মেয়েটি মালতীলতা, মেয়েটি দু-বেণী উচ্ছ্বল
মেয়েটি নরম সুর—পাখিরাও ঘুম ভেঙে গায়
মায়াময় চোখদুটি জেগে থাকে জলের আসরে,
শ্যামলা মাটির মেয়ে ছেলেটির বাঁশি ভালোবাসে
এতখানি অনাবৃষ্টি মাটির শিকড়ে আর বুকে
যতটুকু স্পৃহা ছিল, প্রতিদিন ধুলো হয়ে আসে
আলোর তৃষ্ণাটুকু নিয়ে যায় কুঞ্জলতা
স্পন্দহীন শুয়ে থাকে আদিবাসী মায়ের জঠর
আমরা ভাবতে বসি এ শীতের প্রকৃত কারণ
জ্যোৎস্নার অভ্যাস নাকি দীর্ঘায়িত সূর্যের করুণা
অজ্ঞাতই রয়ে যায় আমাদের—কেবল প্রেমিক
মহুল প্রেমিক জানে এই নারী কৃষ্ণচূড়া কিনা...
(পরবাস-৫৪, জুন ২০১৩)