আশ্চর্য শূন্যতায় বসে আলোর দিনের কথা ভাবি
শ্বেতপদ্ম পাতাটির গভীর চোখের ছায়া অতিক্রম করে যায়
গূঢ় ক্ষতের দাগ—তাকে শুধু শব্দ চিনেছিল
একান্ত নিজস্ব কিছু স্তব্ধতায়...এমনকি ছেড়ে যাওয়া তার
চন্দনগন্ধের মতো সপ্রতিভ হয়ে,
জেগে থাকে মধ্যরাতে, বিকেলবেলায়...
তাকে খুব সামান্য জেনেছে জল—তবু আজ চোরাস্রোতে
স্নানজলে আলুথালু ভেসে যায়
পাখিদের কুটোখড়, বাসা বাঁধবার দিন...
হয়তো পাখির দল ফিরে আসে—আমাদের দৃষ্টির পথ
সহজে পেরিয়ে যায় ভাটফুল, অপূর্ব দোল খায়
শ্বেতরঙ থেকে ক্রমে রক্তাভ আভায়—সমস্ত পিছুডাক
তুচ্ছতর হয়ে আসে এসব টানের কাছে—অনচ্ছ গড়িয়ে যায়
বিশাল বৃক্ষের থেকে বহুদূর, মেটে আলু গাছটির শিকড়ের দিকে...
অনেক বৃষ্টির পর ছাইফুটকি পাখি এসে
ধ্বস্ত দিনের খুব গা ঘেঁসে বসে—সীমানা ছাড়িয়ে
তার অভিমান ছুঁয়ে আছে বিষণ্ণ শালুক—
শব্দ নেই বাক্য নেই—হাতের পাতায় তার বর্ষাকালের ভোর,
আধো আলো—গাছের পাতায় জমা জল—
হলদে পাপড়ি হয়ে, ফুল হয়ে ঝরে আছে ভেজাগন্ধ মাটির শরীরে...
(পরবাস-৫৬, মার্চ, ২০১৪)