শৈশবে কি ফিরে যাওয়া যায়?
যেতে পারলে ভালো হতো,
এত বছরের এত পুঞ্জীভূত ভুল
হয়তো শুধরে নিয়ে শুরু করা যেত জীবন নতুন করে,
তা হলে হয়তো
বর্তমান অবস্থার বিষাদকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে
ভবিষ্যের বর্তমান অবস্থানে স্থিতু হওয়া যেত আর একটু বেশি আস্থা নিয়ে,
তাহলে হয়তো
সকালটা হয়ে উঠত আরো একটু বেশিই সোনালি,
দুপুরটা তত উষ্ণ নয়,
বিকেলটা আর একটু রাঙানো, রাত্রিটা আর একটু নিবিড়।
তুমি কি নিশ্চিত তাই হতো?
কেন ইচ্ছে করে ভুলে যাও--
বারবার ভুল করি, ভুল হয়, ভুল উচ্চারণে নিবেদন করি ভুল প্রেম?
ভুলের ফেউরা সব জীবনের আগে আগে ছোটে,
তোমাকে আবর্তে ফেলে বেপাত্তা হয়, কিংবা হা হা হাসে,
তুমি হাবুডুবু খাও দিশাহারা হও,
কিংবা উদ্ধার পেয়ে হয়ে ওঠো ঝানু দার্শনিক।
তার উপর রয়েছে ছলনা --
বিচিত্র ছলনাজাল বিস্তৃত সদাই;
ক্রীড়নক রয়েছে ছড়ানো, তুমি তাই নিয়ে ভুলে থাক,
তোমাকে ভোলাতে
রঙের প্রলেপ লাগে বিবর্ণ কাঠামোর 'পর,
যাকে বলা হয় রূপ, যা ভোলায় অরূপকে,
হাতের নাগাল ছেড়ে অধরাই থাকে অপরূপ,
ধুলোতে গড়াও, ধুলো ঝেড়ে উঠে দ্যাখো সব খেলা শেষ;
দুর্বিসহ এ ছলনা,
অনর্জিত থাকে তাই শান্তির অক্ষয় অধিকার।
উৎসে ফেরা যায় না কখনো,
অশান্তির আঘাতে আঘাতে ভুলের পাথরে বাধা পেয়ে ছোটোবড়ো কল্লোল তুলে
নদীর স্রোতের মতো
যেতে হবে মোহানার দিকে, যেখানে অপেক্ষায় রয়েছে সাগর ...
(পরবাস-৬৩, ৩০ জুন, ২০১৬)