ISSN 1563-8685
তিনটি কবিতা
উষ্ণতা
রাতভর বৃষ্টির পর
জানালার ধাপিতে এসে পড়েছে সরু একফালি রোদ,
সদ্য জন্মানো বেড়াল ছানাটির মতন
ক্ষীণকায়া
থরো থরো
কোথাও যেন নয় নিরাপদ!
এখনও কিছু মেঘ আসতে চাইছে হামলে!
ভীরু রোদটিকে করপুটে রেখেছি ভীষণ আদরে, আগলে...
দেয়ালা
চাপা গলায় প্রচণ্ড ধমকে উঠবে;
প্রথমে থমকে যাব,
তোমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে থাকব,
দু'চোখ টসটসিয়ে উঠলে
সঙ্গে সঙ্গে বুকে টেনে নেবে-
আমার চোখে জল নাকি মানায় না!
এ'রকম একটা সন্ধের জন্য অপেক্ষা করতে পারি
অনেক অনেক দিন-মাস-বছর!
এমন অপেক্ষা আসলে তুমুল বৃষ্টি-সন্ধ্যা
আর একটা ভাঙাচোরা বাড়ির বারান্দার
যেখানে দাঁড়ানোই সার
ভিজে যাওয়া আটকানো যায় না...
আড়াই পা
স্বামী-সন্তানের বুকে বুজকুড়ি দিয়ে ওঠে গল্পের ঝুলি,
নতুন পালকে সেজে ওঠা ঢাক আর
কাঁসির তাইনানার সুরেলা সঙ্গতে
চপলার আসনে তখন চাল গুঁড়ির আল্পনা,
রাতেরাও তাই আর দীর্ঘতর না;
ঢাকিবৌ সাঁজাল দিয়ে মুগ্ধ চোখে শুনছে উৎসবের ভাঙাগড়া!
নতুন প্রেমিক যুগলের বুকে এক নাগাড়ে বেজে চলেছে নূপুর:
ঝুমঝুম ঝুমঝুম ঝুমঝুম,
চমকে উঠে
কান পাতে
ভয় গোনে হারিয়ে ফেলার;
বারেবারে পোশাকে-আশাকে জড়িয়ে
আরও একটু আপন করে সেই নিক্কণ নির্জন পথের ছাতিম গন্ধ মেখে!
সূর্য একটু একটু করে ঢলে পড়লে মকররেখার দিকে
দিনেরাও তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরে হাতের কাজ সেরে
এরপর রাতেরা দীর্ঘ হলে মন ও মস্তিষ্ক দাবা খেলে
প্রতিমা শূন্য মণ্ডপের নিরীহ প্রদীপের আলোয়...