পরবাসের পাতায় এর খবর পাওয়া যাবে না, কিন্তু অনেকেই বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপরে কোনো প্রশ্ন বা সাহায্য চাইলে পরবাস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভারতের বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাসাহিত্যের পাঠক্রমে কী বই পড়ানো হবে তাতে পরামর্শ দেওয়া, বা কোনো বই যা সহজে পাওয়া যায় না, তা জোগাড় করে দেওয়া--বেশ কয়েকবার করতে হয়েছে। আমেরিকা, কানাডার বেশ কিছু জায়গায়, এমনকী মরিশাসের বিশ্ববিদ্যালয়েও। অনেক সময়ে অবশ্য ইংরেজি অনুবাদে বাংলাসাহিত্য পড়ানো হয়। তারপর ধরুন, ইজরায়েলে একজন সরাসরি বাংলা থেকে হিব্রুতে অনুবাদ করতে চান--কী বই, কোন লেখক--একটু আলোচনা করলে ভালো হয়--তা পরবাস তো হাতের, থুড়ি, কী-বোর্ডের কাছেই! আর নানা দেশের উচ্চশিক্ষার্থীরা যাঁরা বাংলা ভাষা, সাহিত্য, বা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে গবেষণা করতে চান, তাঁদের কাছে পরবাস প্রায়ই প্রথম সোপান। যথাসাধ্য এই সাহায্য করতে পারার মতো আনন্দের জিনিস আর হয় না।
সাবর্নি চক্রবর্তীর গল্প পরবাসের নিয়মিত পাঠকদের সুপরিচিত। এই সংখ্যা থেকে তাঁর একটি উপন্যাস সন্ধ্যাবেলা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। সেইসঙ্গে মিহির সেনগুপ্তের দ্বিতীয় আলেখ্য একটি যৌথ স্মৃতিপাঁচালিও। অমিতাভ সেন-এর দেওয়া কার্টুনের নামকরন প্রতিযোগিতার সময় বাড়ানো হল। কিছু নাম জমা পড়েছে, কিন্তু আরো চাই।
বড়োদের জন্যে লেখা কল্পবিজ্ঞান-উপন্যাস ('বড়োদের' কথাটা লিখতে হল কারণ বাংলাতে এইরকম লেখার প্রচলন বেশি নেই) 'বনদেবী ও পাঁচটি পায়রা' অনুবাদ করার অনুমতি দেবার জন্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে আমাদের ধন্যবাদ জানাই। ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রার করা অনুবাদটি সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা শুরু করেছি।
এই সংখ্যার লেখাগুলির উপরে আপনাদের মন্তব্যের জন্যে অপেক্ষা করব। এবং অপেক্ষা করব পরবর্তী সংখ্যার জন্যে আপনাদের লেখা, ছবি ইত্যাদির জন্যেও।
(পরবাস-৫৬, মার্চ, ২০১৪)