বাড়িটি বানিয়েছিলেন তার অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ —
গ্রাম : সুতানটি।
গ্রামটির আজ আর কোনো অস্তিত্ব নেই।
কিন্তু বাড়িটি আজও সুসময়ের স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
তার আমন্ত্রণ পেয়ে
আজ আমরা বিশাল একটা দুপুর কাটালাম
বিকেল কাটালাম।
বসন্তকাল শুরু হয়েছে।
আমরা কথা বললাম দেশকাল বিষয়ে —
অনেক আনন্দবেদনার কথা
পাশাপাশি অনেক ব্যক্তিজীবনের আঘাতের কথা
গোপন ভয়ের কথা
অনেক বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা।
শেষে একসময় মনে হল
সুতানটি গ্রামটির মতো আমাদেরও কোনো অস্তিত্ব নেই।
এইসব কথা আমাদের শেষ বসন্তের।
পর্ণা, এইসব কথা লেখার জন্য মার্জনা কোরো ...
(পরবাস-৭৪, ৩১ মার্চ ২০১৯)