নারীপৃথিবী: বহুস্বর; সম্পাদনা: বাসবী চক্রবর্তী; ঊর্ব্বী প্রকাশন: নভেম্বর ২০১৪; পৃষ্ঠাঃ ৫৬০; ISBN: 978-9380648101
নারীবাদী চিন্তাধারার ইতিহাস দুই শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন। ১৭৯২-তে ফরাসী বিপ্লবের পটভূমিতে রচিত মেরী ওল্স্টোনক্র্যাফটের গ্রন্থ ‘আ ভিন্ডিকেশন অফ দ্য রাইট্স্ অফ উইমেন্’ প্রকাশিত হয়। বিদ্ব্যৎসমাজে এটি আধুনিক নারীবাদী চিন্তাধারার প্রথম আকরগ্রন্থ তথা প্রতিবাদী স্বর রূপে পরিচিত। মেয়েদের অধিকারের হিসেবনিকেশের সূত্র ধরে এর পর শুরু হয় একের পর এক আন্দোলন। তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমান অধিকারের দাবীকে কেন্দ্র করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে আন্দোলন ও চেতনার উদ্ভব হয়, তা পরবর্তীকালে পরিচিত হয় নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ বা ‘ফার্স্ট ওয়েভ ফেমিনিজম্’ রূপে। এই পর্বের প্রধান দাবী ছিল মেয়েদের নির্বাচনী মতদানের অধিকারের স্বীকৃতি; কারণ, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল যে ভোটাধিকার অর্জিত হলেই অন্যান্য সব অসাম্য, সব বাধাকে অক্লেশে অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
১৯৬৩-তে বেটি ফ্রীডানের ‘দ্য ফেমিনিন মিস্টিক’-এর প্রকাশনার হাত ধরে শুরু হয় নারীবাদী আন্দোলনের দ্বিতীয় তরঙ্গ বা সেকেন্ড ওয়েভ। পাশ্চাত্যের প্রতিবাদী ভূমিতে এই তরঙ্গের উত্থান ঘটলেও পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। ভারতও তার ব্যতিক্রম হয় নি। এ দেশে নারীবাদী চিন্তাধারা কেবলমাত্র সমাজমুখী আন্দোলনের জন্ম দেয় নি, নারীবাদী মননশীলতার ভিত্তিকেও সুদৃঢ় করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বহু কলেজে নারীবাদের চর্চা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন বিভাগের জন্ম দিয়েছে। যদিও ১৯৮০-র দশক থেকেই পশ্চিমবঙ্গে মানবীবিদ্যার চর্চার আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ঘটেছে, এই চর্চাকে পূর্ণতাদানের উপযুক্ত বাংলাভাষায় রচিত গ্রন্থ ছিল দৃষ্টিকটুভাবে অনুপস্থিত। এই দীনতাকে লাঘব করার জন্যই সম্প্রতি মানবীবিদ্যা-বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত রয়েছে। সেই গ্রন্থভাণ্ডারে নতুন সংযোজন আটত্রিশটি প্রবন্ধের সংকলিত এই সম্ভার--নারীপৃথিবী: বহুস্বর। সম্পাদক বাসবী চক্রবর্তী দীর্ঘদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবীবিদ্যা চর্চাকেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট; 'প্রসঙ্গ: মানবীবিদ্যা’ নামে একটি গ্রন্থও তিনি ইতিপূর্বে যুগ্মসম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতার ফসল এই প্রবন্ধ সংকলনটি। এই গ্রন্থের লেখকগণ হয় মানবীবিদ্যাচর্চারত অথবা অনুরূপ চর্চাকেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাঁদের লেখনী, অতএব, স্পষ্ট এবং গভীরভাবে তুলে ধরেছে মেয়েদের জীবন ও জগতের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তথা সমস্যাগুলি।
গ্রন্থটির নামকরণ প্রথম পরিচয়েই পাঠককে জানিয়ে দেয় যে এটি মানবীবিদ্যার বহু কথিত ও অকথিত প্রসঙ্গকে পাদপ্রদীপের আলোকে নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে আমরা পরিচিত হতে থাকি নারীর অন্তরঙ্গ ও বহিরঙ্গের নানান দিকের সঙ্গে। দেশ, ধর্ম, সংস্কৃতির আপাত গণ্ডিকে অতিক্রম করে সেই পরিচয় হয়ে ওঠে সর্বকালীন। তথা সর্বজনীন। সংকলনটিতে স্থান পেয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েদের সমস্যা, নারী আন্দোলনের ধরন, মুসলিম মেয়েদের সমস্যা ও অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা। আবার এরই পাশে রয়েছে বাংলাদেশের নারী-আন্দোলনের চিত্রটিও। অল্পবয়সী মেয়েদের যৌন নির্যাতন ও নারীপাচারের সমস্যার সমান্তরালে আলোচিত হয়েছে প্রবীণাদের লাঞ্ছনার সমস্যাও। সব মিলিয়ে, একটি বড় ক্যানভাসে মেয়েদের সমস্যা, তাদের আর্তি ও তার প্রকাশব্যঞ্জনা, নারী-আন্দোলন এবং নারীবাদচর্চার পদ্ধতি বিদ্যার মত প্রয়োজনীয় প্রসঙ্গগুলিকে ধরে রাখতে প্রয়াসী হয়েছেন সম্পাদক। অধিকাংশ প্রবন্ধই হীরকদ্যুতিময়, তবে তার মধ্যেও বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র উল্লেখের দাবী রাখে।
প্রবন্ধসংকলনটির শুরু সৈয়দ তনভীর নাসরীনের একটি অনন্যসাধারণ লেখার মাধ্যমে। প্রাবন্ধিক এখানে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে নারীর অবস্থানকে ব্যাখ্যা করেছেন সহজ দক্ষতায়। লেখাটিতে জ্ঞাতব্য আছে অজস্র, মণিমুক্তার মত; দু’হাত বাড়িয়ে সংগ্রহ করেও যেন তা শেষ হয় না--অথচ পাণ্ডিত্যের ভার নেই কোথাও। ইতিহাস, মানবীবিদ্যা ও সাহিত্যের বর্ণিল সমারোহময় লেখাই আমাদের সামনে তুলে ধরেছে কৌটিল্যের বর্ণিত সমাজে নারীর বহুমাত্রিক অবস্থানকে। এর সূত্রে আরও জানতে পারি পিতৃতন্ত্র ও নারীপুরুষের সমানাধিকার উভয়ের প্রতিই কৌটিল্যের সমর্থনের কথা। প্রবন্ধটির শেষে গ্রন্থিত ‘সূত্র নির্দেশ’টিও প্রাবন্ধিকের স্বচ্ছ পাণ্ডিত্যের পরিচায়ক।
শমিতা সেনের প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ভারতের নারী আন্দোলন ও তার প্রেক্ষাপট তথা সমস্যাবলী। মূল প্রবন্ধটি ইংরেজিতে রচিত হলেও অনুবাদের গুণে বাংলাতেও এটি সমান সুপাঠ্য। শ্রীমতী সেন নিজে মানবীবিদ্যাচর্চায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ; তাঁর প্রবন্ধে এ দেশের নারী আন্দোলনের বিস্তারিত, দশকওয়াড়ি ইতিহাসের সন্ধান পাই। নি:সন্দেহে এটি আমাদের দেশের নারী-আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলরূপে আগামী দিনের বহু প্রশ্নকে তৃপ্ত করতে সক্ষম হবে। এর ঠিক পরের প্রবন্ধটির বিষয় বাংলাদেশের নারী আন্দোলন; ফলে দুই দেশের নারী আন্দোলনের তুলনামূলক ছবিটি বোঝা সহজ হয়ে ওঠে।
মানবীবিদ্যার আনুষ্ঠানিক চর্চার পক্ষে একটি জরুরী বিষয় নারীবাদচর্চা পদ্ধতির আলোচনা। সুদর্শনা সেনের প্রবন্ধটি সেই প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছে। তবে, মানবীবিদ্যার চর্চা এবং এবং নারী অধিকার সচেতনতা ক্রমশ: বৃদ্ধি পেলেও নারীনিগ্রহ কিন্তু এখনও এক জ্বলন্ত বাস্তব। সেই বাস্তবতার বিভিন্ন দিক উন্মোচিত হয়েছে সংকলনটির বেশ কয়েকটি লেখায়। এগুলির মধ্যে স্থান পেয়েছে নারীনিগ্রহের কারণ তথা তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা; যৌননিগ্রহ ও যৌনহিংসা; নারী পাচার; প্রবীণালাঞ্ছনা; সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মেয়েদের সমস্যা; মেয়েদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ংকরতা, ও সন্ত্রাসবিরোধী নারী আন্দোলনের মত জরুরী, সমকালীন এবং অতি প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি। প্রবীণা-লাঞ্ছনার প্রসঙ্গটির অবশ্য আরও একটু বিস্তৃতি পাওয়া উচিত ছিল কারণ, বর্তমান সমাজে প্রবীণেরা কেবলমাত্র নিজেদের পরিবারকর্তৃক অবহেলিত, অবদমিত ও পরিত্যক্ত হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হন না, বহুক্ষেত্রে একাকীত্ব, অসহায়ত্ব এবং প্রবীণত্বের কারণে তাঁরা পেশাদার অপরাধীদের সহজ শিকারেও পরিণত হন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমগুলি এমন অনেক ঘটনাই প্রকাশ্যে এনেছে। প্রবীণদের সমস্যা, তাই বহুবিধ--বয়োভার ও সম্পদহীনতার কারণে নিজপরিবারের কাছে তাঁরা হয়ে ওঠেন পাঙ্কক্তেয় এমনকি পরিত্যাজ্য; আবার অপেক্ষাকৃত সচ্ছলতার পরিস্থিতিতে তাঁরা প্রায়শ:ই হয়ে ওঠেন অপরাধীগোষ্ঠীর নিশানা। আধুনিক নাগরিক সভ্যতার এই পরিণতি অবশ্যই গভীরতর আলোচনার দাবী রাখে।
অপরাধ ও নারীর সামাজিক মূল্যায়নের বিষয়ে সুজাতা সেনের প্রবন্ধটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে নারীর অপরাধ একটি সামাজিক বাস্তবতা হলেও সে প্রসঙ্গে আলোচনা তো দূরস্থান, উল্লেখও বাংলা ভাষায় প্রায় দুর্লভ। পুরুষের অপরাধ আইনত: দণ্ডনীয় ঠিকই কিন্তু সমাজ তাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করে না। কিন্তু নারী অপরাধীরা কেবল আইনের বিচারেই দণ্ডনীয় নয়, সমাজের দৃষ্টিতেও ব্যতিক্রমী এবং পরিত্যাজ্য। কারাগারের বাইরে পুরুষ অপরাধীদের দর্শনের অপেক্ষায় থাকেন তাঁদের মা অথবা স্ত্রী, বিপরীতভাবে অধিকাংশ কারাবন্দিনীই কিন্তু তাঁদের পরিবার কর্তৃক পরিত্যক্ত হন, বহুক্ষেত্রে বঞ্চিত হন সন্তানের অধিকার থেকেও--যদিও সব মহিলা-অপরাধীই স্বেচ্ছায় বা সচেতনভাবে আইন তথা নৈতিকতার বিরুদ্ধাচারণ করেন না, সুজাতা সেনের আলোচনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে সেই ভয়ংকর চিত্রটি যেখানে তরুণী মা একাধিক কন্যাসন্তানের জন্মদানের চরম অপরাধের ভার বহন করতে না পেরে নিজেই হয়ে উঠেছে সন্তানের হত্যাকারী ও পরে সেই হত্যার গ্লানিতে মানসিক ভারসাম্যহীন কারাবন্দিনী। অপরাধিনীর নির্মাণে সমাজের এই অবস্থান অবশ্যই আমাদের সমগ্র বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
সুবর্ণা ভট্টাচার্য্যের প্রবন্ধটিও নি:সন্দেহে মূল্যবান; পরিবেশের দূষণ কিভাবে নারীর স্বাস্থ্য তথা জীবনকে বিপন্ন করে তোলে তারই একটি বাস্তব চিত্রের সন্ধান দেয় লেখটি। রোশেনারা খানের প্রবন্ধ আমাদের পরিচিত করায় মুসলিম মেয়েদের অধিকারের লড়াইয়ের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, কেন তাদের সমস্যা ভারতের মেয়েদের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে নি, তারও উত্তর খুঁজতে তিনি সচেষ্ট হয়েছেন, এই ধরনের আরো অনেক জরুরী ও প্রাসঙ্গিক লেখার সম্ভার সাজানো রয়েছে আলোচ্য প্রবন্ধ সংকলনটিতে। রাজনীতি, অর্থনীতি, লিঙ্গসাম্য, স্বাস্থ্যপরিষেবা, গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপন, সাহিত্য ও প্রবাদ, নাট্য ও নৃত্য, অপ্রথাগত ন্যায়বিচার, অসংগঠিত শ্রমজীবী মহিলাদের সমস্যা--সমাজজীবনের প্রায় সমস্ত আলোচিত ও অনালোচিত ক্ষেত্র ও তৎসংলগ্ন সমস্যাগুলি উপস্থাপিত রয়েছে মননশীল অভিজ্ঞতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে। প্রসঙ্গত: সম্পাদকের নিজস্ব প্রবন্ধটিও বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে। সমাজের প্রান্তসীমার অধিবাসী মেয়েদের সাদামাটা, সমস্যাপীড়িত জীবনযাত্রার, ভাবনা-চিন্তা, স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষার এমন প্রাণবন্ত ছবি বিশেষ চোখে পড়ে না। সুচেতা সেন চৌধুরীর ‘নারী প্রকৃতি ও দেশজ সংস্কৃতি’ বিষয়ক নিবন্ধটিও আমাদের পরিচিত করায় অরুণাচল প্রদেশের উপজাতি সমাজের মেয়েদের আর্থ-সামাজিক সমস্যা ও তার অতিক্রমণে তাদের প্রয়াসের সঙ্গে।
মিডিয়া ও নারী এবং বিজ্ঞাপনশাসিত দুনিয়ায় নারীর তির্যক উপস্থাপন বিষয়ক প্রবন্ধটিও বর্তমান সময়ের নিরিখে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ব্যতিক্রমী এবং সেহেতু উল্লেখযোগ্য বিশ্লেষণ উপস্থাপিত হয়েছে বাংলায় মেয়েদের ভাষা এবং বাংলায় মেয়েলি প্রবাদসংক্রান্ত প্রবন্ধ দুটিতে। প্রথমটি অন্য গ্রন্থ থেকে পুনর্মুদ্রিত হলেও আলোচ্য সংকলনটিকে সমৃদ্ধ করেছে। ভাষা স্বরকে সুবোধ্য করে, শরীরী রূপ দেয়, ব্যক্তির সামাজিক অবস্থানকে স্পষ্ট করে তোলে, বিশেষত: আঞ্চলিক ভাষা তথা প্রবাদ-বচন সমাজে। মেয়েদের অবস্থান ও মর্যাদার একটি তীক্ষ্ণ দিক নির্দেশকরূপে অনায়সেই গণ্য হতে পারে। মূল্যবান আলোচনা রয়েছে নাট্যক্ষেত্রে ও শাস্ত্রীয় নৃত্যে নারীর ভূমিকা বিষয়ক প্রবন্ধ দুটিতেও। সাহিত্যের পটভূমিকায় নারীত্ব ও নারীবাদী চেতনার বিকাশ তথা প্রকাশের বিষয়কেও পরিস্ফুট করেছে একাধিক প্রবন্ধে।
‘নারীপৃথিবী: বহুস্বর’ শুধুমাত্র মানবীবিদ্যার চর্চার একটি গ্রন্থ রূপে নিজেকে সীমায়িত করে নি; অধিকাংশ প্রবন্ধের বিষয় ও বিশ্লেষণ সমগ্র গ্রন্থটিকে এক বিরল ঔজ্জ্বল্য দান করেছে। প্রকৃত অর্থেই এই সংকলনটি আমাদের মননে এবং হৃদয়ে রণিত করে বহু বহু স্বরকে, যার বেশ কিছুর সঙ্গে পরিচয় থাকলেও অনেকগুলি সাধারণ্যে অশ্রুতই ছিল। এই স্বরধ্বনি উদ্গ্রীব করে তোলে আরও অনেক স্বর-শ্রবণের আগ্রহে।
পরিশেষে ধন্যবাদ জানাই ঊর্ব্বী প্রকাশনকে; তাঁদের প্রচেষ্টা ব্যতীত এমন একটি তথ্যসমৃদ্ধ, মননশীল সংকলনকে বাংলা ভাষায় উপস্থাপন করা কখনই সম্ভব হ’ত না। সম্পাদক ও প্রকাশকের এই যথার্থ যুগলবন্দী আমাদের প্রত্যাশাকে নি:সন্দেহে আরও বৃদ্ধি করেছে।
(পরবাস-৭১, ৩০ জুন ২০১৮)