ISSN 1563-8685




চাঁদের হ্রদে দু জনে

রাহুল মজুমদার


নেতাজী এক্সপ্রেসের স্পেশ্যাল ট্রেনে

২ সেপ্টেম্বর ২০২১, রাত ১০টা

দু বছর পর দু জনের দূরপাল্লার পাড়ি। নেতাজী এক্সপ্রেস-এর সওয়ার আপাতত চণ্ডীগড় অবধি।

৩ সেপ্টেম্বর, সকাল ৮.০৫

মুঘলসরায়, থুড়ি দীনদয়াল উপাধ্যায়-এর আবির্ভাব।

সকাল ৯.০৫

চুনার। চুন আর?

সকাল ৯.৩৫

মির্জাপুর।

সকাল ১০.৫৫

করছনা। কে বলল, করছি না!

১১.৩৫

এলাহা... ইয়ে, প্রয়াগরাজ।

১২টা বাজতে ৩

ব্রহ্মরৌলি। ব্রহ্মতালুর আশেপাশের কোনো জায়গা?

দুপুর ২.১২

কানপুর।

বেলা ৪.২২

ইটাওয়া। আর উটা?

বেলা ৫.৩৫

টুণ্ডলা। লা তো বুঝলাম, কিন্তু আনবেটা কে? এনে হবেটাই বা কী?

সন্ধ্যা ৬.২৫

সাসনী। শ্বাস তো নিইই। না নিলে তো---

সন্ধ্যা ৬.৪০

আলিগড়। কাকে গড় ক্করছে?

রাত ৮.৩২

গাজিয়াবাদ। ভাগ্যিস গুজিয়া বাদ নয়।

৪ সেপ্টেম্বর, শেষরাত ১.২৫

কুরুক্ষেত্র। এখানেই কুরু পাণ্ডব একে অপরকে-----

শেষরাত ৩.২০

চণ্ডীগড়। ট্রেনের চণ্ডীপাঠের এখানেই ইতি।এরপর আমরা গাড়িবাহন।

শেষরাত ৩.৪৫

চল চল চল মেরে গাড়ি। দিবসের সারথ্যে দিবসের খোঁজে।

ভোর ৪.২৫

জোড়া টিকার সার্টিফিকেট দেখিয়ে হিমাচল প্রদেশের প্রবেশ।

ভোর ৫.২৫

নালা(গড়) টপকে চা পান।

সকাল ৬.০৫

গুজ্জরহট্টী। এক পলকে হটে গেলাম।

সকাল ৬.১৫

সুহারঘাট। সুহাবাবুর অনুমতি না নিয়েই আমরা উড়ন ছু ডানদিকের চড়াই রাস্তা ধরে।

সকাল ৭টা

কল্লড়। কলকে লড়তে বলছে?

সকাল ৭.৩০

বিলাসপুর। বিলাসের ছিটেফোঁটাও তো চোখে পড়ল না।

সকাল ৭.৫৮

বাঁমটা। চড়লাম কিন্তু ডানদিকের চড়াইয়ে।

সকাল ৯.১৫

বৈরী। কার বৈরী কে জানে!

সকাল ৯.১৮

বরমাণা। বর মানা! কেন?

সকাল ৯.৫৫

সুন্দরনগর। সৌন্দর্য ভালো করে বোঝার আগেই পেরিয়ে গেলাম।

সকাল ১০.১০

ধনোটু। ধনো ওয়ান কোথায় গেল!

সকাল ১১টা


মন্ডী


মণ্ডী। আজ এতদূরই গণ্ডি। দিনভর বিশ্রাম।

৫ সেপ্টেম্বর, সকাল ৯.১৫

মণ্ডীর গণ্ডি পেরোনো।

সকাল ৯.২০

মণ্ডীর ভীমাকালী মন্দির। সুন্দর। সকাল ৯.৪৫। রুহাঁজ। বিকল্প পথ ধরে মানালি অভিযান।

সকাল ৯.৫০

বিঙ্গাল। বাঙ্গাল হয়েও থামলাম না।

সকাল ১০.৩০

টিহরী।ও হরি! এখানেও টিহরী!

সকাল ১০.৪৫

কান্ঢী। কী কান্ঢ!

সকাল ১০ .৫১

কন্নৌজ। এও দেখি হাজির!

সকাল ১১.০২

রাহলা পড়িয়া রহিলা।

সকাল ১১.২৯

ভুন্টার।

সকাল ১১ ৪৫


কুল্লু


কুল্লু। না থেমে চল্লুম।

দুপুর ১২.২২

চা বিরতি।

দুপুর ১২.৪০

রাইসন। বাইসনের ভাইপো!

বেলা ১টা

মানালি।আজ আর এগোনো মানা।

বিকেল ৪.৩৫

হিড়িম্বা দর্শনে---

বিকেল ৫.০৫

হিড়িম্বা দেবীর দোরগোড়ায়।

বিকেল ৫.৫৫

হিড়িম্বাপুত্র ঘটোৎকচের আঙিনায়।

সন্ধ্যা ৭টা

ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন।

৬ সেপ্টেম্বর, ঠিক দুপ্পুরবেলা

মানালি ত্যাগ।

দুপুর ১২.২৮

সোলাং। সো লং।

দুপুর ১২.৩৫

অটল টানেলের টানে।

দুপুর ১২.৩৭

অটল গর্ভে।

বেলা ১টা

আবার দিবালোকে।

বেলা ১.১১


সিস্‌সু, হোটেল ত্রিবেণীর জানলা থেকে


সিসসু। ১০০০০ ফুটে মায়াময় বসতি। নিচে চন্দ্রা নদীর জোড়া বাঁক।

৭ সেপ্টেম্বর, সকাল ৮.২৫

সিসসুর মায়া কাটিয়ে ----

সকাল ৮.৩৫

হেলিপ্যাড, চন্দ্রার চলন দেখে এবার তার সঙ্গী হয়ে চলা।

সকাল ৯.০৫

খোকসার।

সকাল ৯.১৯

গ্রামফু থেকে ফুঁ দিয়ে আমাদের ছতড়ুর পথে পাঠিয়ে দিল।

সকাল ১০.৩০

কাঁচা পথে ১০৫০০ ফুটে হঠাৎ পাওয়া চায়ের দোকান আটকে দিল।

সকাল ১১.১৪

চন্দ্রাকে টপকে ছতড়ুর তাঁবু হোটেলের সামনে।

সকাল ১১.৪০

ছতড়ু ছেড়ে ছুট নাচতে নাচতে

বেলা ১.০২

ছোটাদড়া। নিষ্প্রাণ প্রকৃতির মাঝে প্রাণবন্ত দুই--- চন্দ্রা আর আমাদের গাড়ি।

বেলা ২টো

চন্দ্রা আর করচা নালার সঙ্গম পেরিয়ে বাতল (১৩০০০ ফুট)।

বেলা ২.৪০

ডিম-ম্যাগিতে লাঞ্চ সেরে চন্দ্রতাল বেসক্যাম্পের পথে

বেলা ৩.৪০


চন্দ্রতাল বেসক্যাম্প


চন্দ্রার সঙ্গী হয়ে চন্দ্রতাল বেসক্যাম্পের আস্তানার আঙিনায়। ১৩৫০০ ফুটে ঊষর স্বর্গাঙ্গন। চমৎকার তাঁবু হোটেল।

রাত ৮টা

জোড়া লেপের বাইরে আটকে রইল শীত। আর তাঁবুর বাইরে তো তিন ডিগ্রি নিয়ে রাজত্ব কায়েম করেছে।

৮ সেপ্টেম্বর, সকাল ৭.৩৩

চন্দ্রতাল অভিযান।

সকাল ৮.৪২

পয়েন্টে ই-পারমিটের ঝামেলা চুকিয়ে গাড়ির দৌড় থামল ১৪১০০ ফুটে। এখান থেকে চাকা নয়, পা-দুখানাই সম্বল। গিন্নীকে ভরসা দিতে ক্যাম্প থেকে সঙ্গে এসেছে বীর সিং। দু দিকের পাহাড়েরা নিজেদের বরফচূড়া ঢাকতে মেঘের টুপি পরেছে।

সকাল ৮.৫৭

উঠে এসেছি ১৪৩০০ ফুটে। ওই তো চন্দ্রতাল!

সকাল ৯.৩০

শ দুই ফুট উঠে শ খানেক ফুট নেমে নিস্তব্ধ নির্জনে শুয়ে থাকা পান্না সবুজ চন্দ্রতালের তীরে। রঙীন ধর্মীয় নিশনে সাজানো ১৪২০০ ফুটে চন্দ্রতাল যেন এক টুকরো স্বর্গ।

সকাল ১০টা

আধঘন্টা স্বর্গবাস করে ফিরতি পথে।

এরপর অন্যপথে। সে গপ্পো পরের বার।


চন্দ্রতাল


(ক্রমশ)



(পরবাস-৮৪, ১০ অক্টোবর, ২০২১)