ডায়েরি
একদিন পৃথিবীর বিষাদগুলি আকাশে জমাট বেঁধেছিল
নাবিকেরা গোসা করে হাঁটুতে মুখ গুঁজেছিল
কিন্তু নাওগুলি জলেতেই বসত বেঁধেছিল
আর হিরোসিমার নিরেট ছাই
সেগুলিকে ঢেকে ফেলেছিল।
কিছুদিন থেকে আকাশ সাফ
কাল রাত খড়ের ঘরের উপর চাঁদ উঠেছিল
দেখেছিলাম কুয়াশার ধোঁয়া, শুধু ধোঁয়া
পথে পথে বুনো ফুল
দূর গাঁয়ে স্বপ্নরতা কোনো এক অনুরাধার মুখ।
লিলির বিকেল
ক্ষনিক পরিচয়ের
আখরগুলি
আঙুলের ডগায় গুনেছি।
একটু আদুরে কথা
কিংবা
হাতে তুলে দেওয়া এক কাপ কফি
সিসমোগ্রাফের ডায়েলের বাইরে।
কর্মফল? ভাগ্য? এমন হিসেবের
পৃষ্ঠায়
আঁধার হাত বুলিয়েছে। কার সাধ্য
কাঠবেড়ালের লেজ-নাচানো ডালে পাতায়
স্বপ্নগুলি টুকে রাখতে।
নার্সারী রাইম,
তারা শুনতে চায় না
তার প্রমাণ হিসেবে তারা তোমায়
নিয়ে রেখেছে
উন্মাদাগারে। হায়, হায়, উন্মাদিনী।
কী সাধ্য তোমার
প্রাক-দুপুরের আকাশের
মেঘগুলি
দুইহাতে ঠেলে দিতে।
ওরা কৃত্রিম বিকেল সৃষ্টি করেছে
তোমার যৌবনের সমাধির
সামিয়ানার জন্যে।
(পরবাস-৫৩, ফেব্রুয়ারি, ২০১৩)