নামের অসুখ
কার প্রেমে এতোটা মজেছি... অপরিষ্কার।
দীঘল রাতের ডানা মেলে ব্যালরগ মেরে যায় লকলকে আগুন চাবুক।
শয্যাকন্টকী আর করোটিতে অতিব্যাপ্ত
ডাকিনীর মুখ। শরীর বাজায় নিত্য সিম্ফনি
অর্কেস্ট্রা। ডাকে তাকে। সর্বনামে সেরে যায় ভুলে যাওয়া নামের অসুখ।
ধ্রুবতারা
যুগান্তের পার ছুঁয়ে, ফিরেছি তোমার কাছে ধূসর হে শহর আমার ! পটে আঁকা বিবি যেন, অতীত শহর!
সরু সরু গলিপথ। সময় এঁকেছে পদক্ষেপ,
অপটু কৌশলে। সেই সব পাথরের পথে শুয়ে আছে নিশ্চল, উন্মাদ আমার ছায়া আজো।
দৃষ্টিহীন চোখ জুড়ে অন্বেষণ,
ধ্রুবতারা! শুধুই তোমার।
ছেড়ে গেছে দীর্ঘদিন যুক্তি তর্ক সংসার সমাজ। মাথায় রেখেছে হাত কতবার সময়ের নিজস্ব ঈশ্বর। আমার সত্তায় নিত্য তথাপি খোদিত, তীব্র ষড়জ এক নক্ষত্রের খোঁজ।
উজ্জ্বল সে জ্যোতিষ্কের আলো, পথ দেখাবে বলে কত যাম আছে প্রতীক্ষায়। আলোকবর্ষের সাক্ষ্যে কথা দেওয়া আছে।
চোখ ছেয়ে সে তারার অন্বেষ আমার।
সেই নাক্ষত্রিক আলো বাঁচাবে আমায়। অথবা মারবে একেবারে।
*(পোলিশ কবি Adam Zagajewskiর Gwiazda কবিতাটির সূক্ষ্ম প্রভাব আছে এই কবিতায়)
(পরবাস-৮৪, ১০ অক্টোবর, ২০২১)