|| সনাতনী ||
কবে থেকে বয়ে চলেছি
তা আমি নিজেও জানি না
হয়তো যখন আলো আর অন্ধকার
আলাদা হল, আকাশ বিস্তীর্ণ হল মাথার ওপর
সেই থেকে।
স্রোতস্বিনী, তাই নৌকো ভাসায়নি কেউ
আমার বুকে।
অভিমানে মূর্তি গড়েছি আর
ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিয়েছি আকাশের দিকে;
পরিযায়ী পাখিদের ডানায়
তাই সে বার্তা পাঠায়
ছায়া ফেলে আমার গভীরে।
|| চালচিত্র ||
গাছেদের নীরবতা
তারাদের উৎসব
সব ছায়াই পড়ত আমার উঠোনে;
আমার মগ্ন দিন যাপন ছিলো তাতে।
তুমি কি দাঁড়িয়ে তখন
পর্দার ওপারে?
তোমার ছায়াঘন চোখে
কী যে ছিলো--
যা আমি প্রেম ভেবে হৃদয়ে জড়ালাম।
তারপর তো উপত্যকা জুড়ে শুধু
হিমবাহ আর পদস্খলন...
দিনরাত আমার হৃদয় খোঁড়ে,
আমি জানতাম
প্রেম কখনো রিক্ত করে না।
|| বাড়ি আছ? ||
সুনন্দ, তুমি কি বাড়ি আছ?
একদিন দুজনে মিলেই
চেয়েছি
প্রথম আলোয়
ভেসে যাবে আমাদের ঘর।
তুমি দেবে তাল
আমি সুর লয় মিশিয়ে
বুনে নেব অনঙ্গ উঠোন।
আজ সবই ধোয়া ধোঁয়া;
স্যাঁত স্যাঁতে ঘরে
শ্বাস রোধ করা অন্ধকার
শুধু কি আমাকেই ছোঁয়?
সুনন্দ, তুমি কি সত্যিই বাড়ি আছ?
(পরবাস-৭১, ৩০ জুন ২০১৮)