Subscribe to Magazines





পরবাসে
সুভাষ বিশ্বাসের

লেখা


ISSN 1563-8685




তিনটি কবিতা

রূপ

যেসময় রোদ একটু পড়ে আসে
মনে পড়ে ছায়াবীথি আর তিনটে চড়ুই
একসঙ্গে বসেছে এসে গোয়ালের চালে
দেখি নালু সাঁতরার চোখে ভেসে উঠছে
কুঁচোমাছ মেটে আলু, তণ্ডুলের রূপ
যদিও শিল্পের হাঁস সসম্ভ্রমে করেছে বিদ্রুপ

সে বিদ্রুপে সম্ভ্রম ছিল কিনা, ভ্রম
হতে পারে বলে শিখেছি সংযম
সংযম অনায়াস নয় এটা তুমি
রপ্ত করেছ জেনে হয়েছি নিশ্চিত
কী গ্রীষ্ম, কী বর্ষা আর কী ভীষণ শীতকালেও
নালু সাঁতরার ধর্মজ্ঞান আলু ও তণ্ডুলে
নিহিত ভেবে পরম্পর ধ্যানে
খুঁজে যাচ্ছি প্রজ্ঞায় ও স্হির ব্রহ্মজ্ঞানে


পরিত্রাণ পরিখা

সরসর নেমে আসছে এক বাস্তুসাপ
জ্বলে উঠল ফ্ল্যাশ লেন্স বিস্ফারিত চোখ
গতর খেলিয়ে বলল--এমন দোজখ
আমি জন্মে দেখিনি বাপ-------

মেঘজমে হাওয়া ওঠে বৃষ্টি পড়ে বেশ
ছোবলে ছোবলে বৃষ্টি গেল নিরুদ্দেশ

ভরাভর্তি গর্ভসুখ সর্বনাশের ছেড়ে যাচ্ছে ঘর
জঙ্গল দরজা খুলে ছুটে আসে মৃগ কৃষ্ণসার
ওখানে আমার পাপ সর্বনামে হাত পাতে আর
নিষ্ক্রমণ পথ আগলে শুয়ে থাকে বিদেশি বদর


দখল

শীতের দীনতা তবু পাতা ঝরে, পাতা ওড়ে
কুয়াশায় ভেজা ঘাসে গুঁড়ো গুঁড়ো চাঁদ
অবস্থান অনিশ্চিত কিনা না জানা সন্ধ্যায়
কুকুরের শীৎকারে আত্মহাহাধ্বনি
এরকমই নাটুকে রক্তের দেহাতি দোঁহায়
ঢেকুরের সাথে উঠে আসে বেয়াল্লিশ সাল

কবন্ধ ফকির এক গান গায়, দোহারের তালে
                                                   তালে
মত্ত রাধিকার বেশে হেসে ওঠে বারোয়ারি খাল
তলপেট খুলে দিয়ে ঝাঁকঝাঁক হা-ভাতে নাবাল

(পরবাস-৭৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)