নিরহং শিল্পী; শঙ্খ ঘোষ; প্রথম প্রকাশ : অক্টোবর ২০১৬, ২য় সংস্করণ জানুয়ারি ২০১৭, তালপাতা - কলকাতা, পৃষ্ঠাঃ ১২৮; প্রচ্ছদ : দিলীপকুমার; ISBN : 978-93-83014-12-5
কবিতার মুহূর্ত বইটির বুননের সূচনায় যে লেখাটি, সেই ‘পা তোলা পা ফেলা’ রচনার একেবারে শুরুতেই নিজের লেখায় আত্মপ্রসঙ্গ নিয়ে বেশ কুণ্ঠিত মন্তব্যই করেছিলেন শঙ্খ ঘোষ। বইতে ছাপা হবার আগে দেশ সাহিত্য সংখ্যায় যখন ছাপা হয় সে-লেখা তখন তাঁর বয়স মাত্রই চল্লিশ। যৌবনের সেই পূর্ণবেলাতেই তাঁর কলমে পরিমিতিবোধের যে ছাপ ফুটে উঠেছে তা সত্যিকারের ভিন্নরুচির আবহাওয়ায় নিজেকে না গড়লে কখনোই আয়ত্ত করা যায় না। কবিতার নিজস্ব আবরণের মধ্যে বেশ দু-চার কথা বলে নেওয়া যায় এমনটাই বলেছিলেন তিনি। পাঠকের কাছে ওভাবে নিজেকে মেলে ধরতে, আত্মপ্রসঙ্গের শিল্পিত প্রকাশে কবির সে-অর্থে সঙ্কোচও হয় না। সমস্যা বেড়ে ওঠে গদ্যে। শঙ্খ ঘোষ লিখছেন : ‘… গদ্যে নিজের বিষয়ে লিখতে ভয় হয়, গদ্য এত সরাসরি কথা বলে, এত জানিয়ে দেয়। কেবলই মনে হয় প্রকাশ্য করে এসব বলবার সময় নয় এখন। হাত থেকে কেবলই খসে যায় কলম, যে-কথাটুকু বলবার ছিল সেটুকুও ধরতে পারিনা ঠিকমতো।’ যদিও এরপরে তিনি গদ্যেই লিখেছেন অনেক জীবনঘেঁষা লেখা। জার্নাল, ঘুমিয়ে পড়া অ্যালবাম-এর মতো সেসব লেখায় আত্মকথারই বিস্তার। সেই অর্থে প্রথাসিদ্ধ আত্মজীবনী না লিখলেও এসব লেখা বস্তুত আত্মজীবনীর অংশ। টুকরো টুকরো হলেও একটাই জীবনের কথা। কখনো আত্মজনের প্রসঙ্গ, কখনো সরাসরি নিজের জীবন। তাঁর সাম্প্রতিক গদ্য লেখার বড়ো অংশই এরকম। তা কখনো কোনো বিশিষ্টজনকে সম্মান জানানোর জন্যই লেখা হোক বা নিখাদ স্মৃতির টুকরো। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মনে হয় পরিবারের অতিপ্রিয়জন বুঝি বাইরে থেকে ফিরে এলেন অনেকদিন পর। তাঁর গা ঘেঁষে বসে শুনতে ইচ্ছে করে নতুন-পুরনো সব কথা। উত্তাপ পাওয়া যায়।
এমনই কিছু লেখা ২০১৩ থেকে ২০১৬-র মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ত্রৈমাসিক চতুরঙ্গ পত্রিকায়, ‘বিন্দু বিন্দু’ নামে। সম্প্রতি সেসব লেখার সঙ্গে আরও দুটি একই মেজাজের লেখা একত্রে গ্রন্থিত হয়েছে ‘নিরহং শিল্পী’ নামে। অশীতিপর শিল্পীর কাঙ্ক্ষিত রুচির মানুষজনের কথামালা। আর আশ্চর্যের বিষয় দু-তিনটি লেখা বাদ দিয়ে বাকি প্রত্যেকটি লেখার চালচিত্রে আঁকা আছে রবীন্দ্রনাথের মুখ। এমন নিমগ্ন রবীন্দ্রযাপনও খুবই বিরল।
নিরহং শিল্পী-র শুরুতেই দুই ব্যতিক্রমী মানুষের কথা, রাধামোহন ভট্টাচার্য আর বসন্ত চৌধুরী। সদ্যপ্রয়াত কাকলি রায়ের সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান ‘গান্ধার’-এর আয়োজনে আশির দশকের গোড়ায় অনুষ্ঠান হবে ‘আত্মবোধনের গান’। নানান গানের সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে রবীন্দ্রনাথেরই কবিতা নাটক গদ্য থেকে ছিন্ন কিছু অংশ। এমন প্রায়-অখ্যাত প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে ইদানীংকার ভাষায় সংযোজনার কাজ করতে আদৌ রাজি হবেন কি না রাধামোহন সে-ই ছিল তখনকার ভাবনা। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে পরিকল্পনাটা পছন্দ হওয়ায় সকলকে অবাক করে দিয়ে রাধামোহন শুধু রাজিই হলেন না, স্টেজ রিহার্সালেও এলেন। শুরুর আগে শঙ্খ ঘোষের কাছে চেয়ে নিলেন টুকরো লেখাগুলোর মূল। পড়লেন, সন্তুষ্ট হলেন। আবার জানতে চাইলেন এগুলি রচনার পিছনে রবীন্দ্রজীবনে নির্দিষ্ট কোনও অভিঘাত আছে কি না। শঙ্খবাবু লিখছেন:
‘কবিতা ছিল বীথিকা-র “দুর্ভাগিনী”। সত্যিই একটা দুর্ভার পটভূমি ছিল তার। রবীন্দ্রনাথের অতিপ্রিয় দৌহিত্র তখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে জার্মান দেশে, মীরা দেবীর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমুহূর্তের উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন স্বজনবন্ধুরা, মাঝে মাঝেই ক্ষয়মুখী সেই তরুণের খবর জানতে চাইছেন রবীন্দ্রনাথ। মেয়ের মুখের দিকে তাকানো সেইসব উদ্বেগ-মুহূর্তে লেখা এই “দুর্ভাগিনী” কবিতাটির পর পরই এল তার মৃত্যুসংবাদ। শমীর বিচ্ছেদকষ্ট কীভাবে একদিন সহ্য করে নিয়েছিলেন নিজে, চিঠিতে তার এক জ্যোৎস্নাধোওয়া বিবরণ লিখে মেয়ের মনকে শমিত করতে চাইছেন বাবা, সেই চিঠিরও মধ্যবর্তী একটা অংশ রাধামোহনকে পড়তে হবে একইসঙ্গে।লেখক যে রাধামোহনকে (১৯০৮-১৯৮৩) আমাদের কাছে চিনিয়ে দিলেন তিনি কেবলমাত্র একটা অনুষ্ঠানে সফল ভাষ্যপাঠের জন্য তাঁর থেকে বয়সে প্রায় চব্বিশ বছরের ছোটো শঙ্খ ঘোষের কাছে রবীন্দ্ররচনার প্রেক্ষাপট জানতে চাইছেন না। চিঠি লিখে জানাচ্ছেন, ‘তোমার ভাল লেগেছে— এই আমার মস্ত পাওয়া।’ বাংলা সিনেমার নক্ষত্র, প্রেসিডেন্সি কলেজের সুদিনে অর্থনীতির ছাত্র, সঙ্গীতজ্ঞ, বহুভাষাবিদ ও অনুবাদক রাধামোহন ভটাচার্য কার্যত আমাদের সংস্কৃতির ইতিহাসের সমৃদ্ধ ধারাকে উদ্ভাসিত করেন। এভাবেই শঙ্খ ঘোষ চিনিয়ে দিয়েছেন সুচিত্রা মিত্র বা বসন্ত চৌধুরীকে। দুক্ষেত্রেই রবীন্দ্র গান-কবিতার রেকর্ডিংয়ের আয়োজক ছিলেন সুভাষ চৌধুরী। এইচ এম ভি-র রেকর্ডিংয়ে রবীন্দ্র সংগীতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী পরপর সাতবার গান গেয়ে চলেছেন আকাঙ্খিত সম্পূর্ণতা পেতে। আবার ‘জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ’ নামে এইচ এম ভি-র উদ্যোগে বসন্ত চৌধুরী ভাষ্য পাঠের আগে অসুস্থ শঙ্খবাবুর রোগশয্যার পাশে বসে পুরোটা ভাষ্য পাঠ করে প্রয়োজনীয় অংশে তাঁর সংশোধনী মেনে নিয়ে নিজেকে বদলেছেন। সেই একই কারণে, শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা। এমন অহংহীনতার কথা আমাদের একুশ শতকে কেমন যেন অলীক বলে মনে হয়।এতক্ষণে তৃপ্ত লাগল তাঁকে। ‘হ্যাঁ, এইবারে হলো পুরোপুরি। এইবার ঠিক পড়তে পারব মনে হয়।’
পারলেন পড়তে, সমস্ত সত্তা দিয়ে। সেদিনকার অনুষ্ঠানটির পরম সফলতার অন্যতম একটি কারণ হয়ে রইল তাঁর সেই পড়া।’
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের সঙ্গে শঙ্খ ঘোষের সম্পর্ক বেশ আত্মিক। রবীন্দ্রনাথ তাঁর চর্চার অবলম্বন, তাই শান্তিনিকেতন তাঁর কাছে অন্য অর্থ বয়ে আনে। শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, এখানকার পরিবেশ ও আশ্রমিকেরাও যেন তাঁর অন্বিষ্টের সহোদর। সেই অন্বেষণের বিভা মাখা একটি লেখা হল ‘পঞ্চবটী’। পূর্বপল্লীর পুব দিক ঘেঁষে তৈরি হওয়া একই চত্বরে পাঁচটি বাড়ির একটিতে ১৯৭৮ সালে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল লেখকের। ঠিক উলটো দিকে ছান্দসিক প্রবোধচন্দ্র সেনের বাড়ি ‘রুচিরা’। অনেকটা প্রবোধচন্দ্রের ইচ্ছেতেই শঙ্খবাবুর জন্য ওই বাড়ির ব্যবস্থা হয়েছে। প্রবোধচন্দ্র নাকি লক্ষ্য রাখতে পারবেন জানলা থেকে জানলায়, এমনকী চিরকুট চালাচালি হতে পারবে প্রয়োজন মতো। বিনিময় হবে কথাকৌতুকের। তেমনি একটি কৌতুকের গল্প শুনিয়েছেন লেখক। এ গল্পে অবশ্য একজন চরিত্র হচ্ছেন হিরণকুমার সান্যাল। তখন প্রবোধচন্দ্রের ‘রুচিরা’ তৈরি হয়ে উঠছে, শঙ্খ ঘোষ লিখছেন:
“কখনো কখনো তাঁর স্ত্রী এসে দাঁড়াতেন তদারকির কাজে। একদিন সেইরকম দাঁড়িয়ে তিনি তাকিয়ে আছেন নির্মীয়মান ছাদের দিকে, পিছনেই এসে দাঁড়ালেন হিরণকুমার ‘এখানে কী করছেন বৌদি?’ প্রশ্ন শুনে সলজ্জ বৌদি বলেন: ‘দেখছি কতটা উঁচু হল?’ গৃহপ্রবেশের পরে একদিন ঘরে বসে সে-প্রসঙ্গে হিরণকুমার বলছেন প্রবোধচন্দ্রকে: ‘কথায় বলে গৃহিণী গৃহমুচ্যতে। কিন্তু সেদিন তো দেখি আপনার গৃহিণী গৃহম্ উচ্চতে!’ সঙ্গে সঙ্গেই পালটা বলেন প্রবোধচন্দ্র: ‘সে তো বাড়ি হবার আগেকার ব্যাপার। বাড়ি হয়ে যাবার পর ঘরদুয়োর তকতকে রাখাবার জন্য এখন তো সারাদিনই গৃহিণী গৃহ মুছ্যতে।”আবার কখনো শান্তিনিকেতনেরই কোনো পুরোনো ঘটনায় বিষাদাক্রান্ত হয়েছে মন। যেমন রথীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন-ত্যাগের বিষয়টি। শান্তিনিকেতনে রথীন্দ্রনাথের বন্ধুবৃত্তে ছিলেন প্রাবন্ধিক হীরেন্দ্রনাথ দত্ত। পঞ্চবটীর বাড়িটিতে বাসকালেই লেখকের সঙ্গে হীরেন্দ্রনাথের পরিচয়। এমনিতে হীরেন্দ্রনাথের স্বচ্ছ গদ্যভাষার অনুরাগী শঙ্খবাবু। কিন্তু তাঁর আচরণে সৌজন্যের স্বচ্ছতা যেন গদ্যেরই পরিপূরক। পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধ কেন উপযাচক হয়ে শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, বিস্মিত হয়ে সে-প্রশ্ন করলে হীরেন্দ্রনাথ বলেছিলেন— ‘কিন্তু এই রকমই তো হওয়ার কথা ছিল শান্তিনিকেতনে? আপনি তো আমাদের অতিথি। আমারই তো আসা উচিত? তখন কি আর বয়সের কথা ভাবা চলে?’ যদিও হীরেন্দ্রনাথ জানেন শান্তিনিকেতনে যা হবার কথা ছিল তা সব সময় হয়নি। কবির স্বভূমি বারবার নীল হয়েছে বিদ্বেষে। ছোটোখাটো নানান তুচ্ছতায় জর্জর হয়েছে। রথীন্দ্রনাথের প্রতি হীরেন্দ্রনাথের মমতাবোধও ছিল অসাধারণ। নিঃসঙ্গ, পরিশীলিত, সূক্ষ্ম রুচির, শিল্পিত স্বভাবের মানুষটি ছিলেন ‘বড়ো বেশি ভুল বোঝার শিকার’, এমনটাই মনে করতেন তিনি। শঙ্খ ঘোষ তাঁকে রথীন্দ্রনাথের আশ্রমত্যাগের কারণ জিজ্ঞাসা করলে হীরেন্দ্রনাথ এক আশ্চর্য ‘উষাকালীন’ ‘নিষ্ক্রমণছবি’ বলে যান :
‘একদিন ভোর-ভোর সময়ে— পুরোপুরি আলো ফোটেনি তখনো— ঘুম ভেঙে হঠাৎ মনে হলো উত্তরায়ণের দিক থেকে কোনো একটা হল্লার আওয়াজ আসছে। কী হলো ওখানে? উদ্বেগ নিয়ে তাড়াতাড়ি সেখানে পৌঁছে দেখি, উদয়ন-বাড়িটা ঘিরে বেশ বড়োসড়ো একটা জমায়েত, অশালীন চিৎকার করছে সবাই। খানিক পরে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন রথীবাবু। জনতা চিৎকার করে উঠল : “ওই মহিলাকে এখনই বার করে দিতে হবে। এসব চলবে না এখানে।” স্তম্ভিত তিনি দাঁড়িয়ে রইলেন কয়েক মুহূর্ত, তাকিয়ে দেখলেন ভিড়টা, আর তারপর ঢুকে গেলেন ঘরে। একটু পরেই ভিতর থেকে যেন কিছু ভাঙচুরের শব্দ এসে পৌঁছতে লাগল। আরো একটু পরে বেরিয়ে এলেন রথীন্দ্রনাথ, হাতে শুধু ছোট একটা সুটকেস, পাশে মীরা চট্টোপাধ্যায়। সবার দিকে তাকিয়ে বললেন : “আপনারা সরে দাঁড়ান। আমি এই মুহূর্তে শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যাচ্ছি।” — চলেও গেলেন, একটা রিক্সাতে উঠে, স্টেশনের দিকে।... এই মানুষটির ঠিক এমন বিদায় প্রাপ্য ছিল না।’নিরহং শিল্পী-তে এসেছেন অমিতা সেন, লীলা মজুমদার, গৌরী ভঞ্জ, রানী চন্দ, নির্মলকুমারী মহলানবিশ, লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও, সে-ও রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত কোনো কাজে বা শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন স্মৃতি। সবথেকে আশ্চর্য লীলা মজুমদারের প্রসঙ্গ। লীলা মজুমদার শান্তিনিকেতন ছেড়ে আসার পর শঙ্খ ঘোষকে কলকাতায় এসে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু শঙ্খবাবু লিখছেন:
‘সে-যাওয়া আর হয়নি কখনো। কেবলই ভেবেছি ওঁর সময় নষ্ট হবে। আমি গিয়ে কী কথা বলব ওঁর সঙ্গে, কী বলার আছে? আছে শুধু শুনবার কথা। কিন্তু উনি তো লিখেই বলেন। সেই লেখারই জন্য বরং প্রতীক্ষা করে থাকি।’এ-বইয়ের শেষ রচনাটি লেখকের মাস্টারমশাই শশীভূষণ দাশগুপ্তকে নিয়ে, যিনি আবার শঙ্খ ঘোষের পিতৃদেবের ছাত্র। যে-শশীভূষণ লেখকের সারা ছোটোবেলায় ভালো ছাত্রের সেরা উদাহরণ ছিলেন। মূলত লেখক তাঁর মায়ের মুখে শুনতেন যে শশীভূষণের গুণপনার কথা, তাঁকেই বড়ো হয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনে আরো নিবিড় করে জানার আলেখ্য।
নিরহং শিল্পী-র মলাটে ছাপা হয়েছে ‘স্মৃতির এক আশ্চর্য সম্ভার’ কথাগুলি, সঙ্গে মলাটেরই ছবিতে একসারি প্রাচীন সোপানের ক্রমশ ওপরে উঠে যাওয়া। এত বাঙ্ময় মলাটে (মলাট প্রণেতা দিলীপকুমার) সত্যিই স্মৃতির আশ্চর্য সফরে বেরিয়ে পড়ে পাঠক। শঙ্খ ঘোষের কলমে স্মৃতি যেন কোন্ জাদুতে ভাস্বর হয়ে ওঠে। উঠে আসতে থাকে আলো। আমরা প্রদীপ্ত হই।
(পরবাস-৬৬, মার্চ ২০১৭)