মন-কুয়াশা সময়
কার্তিকের এক কুহেলি-সকাল
কুয়াশা টুপটাপ ভাসে
এ-সকাল যেন অতীত জীবন
(এক বছর বয়েসী)
আবার যাপন
করে উঠলাম। কারণ—
গত সালে এমন ভোরেই
উঠেছিলাম আড়মোড়া ভেঙে,
আবছা এক মুহূর্তের সাঁকোয়
সময় থমকে দাঁড়ায়।
বুকে খামচা মেরে ধরেছিল কামরূপের ম্যাপ না নেয়ার ভয়
আর, সংক্ষেপে
সেই নীরব সাঁঝের প্রান্তরে একাকী থমকে থাকা
চারদিকে প্রান্তর শুধু প্রান্তর
বুকে খামচা
দূরের গ্রাম থেকে গুনগুন করে ধোঁয়া উড়েছিল।
একজোড়া তামার কুশি
যেদিনই খুব ভোরে জেগে উঠি
সেদিনই মনটায় কিসে যেন কুরে
ধীরে ধীরে, কেমন যেন দুঃখ জাগে—
আজই হয়ত আবার ঘটে সে ঘটনা
যা ঘটবার সম্ভাবনা ছিল না কোনোদিনই,
আজই হয়ত আবার দেখবো
আমার পূর্বজন্মের প্রথমা প্রিয়ার
হঠাৎ চশমা খোলা;
স্ফুলিঙ্গ চোখ চমকে নিষ্প্রাণ—
শালিক-রঙের চোখ।
(ভয় নেই, ও কখনও কাঁদতে পারে না)
কিন্তু এখন
মাঝে-মাঝে কেবল সন্দেহ হয়
হয়ত ও কাঁদতে পেরেছিল?
আর সেদিন
হীরার মতো সংযমে
শুধুই উদ্ধত ছিল।
(পরবাস-৫৩, ফেব্রুয়ারি, ২০১৩)