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জনপালন কৃত্যক (নির্বাহী)-তে আট বছর চাকরির পরে ২০০২ থেকে অনুবাদই পেশা। বাংলা ইংরেজি, ফরাসি, উর্দু এবং হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যের উৎসাহী ছাত্র ও আগ্রহী পাঠক।
সুদীপ সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে পোস্ট-গ্রাজুয়েট। তারপর ডব্লিউ বি সি এস (এক্সিকিউটিভ); বর্তমানে পূর্ব-মেদিনীপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে কাজ করছেন। লেখালেখি শুরু করেছেন ২০১৬ সাল থেকে। স্টেটসম্যান, দৈনিক আজকাল, ও রবিবাসরীয় আনন্দবাজারে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
স্বপন ভট্টাচার্য:
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। কবি ও নিবন্ধকার। প্রকাশিত কবিতা সংকলন দু'টিঃ ওষধিবাগান (২০১৭) এবং গ্যালিয়ানোর আয়না ও অন্যান্য কবিতা( ২০১৯)। বাংলাভাষায় বিজ্ঞানগদ্য রচনায় ব্রতী আছেন।
তাহমিদ হোসেন ঃ জন্ম ১৯৯৯, বরিশাল, বাংলাদেশে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট)-এ পড়ালেখা করছেন। সাহিত্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গণিতভিত্তিক সমাজবিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী। ছোটগল্প পড়তে ও লিখতে বিশেষভাবে পছন্দ করেন। নিরীক্ষাধর্মী ও রিয়ালিস্ট ধারার মাঝামাঝিতে লেখার আগ্রহ আপাতত।
উত্তম বিশ্বাস--জন্ম ১৯৮০, বনগাঁর সীমান্তগ্রাম সুটিয়াতে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে এম-এ। পেশায় সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক। ভালোবাসেন লেখালিখি ও গান। প্রকাশিত গ্রন্থ… ‘নদীতৃষ্ণা ও অলৌকিক মাছেরা’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৮)
‘বন্ধ্যানদীর বালিহাঁস’ (উপন্যাস, ২০১৯),
জলটুঙি (কাব্যগ্রন্থ, ২০১৯),
‘মাটির সিন্দুক’ (গল্পগ্রন্থ, ২০২০)।
এছাড়া বিভিন্ন ছোটবড় কাগজের নিয়মিত গল্পলেখক।
প্রাপ্তি--রামমোহন রণজিৎ পাল সাহিত্য পুরস্কার (২০১৮), ও
মুম্বাইয়ের লালমাটি উৎসব ও গান মেলা পুরস্কার (২০২০)।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
মাতৃভূমি বাম্পার (সপ্তর্ষি, ২০১৫),
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। ২০১৪ সালে বেরিয়েছে
সলিটেয়ার নামে গল্প সংকলন।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।